সিরাজগঞ্জ : রোপা আমন কৃষক ধান কাটছে কৃষক -সংবাদ
সিরাজগঞ্জের আগুর (আগাম) জাতের রোপা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। জেলার বেশিরভাগ মাঠের রোপা আমন ধানে পাক ধরেছে। আগাম জাতের রোপা ধান কেটে সরিষা রাগানো হবে । এতে কৃষকরা লাভবান হবে বলে জানা গেছে ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে জেলায় ৭৬ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে । মাঠের রোপা আমন ধান ঘিরে কৃষকদের নানা পরিকল্পনা ও স্বপ্ন রয়েছে। কৃষকরা হাসি মুখে আনন্দে মাঠের ধান কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় মাড়াই করছেন। এদিকে নতুন রোপা আমন ধান এক হাজার ২শ টাকা থেকে এক হাজার ৪শ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে বলে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে। এবারের মৌসুমে কৃষকরা আগুর করে রোপা আমন ধানের আবাদ করেন। কৃষকরা বেশি ফলন হয় এমন বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। সব মাঠেই সেচ মেশিন চালিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে আবাদ করা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার তালম গ্রামের মাঠে পাঁচ জন দিনমজুর কাটারীভোগ ধান কাটছেন। এরা হলেন- কোরবান আলী, লিটন মিয়া, নাজিম উদ্দিন, মজিবর প্রামাণিক ও শাহীন মিয়া। এদের দিনের হাজিরা পাঁচশ টাকা বলে জানান। রোপা আমন বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৬ মণ হারে ফলন মিলছে বলেও জানান তারা ।
কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, ধান কাটা শুরু হয়েছে । ধানের ফলনও বেশ ভালো । ধান কেটে আমরা সরিষা বুনবো এতে আমাদের বাড়তি আয় হবে ।
ধানের ব্যাপারী আমিনুল ইসলাম জানান, নতুন রোপা আমন ধান প্রতিমণ এক হাজার ২শ টাকা থেকে এক হাজার ৪শ টাকা দরের মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে। কাটারীভোগ ধানের দাম বেশি। প্রতিমণ ১৩শ টাকা থেকে ১৪শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা জানান, তাড়াশ উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবছর ১৩.৮৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ধানের ফলন ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। বন্যার পানি কোন কোন মাঠে না ওঠায় কৃষকদের রোপা আমন চাষে কোন বেগ পেতে হয়নি। এবারে ১ হাজার ৪ শত প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, ১১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে । ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়েছে যে দান কাট হয়েছে তাতে প্রতি হেক্টরে ৫.৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা জানান, জেলায় মোট ৭৬ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে । এখন পর্যন্ত যে ধান কাটা হয়েছে তাতে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিরাজগঞ্জ : রোপা আমন কৃষক ধান কাটছে কৃষক -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের আগুর (আগাম) জাতের রোপা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। জেলার বেশিরভাগ মাঠের রোপা আমন ধানে পাক ধরেছে। আগাম জাতের রোপা ধান কেটে সরিষা রাগানো হবে । এতে কৃষকরা লাভবান হবে বলে জানা গেছে ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে জেলায় ৭৬ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে । মাঠের রোপা আমন ধান ঘিরে কৃষকদের নানা পরিকল্পনা ও স্বপ্ন রয়েছে। কৃষকরা হাসি মুখে আনন্দে মাঠের ধান কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় মাড়াই করছেন। এদিকে নতুন রোপা আমন ধান এক হাজার ২শ টাকা থেকে এক হাজার ৪শ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে বলে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে। এবারের মৌসুমে কৃষকরা আগুর করে রোপা আমন ধানের আবাদ করেন। কৃষকরা বেশি ফলন হয় এমন বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। সব মাঠেই সেচ মেশিন চালিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে আবাদ করা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার তালম গ্রামের মাঠে পাঁচ জন দিনমজুর কাটারীভোগ ধান কাটছেন। এরা হলেন- কোরবান আলী, লিটন মিয়া, নাজিম উদ্দিন, মজিবর প্রামাণিক ও শাহীন মিয়া। এদের দিনের হাজিরা পাঁচশ টাকা বলে জানান। রোপা আমন বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৬ মণ হারে ফলন মিলছে বলেও জানান তারা ।
কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, ধান কাটা শুরু হয়েছে । ধানের ফলনও বেশ ভালো । ধান কেটে আমরা সরিষা বুনবো এতে আমাদের বাড়তি আয় হবে ।
ধানের ব্যাপারী আমিনুল ইসলাম জানান, নতুন রোপা আমন ধান প্রতিমণ এক হাজার ২শ টাকা থেকে এক হাজার ৪শ টাকা দরের মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে। কাটারীভোগ ধানের দাম বেশি। প্রতিমণ ১৩শ টাকা থেকে ১৪শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা জানান, তাড়াশ উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবছর ১৩.৮৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ধানের ফলন ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। বন্যার পানি কোন কোন মাঠে না ওঠায় কৃষকদের রোপা আমন চাষে কোন বেগ পেতে হয়নি। এবারে ১ হাজার ৪ শত প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, ১১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে । ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়েছে যে দান কাট হয়েছে তাতে প্রতি হেক্টরে ৫.৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা জানান, জেলায় মোট ৭৬ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে । এখন পর্যন্ত যে ধান কাটা হয়েছে তাতে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।