মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : চর গোলাবাড়ি সেতু না থাকায় নৌকা দিয়ে পারাপার -সংবাদ
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় চর গোলাবাড়ি সেতু না থাকায় খেয়া নৌকা বেয়ে এপাড় থেকে ওপারে যাতায়াত করছেন আপামর জনসাধারণ। বিশেষ করে
বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের জন্য নৌকা। বর্ষাকাল চলে গেলে সকল যোগাযোগ বন্ধ। কারণ বন্যার পানি কমে গেলে সেখানে শুধু কাঁদা আর কাঁদা একাকার হয়ে যায়। ফলে জনসাধারণ চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। চর গোলাবাড়ি একটি সেতুর অভাবে ৫টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর কেটে গেলেও ৫টি এলাকার জনসাধারণের চলাচল লাঘবে একটি ব্রীজ নির্মাণে এগিয়ে আসেনি কোন জনপ্রতিনিধি। শুধু সরকার আসে সরকার যায়। দিন যায় মাস আসে বছর পেরিয়ে যুগ আসে। মনে আসে না তাদের প্রতিশ্রুতি। উপজেলার চর গোলাবাড়ি এলাকায় একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে বিগত ৫৪ বছর ধরে প্রতি নিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চর গোলাবাড়িসহ আশপাশের ৫ গ্রামের ৩০ হাজার আপামর জনসাধারণকে।
জানা যায়, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৫নং জোড়খালি ইউনিয়নের চর গোলাবাড়ি এলাকায় সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষকে।
মাদারগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ এলাকায় জোড়খালী, খিলকাটি, হাটমাগুড়া, জামদহ ও ফুলজোড়সহ ৫টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র জনবহুল সড়ক চর গোলাবাড়ি টু খিলকাটি ভায়া বালিজুড়ী সড়ক।
একমাত্র প্রধান সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকা বেয়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কে চলাচলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগে ভুগছেন। খালের ওপর কোনো সাঁকো বা পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় শতশত মানুষের চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। বেশি পানি হলে খেয়া পার হওয়া যায় কিন্তু পানি কম থাকলে দুর্ভোগ চরমে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী আল আমিনসহ কয়েকজন বলেন, খাল পার হতে না পারায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারছি না।
স্থানীয় কৃষক রফিকুল বলেন, কৃষকরা জমির ফসল বাজারে নিতে পারছেন না, এমনকি অসুস্থ রোগীদেরও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা এই বৃহত্তর দক্ষিণ এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। আমার জন্মের পর থেকে শুনতে পাই এখানে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। হবে হবে বলে শুধু আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য দেন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৫৪ বছর দীর্ঘদিন কেটে গেছে কেউ কথা রাখেনি। তাই বলে এখানে এখনো ব্রিজ নির্মাণ হয়নি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান আনিছ বলেন, এখানে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় কয়েক অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। পানি থাকলে বিকল্প হিসেবে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়, পানি কমে গেলে শুধু কাঁদা আর কাঁদা, সে সময়ে নৌকা ও যানবাহন কিছুই চলে না। তখনই ৫টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে ৫নং জোড়খালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজা মিয়া সংবাদ কে বলেন, এখানে ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে চর গোলাবাড়ি এলাকায়। একটি ব্রীজ না থাকায় কয়েক অঞ্চলের যাতায়াতের প্রধান সড়কে শিক্ষার্থীসহ নাগরিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তাই সরকারের কাছে এলাকাবাসীর দাবি। বৃহত্তর গোলাবাড়িসহ ৫ গ্রামের জনস্বার্থে একটি সেতু জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করা হোক।
এ সেতুর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বিষয়টি অবগত আছে। জনদূর্ভোগ লাঘবে ব্রিজটি দ্রুত হলে শিক্ষা, কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আসবে এবং মানুষের জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরবে।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৫নং জোড়খালী ইউনিয়ন অফিস জেসি ভাইয়া খিলকাটি রোডে সিআইবি ৩০০ মিটার ব্রিজের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সয়েল টেস্টের লোকজন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। সয়েল টেস্ট হয়ে গেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : চর গোলাবাড়ি সেতু না থাকায় নৌকা দিয়ে পারাপার -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় চর গোলাবাড়ি সেতু না থাকায় খেয়া নৌকা বেয়ে এপাড় থেকে ওপারে যাতায়াত করছেন আপামর জনসাধারণ। বিশেষ করে
বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের জন্য নৌকা। বর্ষাকাল চলে গেলে সকল যোগাযোগ বন্ধ। কারণ বন্যার পানি কমে গেলে সেখানে শুধু কাঁদা আর কাঁদা একাকার হয়ে যায়। ফলে জনসাধারণ চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। চর গোলাবাড়ি একটি সেতুর অভাবে ৫টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর কেটে গেলেও ৫টি এলাকার জনসাধারণের চলাচল লাঘবে একটি ব্রীজ নির্মাণে এগিয়ে আসেনি কোন জনপ্রতিনিধি। শুধু সরকার আসে সরকার যায়। দিন যায় মাস আসে বছর পেরিয়ে যুগ আসে। মনে আসে না তাদের প্রতিশ্রুতি। উপজেলার চর গোলাবাড়ি এলাকায় একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে বিগত ৫৪ বছর ধরে প্রতি নিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চর গোলাবাড়িসহ আশপাশের ৫ গ্রামের ৩০ হাজার আপামর জনসাধারণকে।
জানা যায়, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৫নং জোড়খালি ইউনিয়নের চর গোলাবাড়ি এলাকায় সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষকে।
মাদারগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ এলাকায় জোড়খালী, খিলকাটি, হাটমাগুড়া, জামদহ ও ফুলজোড়সহ ৫টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র জনবহুল সড়ক চর গোলাবাড়ি টু খিলকাটি ভায়া বালিজুড়ী সড়ক।
একমাত্র প্রধান সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকা বেয়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কে চলাচলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগে ভুগছেন। খালের ওপর কোনো সাঁকো বা পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় শতশত মানুষের চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। বেশি পানি হলে খেয়া পার হওয়া যায় কিন্তু পানি কম থাকলে দুর্ভোগ চরমে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী আল আমিনসহ কয়েকজন বলেন, খাল পার হতে না পারায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারছি না।
স্থানীয় কৃষক রফিকুল বলেন, কৃষকরা জমির ফসল বাজারে নিতে পারছেন না, এমনকি অসুস্থ রোগীদেরও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা এই বৃহত্তর দক্ষিণ এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। আমার জন্মের পর থেকে শুনতে পাই এখানে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। হবে হবে বলে শুধু আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য দেন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৫৪ বছর দীর্ঘদিন কেটে গেছে কেউ কথা রাখেনি। তাই বলে এখানে এখনো ব্রিজ নির্মাণ হয়নি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান আনিছ বলেন, এখানে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় কয়েক অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। পানি থাকলে বিকল্প হিসেবে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়, পানি কমে গেলে শুধু কাঁদা আর কাঁদা, সে সময়ে নৌকা ও যানবাহন কিছুই চলে না। তখনই ৫টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে ৫নং জোড়খালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজা মিয়া সংবাদ কে বলেন, এখানে ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে চর গোলাবাড়ি এলাকায়। একটি ব্রীজ না থাকায় কয়েক অঞ্চলের যাতায়াতের প্রধান সড়কে শিক্ষার্থীসহ নাগরিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তাই সরকারের কাছে এলাকাবাসীর দাবি। বৃহত্তর গোলাবাড়িসহ ৫ গ্রামের জনস্বার্থে একটি সেতু জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করা হোক।
এ সেতুর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বিষয়টি অবগত আছে। জনদূর্ভোগ লাঘবে ব্রিজটি দ্রুত হলে শিক্ষা, কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আসবে এবং মানুষের জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরবে।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৫নং জোড়খালী ইউনিয়ন অফিস জেসি ভাইয়া খিলকাটি রোডে সিআইবি ৩০০ মিটার ব্রিজের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সয়েল টেস্টের লোকজন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। সয়েল টেস্ট হয়ে গেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।