চোখের ডাক্তার না হয়েও দিচ্ছেন চোখের চিকিৎসা। এমন অবস্থা নেত্রকোনার প্রায় সবগুলো চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের। এমবিবিএস ডাক্তারদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রম। এরমাঝে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে সমাজ ক্যালাণ সমিতির নামে পরিচালিত নেত্রকোণা চক্ষু হাসপাতালটি। এখানে চোঁখের সাথে পরিক্ষা ছাড়াই দেয়া হচ্ছে সব ধরনের চিকিৎসা। এখানকার প্যারামেডিকরাও বনেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
জানাগেছে, স্বৈরাচারী আধিপত্যে টানা ১৬ বছর ব্যাপক অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলেছে চক্ষু চিকিৎসা, যা এখনো বিদ্যমান। পধাদিকার বলে সভাপতি জেলা প্রশাসক নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২ রা মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেন । পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় সমাজসেবা কার্যালয়কে। কিন্তু সমাজ সেবা কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলায় নীতিমালার তোয়াক্বা না করে ২০২৪ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি সাবেক সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান খান স্বাক্ষরিত একটি অবৈধ নিয়োগ দেখিয়ে এখনো নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন ডাঃ রেজওয়ানুল হক সায়েম। যদিও তিনি কোন চোঁখের চিকিৎসক নন।
মূলত ঔষধ কোম্পানির অবৈধ সুবিধা অর্জনে চোখের চিকিৎসার নামে নিরীক্ষা ছাড়াই দিচ্ছেন ডায়াবেটিস, পেট ব্যাথা, কোমর ব্যাথাসহ অন্যান্য সকল রোগের চিকিৎসা। যা এক ঢিলে দুই পাখির মতো ব্যাপার। মূলত একজন ডাক্তার নিজস্ব চেম্বারে আগত বিভিন্ন রোগী দেখে কোম্পানি গুলোর চাহিদা পুরন করেন। এতে মোটা অংকের মাসিক মুনাফা পেয়ে থাকেন। সেই যায়গায় এক চেয়ারে বসে চোঁখের পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ঔষধ লিখে দেয়া হচ্ছে। এতে অনেকাংশই প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন সাধারন রোগীরা।
চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর অভিযোগ, প্রতিটি ব্যবস্থাপত্রে ২ থেকে ৪ হাজার টাকার ঔষধ লিখা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় রয়েছে সরকারি হাসপাতাল। এখানে শুধুমাত্র চোঁখের চিকিৎসা নিতেই আসেন রোগীরা । কিন্ত কর্তব্যরত ডাক্তার কোন পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই সব রোগের ঔষধ লিখে রোগীদের প্রতারিত করছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন ডাক্তার ও ঔষধ কোম্পানী প্রতিনিধিরা। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ।
মূলত জেলার প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র মানুষ কম খরচে চোঁখের চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে। এই সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছে প্রতিষ্টানটিতে কর্মরত প্যারামেডিক্স আলাদিন কবীর ও বর্তমান ডাক্তার রেজওয়ানুল হক সায়েম। হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তত ২৫/৩০জন রোগী হলেও ডাক্তারের সাথে গোপন বৈঠকে মিলিত হয় প্রায় অর্ধশত ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তার রেজওয়ানুল হক সায়েম জানান, তিনি মূলত ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমেই এখানে এসেছেন। সাবেক সাধারন সম্পাদক এর জামাতা আবু ইসহাক এর মধ্যস্থতায় নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত ঔষধ যেগুলো লিখছেন তা রোগীর প্রয়োজনেই লিখেন। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। তবে সমাজসেবার দায়িত্ব প্রাপ্তরা জানান, দীর্ঘদিন নানা অনিয়ম অব্যবস্থা চললেও এখন সিসিটিভি স্থাপন ও বেশকটি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে। ঔষধ প্রতিনিধিদের দৌরাত্ব কমাতে ডাক্তার ও কর্তব্যরতদের সতর্ক করা হয়েছে। অচিরেই একজন চক্ষু চিকিৎসক নিয়োগে উদ্যোগ নেয়া হবে। সেইসাথে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। অতিরিক্ত ঔষধ লিখা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
চোখের ডাক্তার না হয়েও দিচ্ছেন চোখের চিকিৎসা। এমন অবস্থা নেত্রকোনার প্রায় সবগুলো চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের। এমবিবিএস ডাক্তারদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রম। এরমাঝে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে সমাজ ক্যালাণ সমিতির নামে পরিচালিত নেত্রকোণা চক্ষু হাসপাতালটি। এখানে চোঁখের সাথে পরিক্ষা ছাড়াই দেয়া হচ্ছে সব ধরনের চিকিৎসা। এখানকার প্যারামেডিকরাও বনেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
জানাগেছে, স্বৈরাচারী আধিপত্যে টানা ১৬ বছর ব্যাপক অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলেছে চক্ষু চিকিৎসা, যা এখনো বিদ্যমান। পধাদিকার বলে সভাপতি জেলা প্রশাসক নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২ রা মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেন । পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় সমাজসেবা কার্যালয়কে। কিন্তু সমাজ সেবা কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলায় নীতিমালার তোয়াক্বা না করে ২০২৪ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি সাবেক সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান খান স্বাক্ষরিত একটি অবৈধ নিয়োগ দেখিয়ে এখনো নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন ডাঃ রেজওয়ানুল হক সায়েম। যদিও তিনি কোন চোঁখের চিকিৎসক নন।
মূলত ঔষধ কোম্পানির অবৈধ সুবিধা অর্জনে চোখের চিকিৎসার নামে নিরীক্ষা ছাড়াই দিচ্ছেন ডায়াবেটিস, পেট ব্যাথা, কোমর ব্যাথাসহ অন্যান্য সকল রোগের চিকিৎসা। যা এক ঢিলে দুই পাখির মতো ব্যাপার। মূলত একজন ডাক্তার নিজস্ব চেম্বারে আগত বিভিন্ন রোগী দেখে কোম্পানি গুলোর চাহিদা পুরন করেন। এতে মোটা অংকের মাসিক মুনাফা পেয়ে থাকেন। সেই যায়গায় এক চেয়ারে বসে চোঁখের পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ঔষধ লিখে দেয়া হচ্ছে। এতে অনেকাংশই প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন সাধারন রোগীরা।
চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর অভিযোগ, প্রতিটি ব্যবস্থাপত্রে ২ থেকে ৪ হাজার টাকার ঔষধ লিখা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় রয়েছে সরকারি হাসপাতাল। এখানে শুধুমাত্র চোঁখের চিকিৎসা নিতেই আসেন রোগীরা । কিন্ত কর্তব্যরত ডাক্তার কোন পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই সব রোগের ঔষধ লিখে রোগীদের প্রতারিত করছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন ডাক্তার ও ঔষধ কোম্পানী প্রতিনিধিরা। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ।
মূলত জেলার প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র মানুষ কম খরচে চোঁখের চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে। এই সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছে প্রতিষ্টানটিতে কর্মরত প্যারামেডিক্স আলাদিন কবীর ও বর্তমান ডাক্তার রেজওয়ানুল হক সায়েম। হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তত ২৫/৩০জন রোগী হলেও ডাক্তারের সাথে গোপন বৈঠকে মিলিত হয় প্রায় অর্ধশত ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তার রেজওয়ানুল হক সায়েম জানান, তিনি মূলত ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমেই এখানে এসেছেন। সাবেক সাধারন সম্পাদক এর জামাতা আবু ইসহাক এর মধ্যস্থতায় নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত ঔষধ যেগুলো লিখছেন তা রোগীর প্রয়োজনেই লিখেন। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। তবে সমাজসেবার দায়িত্ব প্রাপ্তরা জানান, দীর্ঘদিন নানা অনিয়ম অব্যবস্থা চললেও এখন সিসিটিভি স্থাপন ও বেশকটি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে। ঔষধ প্রতিনিধিদের দৌরাত্ব কমাতে ডাক্তার ও কর্তব্যরতদের সতর্ক করা হয়েছে। অচিরেই একজন চক্ষু চিকিৎসক নিয়োগে উদ্যোগ নেয়া হবে। সেইসাথে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। অতিরিক্ত ঔষধ লিখা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।