ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এলাকাবাসী কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গত রোববার রাতে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর এলাকায় একটি বাসায় হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিশোরদের এলাকাবাসী আটক করে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতরা হলো- পপির সাবেক দেবর শেখ আনমন, ইকরাশী গ্রামের বাসিন্দা দীন মোহাম্মদের ছেলে নাঈম, শ্যামলের ছেলে সামিউল(২১), আসালতের ছেলে নয়ন, শহীদ খন্দকারের ছেলে মো. জনি, আ. সালামের ছেলে মো. হিল্লাল, আশ্রব আলীর ছেলে শাওন, আহম্মেদ আলীর ছেলে আসিফ, সজিবের ছেলে রৌদ্র ও শেখ মজনুর ছেলে রবিউল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় রাধাকান্তপুরের তপনদের বাড়িতে একদল কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তপনের বোন পপি আক্তারের সাবেক স্বামী শেখ আজমের নেতৃত্বে মারধরের পাশাপাশি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায় এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পপি আক্তার বলেন, ২০১১ সালে উপজেলার নয়ানগর গ্রামের শেখ আজমের সাথে তার বিবাহ হয়। তাদের ঘরে নয় বছরের একটি ছেলে থাকতে স্বামী তাকে ঠিক মতো ভরণপোষন না দেওয়ায় চলতি বছরের মার্চে তিনি স্বামীকে একতরফা তালাক দেন। এরপর সাবেক স্বামী তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় বান্দুরা বাজারে আজম প্রথমে তাকে নাজেহাল করেন। এরপর তিনি বাসায় চলে এলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আজম পুনরায় প্রায় ১৫/১৬ জন কিশোরসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাসায় হামলা করে। এসময় তাদের মারধরের পাশাপাশি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় সাবেক স্বামী আজমসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে, এ ঘটনায় পপিদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন তার সাবেক শাশুড়ি মিনু বেগম। এজাহারে তিনি উল্লেখ্য করেন, রোববার বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে তার ছেলেকে রাধাকান্তপুরে পপিদের বাড়ির সামনে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেছে পপি ও তার পরিবার। বর্তমান তার ছেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানান, এঘটনায় দুই পক্ষ দুটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের সোমবার ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এলাকাবাসী কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গত রোববার রাতে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর এলাকায় একটি বাসায় হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিশোরদের এলাকাবাসী আটক করে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতরা হলো- পপির সাবেক দেবর শেখ আনমন, ইকরাশী গ্রামের বাসিন্দা দীন মোহাম্মদের ছেলে নাঈম, শ্যামলের ছেলে সামিউল(২১), আসালতের ছেলে নয়ন, শহীদ খন্দকারের ছেলে মো. জনি, আ. সালামের ছেলে মো. হিল্লাল, আশ্রব আলীর ছেলে শাওন, আহম্মেদ আলীর ছেলে আসিফ, সজিবের ছেলে রৌদ্র ও শেখ মজনুর ছেলে রবিউল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় রাধাকান্তপুরের তপনদের বাড়িতে একদল কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তপনের বোন পপি আক্তারের সাবেক স্বামী শেখ আজমের নেতৃত্বে মারধরের পাশাপাশি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায় এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পপি আক্তার বলেন, ২০১১ সালে উপজেলার নয়ানগর গ্রামের শেখ আজমের সাথে তার বিবাহ হয়। তাদের ঘরে নয় বছরের একটি ছেলে থাকতে স্বামী তাকে ঠিক মতো ভরণপোষন না দেওয়ায় চলতি বছরের মার্চে তিনি স্বামীকে একতরফা তালাক দেন। এরপর সাবেক স্বামী তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় বান্দুরা বাজারে আজম প্রথমে তাকে নাজেহাল করেন। এরপর তিনি বাসায় চলে এলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আজম পুনরায় প্রায় ১৫/১৬ জন কিশোরসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাসায় হামলা করে। এসময় তাদের মারধরের পাশাপাশি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় সাবেক স্বামী আজমসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে, এ ঘটনায় পপিদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন তার সাবেক শাশুড়ি মিনু বেগম। এজাহারে তিনি উল্লেখ্য করেন, রোববার বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে তার ছেলেকে রাধাকান্তপুরে পপিদের বাড়ির সামনে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেছে পপি ও তার পরিবার। বর্তমান তার ছেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানান, এঘটনায় দুই পক্ষ দুটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের সোমবার ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।