প্রীতি রাহা
১৩ আগস্ট তারেক মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে বাংলাদেশ হারিয়েছে প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদকে। এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বাংলাদেশের আরেকজন গুণী সাংবাদিক মিশুক মনীর। দেখতে দেখতে এক দশক হয়ে গেল সেই দুঃসময়ের।
২০০১ সালের ১৩ আগস্ট। সেদিন নির্মাতা তারেক মাসুদ ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য স্পট দেখতে গিয়েছিলেন। সফরসঙ্গী ছিলেন আরও অনেকে। ঢাকায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি। এতে তারেক মাসুদ, মিশুক মনীরসহ পাঁচজন নিহত হন এবং আহত অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিভাগের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ঢালী আল মামুন এবং তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি।
‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে নির্মাতা তারেক মাসুদের অনেক স্বপ্ন ছিল। জানা গেছে, প্রায় এক দশক ধরে এটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তার ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রটির মূল পটভূমি ছিল- ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ সালের বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি। তার অবর্তমানে এই চলচ্চিত্রটি আর নির্মাণ করা হলো না।
১৯৮৫ সালে ‘সোনার বেড়ি’ নামক চলচ্চিত্রটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে নির্মাতা তারেক মাসুদের পথচলা শুরু হয়। এরপর ১৯৮৯ সালে তিনি নির্মাণ করেন প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’। শিল্পী এসএম সুলতানের জীবনী নিয়ে তৈরি হয়েছিল এ প্রমাণ্যচিত্র। এটি নির্মাণ করতে তার সময় লেগেছিল প্রায় সাত বছর।
পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কের সেলারে সেলারে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এভাবেই তিনি তৈরি করেছিলেন প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’। ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি মাইলফলক। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও প্রামাণ্যচিত্রটি দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। নির্মাতা তারেক মাসুদের ‘মুক্তির গান’ প্রামাণ্যচিত্রটির মাধ্যমে ১৯৭১-এর পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে। এই প্রামাণ্যচিত্রটি ১৯৯৭ সালে ফেস্টিভাল অব সাউথ এশিয়ান ডকুমেন্টারিসে বিশেষ জুরি পুরস্কার অর্জন করে।
তারপর ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় তার আরেকটি শক্তিশালী প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির কথা’।
২০০২ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’। এই চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অফিসিয়াল অস্কার এন্ট্রি, মারাকেশ চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চিত্রনাট্য পুরস্কার এবং কারাফেস্ট করাচি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০০৩ সালের সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
নির্মাতা তারেক মাসুদ ২০০৬ সালে অন্তর্যাত্রা, ২০০৯ সালে নরসুন্দর ও ২০১০ সালে রানওয়ে নির্মাণ করেন। তার অন্যান্য সৃষ্টিকর্মগুলো হচ্ছে- নারীর কথা, এ কাইন্ড অব চাইল্ডহুড, ইন দ্য নেম অব সেফটি, ভয়েসেস অব চিলড্রেন, সে ও ইউনিসন।
নির্মাতা তারেক মাসুদের চলচ্চিত্রবিষয়ক ভাবনাতে সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্থান ছিল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
নির্মাতা তারেক মাসুদ ১৯৫৬ সালে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাঙ্গা ঈদগাহ মাদ্রাসায় প্রথম পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
আমার একবার সৌভাগ্য হয়েছিল নির্মাতা তারেক মাসুদ স্যারের সঙ্গে দেখা করার। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি এসেছিলেন আমাদের এলাকায়। দিনটি ছিল ২০১১ সালের ২৯ জুলাই। সেদিন তার ছবির প্রদর্শনী ছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে। গ্যালারির একটি সিটও সেদিন ফাঁকা ছিল না। সব একদম কানায় কানায় পরিপূর্ণ।
সেদিন নির্মাতা তারেক মাসুদ নির্মিত ‘নরসুন্দর’ ও ‘রানওয়ে’ ছবি দুটি দেখতে দেখতে দর্শকরা এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, কখন সময় বয়ে গেছে তা বুঝতে পারেনি কেউ। নির্মাতা তারেক মাসুদ সেদিন নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ‘ছবির ফেরিওয়ালা’ হিসেবে। একজন ফেরিওয়ালা যেমন করে নিজের জিনিসগুলো ফেরি করে বেড়ায়, ঠিক তেমনি নির্মাতা তারেক মাসুদ স্যারও তার সৃষ্টিকর্মকে নিয়ে ঘুরতে চেয়েছিলেন।
‘রানওয়ে’-ই ছিল নির্মাতা তারেক মাসুদের সর্বশেষ সৃষ্টিকর্ম। চলচ্চিত্রটি মুক্তির ব্যাপারে তিনি উল্টো থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। অন্যান্য নির্মাতারা তাদের ছবি রাজধানীতে মুক্তি দিলেও তারেক মাসুদ স্যার তার সর্বশেষ ছবি ‘রানওয়ে’ রাজধানীতে মুক্তি দেননি। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় প্রদর্শন করে তারপর তিনি এটি ঢাকায় মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন।
নির্মাতা তারেক মাসুদ সেদিন আরও একবার ময়মনসিংহে আসতে চেয়েছিলেন স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদকে সঙ্গে করে। সে আশা অপূর্ণই রয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে সেদিন উপস্থিত দর্শকদের অপেক্ষাও শেষ হয়েছিল সম্পূর্ণরূপে।
এমনি করে একটি একটি দিন যাবে, যাবে আরও বছর। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নির্মাতা তারেক মাসুদের শূন্যতা রয়ে যাবে সবসময়।
প্রীতি রাহা
বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট ২০২১
১৩ আগস্ট তারেক মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে বাংলাদেশ হারিয়েছে প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদকে। এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বাংলাদেশের আরেকজন গুণী সাংবাদিক মিশুক মনীর। দেখতে দেখতে এক দশক হয়ে গেল সেই দুঃসময়ের।
২০০১ সালের ১৩ আগস্ট। সেদিন নির্মাতা তারেক মাসুদ ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য স্পট দেখতে গিয়েছিলেন। সফরসঙ্গী ছিলেন আরও অনেকে। ঢাকায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি। এতে তারেক মাসুদ, মিশুক মনীরসহ পাঁচজন নিহত হন এবং আহত অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিভাগের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ঢালী আল মামুন এবং তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি।
‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে নির্মাতা তারেক মাসুদের অনেক স্বপ্ন ছিল। জানা গেছে, প্রায় এক দশক ধরে এটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তার ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রটির মূল পটভূমি ছিল- ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ সালের বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি। তার অবর্তমানে এই চলচ্চিত্রটি আর নির্মাণ করা হলো না।
১৯৮৫ সালে ‘সোনার বেড়ি’ নামক চলচ্চিত্রটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে নির্মাতা তারেক মাসুদের পথচলা শুরু হয়। এরপর ১৯৮৯ সালে তিনি নির্মাণ করেন প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’। শিল্পী এসএম সুলতানের জীবনী নিয়ে তৈরি হয়েছিল এ প্রমাণ্যচিত্র। এটি নির্মাণ করতে তার সময় লেগেছিল প্রায় সাত বছর।
পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কের সেলারে সেলারে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এভাবেই তিনি তৈরি করেছিলেন প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’। ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি মাইলফলক। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও প্রামাণ্যচিত্রটি দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। নির্মাতা তারেক মাসুদের ‘মুক্তির গান’ প্রামাণ্যচিত্রটির মাধ্যমে ১৯৭১-এর পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে। এই প্রামাণ্যচিত্রটি ১৯৯৭ সালে ফেস্টিভাল অব সাউথ এশিয়ান ডকুমেন্টারিসে বিশেষ জুরি পুরস্কার অর্জন করে।
তারপর ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় তার আরেকটি শক্তিশালী প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির কথা’।
২০০২ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’। এই চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অফিসিয়াল অস্কার এন্ট্রি, মারাকেশ চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চিত্রনাট্য পুরস্কার এবং কারাফেস্ট করাচি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০০৩ সালের সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
নির্মাতা তারেক মাসুদ ২০০৬ সালে অন্তর্যাত্রা, ২০০৯ সালে নরসুন্দর ও ২০১০ সালে রানওয়ে নির্মাণ করেন। তার অন্যান্য সৃষ্টিকর্মগুলো হচ্ছে- নারীর কথা, এ কাইন্ড অব চাইল্ডহুড, ইন দ্য নেম অব সেফটি, ভয়েসেস অব চিলড্রেন, সে ও ইউনিসন।
নির্মাতা তারেক মাসুদের চলচ্চিত্রবিষয়ক ভাবনাতে সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্থান ছিল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
নির্মাতা তারেক মাসুদ ১৯৫৬ সালে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাঙ্গা ঈদগাহ মাদ্রাসায় প্রথম পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
আমার একবার সৌভাগ্য হয়েছিল নির্মাতা তারেক মাসুদ স্যারের সঙ্গে দেখা করার। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি এসেছিলেন আমাদের এলাকায়। দিনটি ছিল ২০১১ সালের ২৯ জুলাই। সেদিন তার ছবির প্রদর্শনী ছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে। গ্যালারির একটি সিটও সেদিন ফাঁকা ছিল না। সব একদম কানায় কানায় পরিপূর্ণ।
সেদিন নির্মাতা তারেক মাসুদ নির্মিত ‘নরসুন্দর’ ও ‘রানওয়ে’ ছবি দুটি দেখতে দেখতে দর্শকরা এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, কখন সময় বয়ে গেছে তা বুঝতে পারেনি কেউ। নির্মাতা তারেক মাসুদ সেদিন নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ‘ছবির ফেরিওয়ালা’ হিসেবে। একজন ফেরিওয়ালা যেমন করে নিজের জিনিসগুলো ফেরি করে বেড়ায়, ঠিক তেমনি নির্মাতা তারেক মাসুদ স্যারও তার সৃষ্টিকর্মকে নিয়ে ঘুরতে চেয়েছিলেন।
‘রানওয়ে’-ই ছিল নির্মাতা তারেক মাসুদের সর্বশেষ সৃষ্টিকর্ম। চলচ্চিত্রটি মুক্তির ব্যাপারে তিনি উল্টো থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। অন্যান্য নির্মাতারা তাদের ছবি রাজধানীতে মুক্তি দিলেও তারেক মাসুদ স্যার তার সর্বশেষ ছবি ‘রানওয়ে’ রাজধানীতে মুক্তি দেননি। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় প্রদর্শন করে তারপর তিনি এটি ঢাকায় মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন।
নির্মাতা তারেক মাসুদ সেদিন আরও একবার ময়মনসিংহে আসতে চেয়েছিলেন স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদকে সঙ্গে করে। সে আশা অপূর্ণই রয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে সেদিন উপস্থিত দর্শকদের অপেক্ষাও শেষ হয়েছিল সম্পূর্ণরূপে।
এমনি করে একটি একটি দিন যাবে, যাবে আরও বছর। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নির্মাতা তারেক মাসুদের শূন্যতা রয়ে যাবে সবসময়।