শহর ছেড়ে গ্রামেও এই চক্র সক্রিয়
আসন্ন রমজানের ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রয়কারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত এই চক্র জাল টাকা বিক্রি করছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা-২ এপিবিএনের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তিতে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রির নতুন কৌশল বেরিয়ে এসেছে।
চক্রটি এক লাখ টাকার জাল নোট ১৬ হাজার টাকায় কিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করছে। পুলিশ ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে আটক করেছে এ রকম একটি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করছে। চক্রের পলাতক অন্য সদস্যদেরও খোঁজা হচ্ছে। সারাদেশে এই চক্রের সদস্যরা তৎপর বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এপিবিএন-২ অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমদ খান সংবাদকে জানান, গত ২৪ মার্চ রাতে শেরপুরের নকলা হল পট্রি মোড় এলাকায় এক ব্যক্তি জাল টাকা কেনাবেচা করছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ ধাওয়া করে রব্বানি ইসলাম রোহান নামে এক যুবককে আটক করে।
তার কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ১৯ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করছে। এর মধ্যে এক হাজার নোট ১৮টি। প্রত্যেকটির নম্বর চস-২৭৩৫৪০৬ লেখা আছে। ৫০০ টাকার নোট ২টি। যার প্রত্যেকটিতে একই নম্বর জ-০৮৭৪৭৩৯ লেখা আছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বলেছে, জাল টাকার নোট তৈরি চক্রের অভিযুক্ত ২ নম্বর আসামি হলো রাকিব খান। তার বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া। তার দেয়া তথ্য মতে, রাতেই নেত্রকোনা সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সে জানিয়েছে, জাল টাকা দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা চক্র থেকে সে সংগ্রহ করে বিক্রি করছে। আসামিদের বিরুদ্ধে নকলা থানায় মামলা নম্বর ১৮। তারিখ ২৫-৩-২৪। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-ক ধারা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমর্ড পুলিশ বাটালিয়ন-২ অধিনায়ক জানান, এই চক্রে পলাতক থাকা আরও যারা জড়িত আছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। চক্রটি ঈদকে সামনে রেখে এখন জাল টাকা তৈরি ও বিক্রি করছে। ঈদের আগে এই চক্রের দৌরাত্ম্য আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, সংঘবদ্ধ চক্র প্রতি বছর রমজান ও কোরবানির ঈদ ও পূজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় পরিকল্পিতভাবে জাল টাকার নোট তৈরি ও বিক্রি করছে।
তাদের প্রায় ২০টির বেশি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা রাজধানীতে এই চক্র বেশি তৎপর। এই বছর নতুন করে ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে জাল নোট বেচা কেনা শুরু করেছে।
এপিবিএন-২ বিশেষ টিমের তথ্য মতে,জাল নোট তৈরির স্থান চিহ্নিত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক বার জাল নোট তৈরি চক্রকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করেছে। টাকা তৈরি সরঞ্জামও জব্দ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এরপরও চক্রের পলাতক সদস্যরা আবার নতুন করে সংগঠিত হয়ে নানা কৌশলে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করে চলেছে।
তবে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও আইনশঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য টিম তাদের অবস্থান থেকে জাল নোট তৈরি চক্রকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, চক্রটি এক লাখ টাকার জাল নোট কিনে ১৬ হাজার টাকায়। আর বিক্রি করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। এপিবিএনের গোয়েন্দা টিম ক্রেতা সেজে এক লাখ টাকার জাল নোট ২৪ হাজার টাকায় কেনার জন্য দর করে কিনতে গেলে তারা বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টার সময় পুলিশ তাদের একজনকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে তৈরির বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে। তারা নেত্রকোনায় কম্পিউটারের দোকানে জাল নোট তৈরি করছে। সেখান থেকে অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। তারা মূলত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নকল তৈরি করে।
শহর ছেড়ে গ্রামেও এই চক্র সক্রিয়
মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
আসন্ন রমজানের ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রয়কারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত এই চক্র জাল টাকা বিক্রি করছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা-২ এপিবিএনের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তিতে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রির নতুন কৌশল বেরিয়ে এসেছে।
চক্রটি এক লাখ টাকার জাল নোট ১৬ হাজার টাকায় কিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করছে। পুলিশ ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে আটক করেছে এ রকম একটি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করছে। চক্রের পলাতক অন্য সদস্যদেরও খোঁজা হচ্ছে। সারাদেশে এই চক্রের সদস্যরা তৎপর বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এপিবিএন-২ অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমদ খান সংবাদকে জানান, গত ২৪ মার্চ রাতে শেরপুরের নকলা হল পট্রি মোড় এলাকায় এক ব্যক্তি জাল টাকা কেনাবেচা করছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ ধাওয়া করে রব্বানি ইসলাম রোহান নামে এক যুবককে আটক করে।
তার কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ১৯ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করছে। এর মধ্যে এক হাজার নোট ১৮টি। প্রত্যেকটির নম্বর চস-২৭৩৫৪০৬ লেখা আছে। ৫০০ টাকার নোট ২টি। যার প্রত্যেকটিতে একই নম্বর জ-০৮৭৪৭৩৯ লেখা আছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বলেছে, জাল টাকার নোট তৈরি চক্রের অভিযুক্ত ২ নম্বর আসামি হলো রাকিব খান। তার বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া। তার দেয়া তথ্য মতে, রাতেই নেত্রকোনা সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সে জানিয়েছে, জাল টাকা দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা চক্র থেকে সে সংগ্রহ করে বিক্রি করছে। আসামিদের বিরুদ্ধে নকলা থানায় মামলা নম্বর ১৮। তারিখ ২৫-৩-২৪। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-ক ধারা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমর্ড পুলিশ বাটালিয়ন-২ অধিনায়ক জানান, এই চক্রে পলাতক থাকা আরও যারা জড়িত আছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। চক্রটি ঈদকে সামনে রেখে এখন জাল টাকা তৈরি ও বিক্রি করছে। ঈদের আগে এই চক্রের দৌরাত্ম্য আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, সংঘবদ্ধ চক্র প্রতি বছর রমজান ও কোরবানির ঈদ ও পূজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় পরিকল্পিতভাবে জাল টাকার নোট তৈরি ও বিক্রি করছে।
তাদের প্রায় ২০টির বেশি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা রাজধানীতে এই চক্র বেশি তৎপর। এই বছর নতুন করে ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে জাল নোট বেচা কেনা শুরু করেছে।
এপিবিএন-২ বিশেষ টিমের তথ্য মতে,জাল নোট তৈরির স্থান চিহ্নিত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক বার জাল নোট তৈরি চক্রকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করেছে। টাকা তৈরি সরঞ্জামও জব্দ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এরপরও চক্রের পলাতক সদস্যরা আবার নতুন করে সংগঠিত হয়ে নানা কৌশলে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করে চলেছে।
তবে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও আইনশঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য টিম তাদের অবস্থান থেকে জাল নোট তৈরি চক্রকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, চক্রটি এক লাখ টাকার জাল নোট কিনে ১৬ হাজার টাকায়। আর বিক্রি করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। এপিবিএনের গোয়েন্দা টিম ক্রেতা সেজে এক লাখ টাকার জাল নোট ২৪ হাজার টাকায় কেনার জন্য দর করে কিনতে গেলে তারা বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টার সময় পুলিশ তাদের একজনকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে তৈরির বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে। তারা নেত্রকোনায় কম্পিউটারের দোকানে জাল নোট তৈরি করছে। সেখান থেকে অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। তারা মূলত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নকল তৈরি করে।