ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রবিদাস সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা ৫টি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে বলে জানা গেছে। পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। ফের হামলার আশংকায় চার রবিদাস পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হামলার পর থেকেই ভয়ে বাড়ি ছাড়া বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ইউপি সদস্য জামাল মিয়ার নেতৃত্বে চরকাটখাল গ্রামের চার রবিদাস পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ছাড়াও মতিউর রহমান মুন্না, আব্দুল মালেক, সোহাগ মিয়াসহ অর্ধশতাধিক লোক এ হামলায় অংশ নেয়। ঘন্টাব্যাপী হামলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্জুন রবিদাস, ভজন রবিদাস, দিলীপ রবিদাস ও নারায়ন রবিদাসের চারটি বসতঘর ও একটি রান্নাঘর ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা ফ্রিজ ও হাড়িপাতিলও ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা অন্তত পাঁচলক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ভজন রবিদাস, অর্জুন রবিদাস জানান, তারা মদ বানানো ও পান করা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছেন। তাদেরকে তাদের পৈতৃকভিটা থেকে উচ্ছেদ করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। বিষয়টি কাটখাল পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হয়েছে। আবার হামলা হতে পারে এ ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে হামলার নেতৃত্বদানকারী ইউপি সদস্য জামাল মিয়া বলেন, রবিদাস পরিবারের সদস্যরা দেশীয় মদ বানিয়ে নিজেরা খায় ও বিক্রি করে। এতে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে, তাই এলাকাবাসী তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি জানান।
কাটখাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোস্তাক আহমেদ জানান, রবিদাসদের মদ তৈরির অভিযোগে আটক ও মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে মদ বানাতে বারণ করা হয়েছে। ঘটনার দিন তিনি স্টেশনে ছিলেন না। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রবিদাস সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা ৫টি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে বলে জানা গেছে। পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। ফের হামলার আশংকায় চার রবিদাস পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হামলার পর থেকেই ভয়ে বাড়ি ছাড়া বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ইউপি সদস্য জামাল মিয়ার নেতৃত্বে চরকাটখাল গ্রামের চার রবিদাস পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ছাড়াও মতিউর রহমান মুন্না, আব্দুল মালেক, সোহাগ মিয়াসহ অর্ধশতাধিক লোক এ হামলায় অংশ নেয়। ঘন্টাব্যাপী হামলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্জুন রবিদাস, ভজন রবিদাস, দিলীপ রবিদাস ও নারায়ন রবিদাসের চারটি বসতঘর ও একটি রান্নাঘর ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা ফ্রিজ ও হাড়িপাতিলও ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা অন্তত পাঁচলক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ভজন রবিদাস, অর্জুন রবিদাস জানান, তারা মদ বানানো ও পান করা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছেন। তাদেরকে তাদের পৈতৃকভিটা থেকে উচ্ছেদ করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। বিষয়টি কাটখাল পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হয়েছে। আবার হামলা হতে পারে এ ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে হামলার নেতৃত্বদানকারী ইউপি সদস্য জামাল মিয়া বলেন, রবিদাস পরিবারের সদস্যরা দেশীয় মদ বানিয়ে নিজেরা খায় ও বিক্রি করে। এতে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে, তাই এলাকাবাসী তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি জানান।
কাটখাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোস্তাক আহমেদ জানান, রবিদাসদের মদ তৈরির অভিযোগে আটক ও মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে মদ বানাতে বারণ করা হয়েছে। ঘটনার দিন তিনি স্টেশনে ছিলেন না। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।