আখি খাতুন (ছদ্মনাম) নামে একজন ছাত্রী ময়মনসিংহের
পালাশিহাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে চলতি বছর
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীতে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। এরপর উচ্চ
শিক্ষার জন্য ময়মনসিংহের ইন্সপায়ার নামে একটি কোচিং
সেণ্টারে নাসিংয়ে কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিল।
কোচিং করার জন্য ময়মনসিংহ কোতোয়ালি এলাকায়
ভাটিকাশর নামকস্থানে একটি মেসে সে লেখাপড়া করত। ওই
সময় ফেইসবুকের মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সুবাধে ওই যুবকের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথাবার্তা
বলত। তখন তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে অভিযুক্ত যুবক ফরিদুজ্জামান তাকে বিয়ের
প্রলোভন দেখিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। তার সঙ্গে কথা না
বললে ও তার কথামত কাজ না করলে পরিবারের পরিবারের সম্মান নষ্ট করবে বলে হুমকি দেয়।
কলেজ ছাত্রী অবশেষে পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে আপত্তিকর
অবস্থায় ভিডিও কলে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে কথা বলে। ওই সময়
ছাত্রীর অগোচরে গ্ধোসঢ়;পনে ওই যুবক মোবাইল ফোন ব্যবহার
করে ছাত্রীর ভিডিও কলের কথোপকথন স্ক্রীন রেকর্ড করে রাখে।
উক্ত ভিডিও দিয়ে পরবর্তীতে অভিযুক্ত ফরিদুজ্জামান ছাত্রীর
ভিডিও সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক
মেইল করে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা
হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর আবার ভিডিও সোসাল মিডিয়ায়
ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য
চাপ সৃষ্টি করে। ওই ছাত্রী দূর্বৃত্তের কু-প্রস্তাবে রাজি না
হওয়ায় ক্ষোভে তার কাছে থাকা গোপনে ধারণকৃত ভিডিও
ফেইসবুক আইডিতে ভাইরাল করে দেয়।
যা ওই ছাত্রী নিজের মেসের রুমে থেকে গত ৩০শে নভেম্বর
দুপুরে দেখতে পায়। এরপর অভিযুক্ত যুবকের মোবাইল ফোন নম্বর
থেকে আবার কল করেতার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদাদাবি
করে। না দিলে ওই ছাত্রীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। তার
হুমকিতে ওই ছাত্রী ভয়ে অভিযুক্ত যুবকের মোবাইল ফোনে
বিকাশে তার কাছে থাকা ৫শ টাকা পাঠায়। কিন্তু পুরো
টাকা না পেয়ে দূর্বৃত্ত আবারও মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়।
ওই ছাত্রী বিষয়টি নিয়ে আইনী সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি
সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চায়। তারা ছাত্রীকে ২-
এপিবিএন মুক্তাগাছায় যোগাযোগ করতে বলে। এরপর ছাত্রী
নিকট আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মুক্তাগাছা ২
এপিবিএন অফিসে অভিযোগ দায়ের করে।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২-এপিবিএনের অধিনায়ক
অতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খানের পরিকল্পনায় ২
এপিবিএনের সাইবার ক্রাইম শাখ্ধাসঢ়; আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির
সহায়তায় অভিযুক্ত যুবকের অবস্থান নিশ্চিত করে।
পরে গত পহেলা ডিসেম্বর গভীররাতে জামালপুর জেলার সদর
থানাধীন ৫ নং ইটাইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পীরগঞ্জ
বাজার ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে অভিযুক্ত
ফরিদুজ্জামানকে আটক করে। তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে তল্লাশি
করে তার কাছ থেকে ব্যবহ্নত মোবাইল ফোন সেট জব্দ করে।
ওই মোবাইল ফোন থেকে ছাত্রীর একাধিক আপত্তিকর
ছবি,ভিডিও কলের কথোপকথনের রেকডিং পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত যুবককে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি
থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পণোগ্রাফি
নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
আখি খাতুন (ছদ্মনাম) নামে একজন ছাত্রী ময়মনসিংহের
পালাশিহাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে চলতি বছর
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীতে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। এরপর উচ্চ
শিক্ষার জন্য ময়মনসিংহের ইন্সপায়ার নামে একটি কোচিং
সেণ্টারে নাসিংয়ে কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিল।
কোচিং করার জন্য ময়মনসিংহ কোতোয়ালি এলাকায়
ভাটিকাশর নামকস্থানে একটি মেসে সে লেখাপড়া করত। ওই
সময় ফেইসবুকের মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সুবাধে ওই যুবকের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথাবার্তা
বলত। তখন তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে অভিযুক্ত যুবক ফরিদুজ্জামান তাকে বিয়ের
প্রলোভন দেখিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। তার সঙ্গে কথা না
বললে ও তার কথামত কাজ না করলে পরিবারের পরিবারের সম্মান নষ্ট করবে বলে হুমকি দেয়।
কলেজ ছাত্রী অবশেষে পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে আপত্তিকর
অবস্থায় ভিডিও কলে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে কথা বলে। ওই সময়
ছাত্রীর অগোচরে গ্ধোসঢ়;পনে ওই যুবক মোবাইল ফোন ব্যবহার
করে ছাত্রীর ভিডিও কলের কথোপকথন স্ক্রীন রেকর্ড করে রাখে।
উক্ত ভিডিও দিয়ে পরবর্তীতে অভিযুক্ত ফরিদুজ্জামান ছাত্রীর
ভিডিও সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক
মেইল করে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা
হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর আবার ভিডিও সোসাল মিডিয়ায়
ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য
চাপ সৃষ্টি করে। ওই ছাত্রী দূর্বৃত্তের কু-প্রস্তাবে রাজি না
হওয়ায় ক্ষোভে তার কাছে থাকা গোপনে ধারণকৃত ভিডিও
ফেইসবুক আইডিতে ভাইরাল করে দেয়।
যা ওই ছাত্রী নিজের মেসের রুমে থেকে গত ৩০শে নভেম্বর
দুপুরে দেখতে পায়। এরপর অভিযুক্ত যুবকের মোবাইল ফোন নম্বর
থেকে আবার কল করেতার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদাদাবি
করে। না দিলে ওই ছাত্রীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। তার
হুমকিতে ওই ছাত্রী ভয়ে অভিযুক্ত যুবকের মোবাইল ফোনে
বিকাশে তার কাছে থাকা ৫শ টাকা পাঠায়। কিন্তু পুরো
টাকা না পেয়ে দূর্বৃত্ত আবারও মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়।
ওই ছাত্রী বিষয়টি নিয়ে আইনী সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি
সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চায়। তারা ছাত্রীকে ২-
এপিবিএন মুক্তাগাছায় যোগাযোগ করতে বলে। এরপর ছাত্রী
নিকট আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মুক্তাগাছা ২
এপিবিএন অফিসে অভিযোগ দায়ের করে।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২-এপিবিএনের অধিনায়ক
অতিরিক্ত ডিআইজি আলী আহমদ খানের পরিকল্পনায় ২
এপিবিএনের সাইবার ক্রাইম শাখ্ধাসঢ়; আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির
সহায়তায় অভিযুক্ত যুবকের অবস্থান নিশ্চিত করে।
পরে গত পহেলা ডিসেম্বর গভীররাতে জামালপুর জেলার সদর
থানাধীন ৫ নং ইটাইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পীরগঞ্জ
বাজার ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে অভিযুক্ত
ফরিদুজ্জামানকে আটক করে। তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে তল্লাশি
করে তার কাছ থেকে ব্যবহ্নত মোবাইল ফোন সেট জব্দ করে।
ওই মোবাইল ফোন থেকে ছাত্রীর একাধিক আপত্তিকর
ছবি,ভিডিও কলের কথোপকথনের রেকডিং পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত যুবককে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি
থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পণোগ্রাফি
নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।