কলেজ শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের সিএনবি এলাকায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহত পরিবারের সদস্যরা। এসময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের সিএনবি এলাকায় ঢাকামুখী লেনে অবরোধ করে বিচারের দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মশুরীখোলা এলাকায় ভাকুর্তা-মশুরীখোলা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।
আন্দোলনকারীরা বলেন, শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। পরে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক জঙ্গলে ফেলে রেখে গেছে। কিন্তু পুলিশ তার মরদেহ ১৪ দিন পরে উদ্ধার করেছে। কলেজে পড়াশুনা করার সত্ত্বেও রাব্বিকে অটোরিকশা চালক হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বিকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।
নিহত ফজলে রাব্বির মা নূর জাহান বেগম জানান, আমার ছেলে কলেজে পড়াশুনা করতো। গত ১৭ অক্টোবর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে। নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় গিয়ে জিডি করি। পরবর্তীতে গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকার লোকজন আমার ছেলে বস্তাবন্দী মরদেহ সাভারের কলমা উত্তরপাড়া জঙ্গলে দেখতে পায়। আমার ছেলেকে নির্মমভাবে খুনিরা হত্যা করেছে। সরকারের কাছে আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাব্বির মা।
এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাভার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন রাব্বি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, রাব্বি সাভারের একটি কলেজে পড়াশুনা করতো। রাব্বিকে খুনিরা হত্যা করে বস্তাবন্দী অবস্থায় জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়। তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে খুনিরা। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হোক।
ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা বলেন, ব্যবসায়ী আমান উল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকসহ চার জন। কিন্তু অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। অবিলম্বে আমান উল্লাহকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।
নিহত আমানউল্লাহর ভাতিজা সবুজ বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্ত্রীসহ চারজন অপরাধী। আমরা মামলা করেছি। মামলা করার ২০ দিন পার হলেও অজ্ঞাত কারণে অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সালেহ আহমেদ বলেন, এক শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল গত সপ্তাহে। সেই ঘটনায় আজকে দুপুরে সাভারের কলমা এলাকা থেকে মুসল্লি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএনবিতে আসে। সেই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের ফাঁসির দাবিতে স্থানীয় মুসল্লি ও সাধারণ ছাত্ররা অবরোধ করেছিল। তবে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
কলেজ শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের সিএনবি এলাকায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহত পরিবারের সদস্যরা। এসময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের সিএনবি এলাকায় ঢাকামুখী লেনে অবরোধ করে বিচারের দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মশুরীখোলা এলাকায় ভাকুর্তা-মশুরীখোলা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।
আন্দোলনকারীরা বলেন, শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। পরে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক জঙ্গলে ফেলে রেখে গেছে। কিন্তু পুলিশ তার মরদেহ ১৪ দিন পরে উদ্ধার করেছে। কলেজে পড়াশুনা করার সত্ত্বেও রাব্বিকে অটোরিকশা চালক হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বিকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।
নিহত ফজলে রাব্বির মা নূর জাহান বেগম জানান, আমার ছেলে কলেজে পড়াশুনা করতো। গত ১৭ অক্টোবর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে। নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় গিয়ে জিডি করি। পরবর্তীতে গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকার লোকজন আমার ছেলে বস্তাবন্দী মরদেহ সাভারের কলমা উত্তরপাড়া জঙ্গলে দেখতে পায়। আমার ছেলেকে নির্মমভাবে খুনিরা হত্যা করেছে। সরকারের কাছে আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাব্বির মা।
এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাভার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন রাব্বি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, রাব্বি সাভারের একটি কলেজে পড়াশুনা করতো। রাব্বিকে খুনিরা হত্যা করে বস্তাবন্দী অবস্থায় জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়। তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে খুনিরা। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হোক।
ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা বলেন, ব্যবসায়ী আমান উল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকসহ চার জন। কিন্তু অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। অবিলম্বে আমান উল্লাহকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।
নিহত আমানউল্লাহর ভাতিজা সবুজ বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্ত্রীসহ চারজন অপরাধী। আমরা মামলা করেছি। মামলা করার ২০ দিন পার হলেও অজ্ঞাত কারণে অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সালেহ আহমেদ বলেন, এক শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল গত সপ্তাহে। সেই ঘটনায় আজকে দুপুরে সাভারের কলমা এলাকা থেকে মুসল্লি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএনবিতে আসে। সেই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের ফাঁসির দাবিতে স্থানীয় মুসল্লি ও সাধারণ ছাত্ররা অবরোধ করেছিল। তবে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।