পৌষের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে মাঘের প্রথম সপ্তাহ থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা শুরু হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। চার দিন ধরে উপজেলাজুড়ে বইছে হিমেল হাওয়া। যার ফলে খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পরেছে । শিশু-বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নতুন এবং পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে বেড়েছে মানুষের ভিড়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে ঘনকুয়াশা। তিন দিনে কাজিপুরে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। শীতবস্ত্র সঙ্কটে হাজার হাজার দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় সকালে কৃষকরা বোরো ধান চাষে, পেঁয়াজ, রসুন ও বিভিন্ন সবজি খেতের জমিতে পরিচর্যা করতে যেতে পারছেন না। যার জন্য পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি পরিচর্যার অভাবে জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। শীত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পোশাক কিনছেন নিম্নআয়ের মানুষ। গরম কাপড় কেনা-বেচা হচ্ছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। শিমুলদাইর কম্বল পল্লী এলাকায় শীতবস্ত্রের বিক্রেতারা বেশি বসেছে। সারাদিনই দোকানে ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকছে। কাপড়ের দোকানে গরম কাপড়ের সরবরাহ বাড়ছে। দোকানগুলো এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। দোকানদার সোহেল জানান, প্রতিবছরই আমি এখানে শীতের মৌসুমে গরম কাপড়ের দোকান দিয়ে থাকি। গতবছরের চেয়ে এবার বিক্রি তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হচ্ছে। সিমান্তবাজারে ফুটপাতের কাপড়ে ক্রেতাতের চাহিদা বাড়ছে। কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজের স্কুলছাত্র সোহেল রানা ও রুবেল সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে উপজেলাজুড়ে শীত পড়ছে বেশি। শীত ও কুয়াশার কারণে ভোগান্তি বেড়েছে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের। সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। কাজিপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শীতে শিশু-বৃদ্ধরা বেশি ভুগছে। তারা নিউমোনিয়া ও জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২৩ দিনে প্রায় শতাধিক ঠান্ডাজনিত রোগী শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল জানান, শীতজনিত কারণে রোগীর ভর্তি হচ্ছে। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, শীতের তীব্রতার সাথে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সরকারিভাবে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
পৌষের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে মাঘের প্রথম সপ্তাহ থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা শুরু হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। চার দিন ধরে উপজেলাজুড়ে বইছে হিমেল হাওয়া। যার ফলে খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পরেছে । শিশু-বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নতুন এবং পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে বেড়েছে মানুষের ভিড়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে ঘনকুয়াশা। তিন দিনে কাজিপুরে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। শীতবস্ত্র সঙ্কটে হাজার হাজার দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় সকালে কৃষকরা বোরো ধান চাষে, পেঁয়াজ, রসুন ও বিভিন্ন সবজি খেতের জমিতে পরিচর্যা করতে যেতে পারছেন না। যার জন্য পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি পরিচর্যার অভাবে জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। শীত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পোশাক কিনছেন নিম্নআয়ের মানুষ। গরম কাপড় কেনা-বেচা হচ্ছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। শিমুলদাইর কম্বল পল্লী এলাকায় শীতবস্ত্রের বিক্রেতারা বেশি বসেছে। সারাদিনই দোকানে ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকছে। কাপড়ের দোকানে গরম কাপড়ের সরবরাহ বাড়ছে। দোকানগুলো এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। দোকানদার সোহেল জানান, প্রতিবছরই আমি এখানে শীতের মৌসুমে গরম কাপড়ের দোকান দিয়ে থাকি। গতবছরের চেয়ে এবার বিক্রি তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হচ্ছে। সিমান্তবাজারে ফুটপাতের কাপড়ে ক্রেতাতের চাহিদা বাড়ছে। কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজের স্কুলছাত্র সোহেল রানা ও রুবেল সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে উপজেলাজুড়ে শীত পড়ছে বেশি। শীত ও কুয়াশার কারণে ভোগান্তি বেড়েছে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের। সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। কাজিপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শীতে শিশু-বৃদ্ধরা বেশি ভুগছে। তারা নিউমোনিয়া ও জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২৩ দিনে প্রায় শতাধিক ঠান্ডাজনিত রোগী শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল জানান, শীতজনিত কারণে রোগীর ভর্তি হচ্ছে। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, শীতের তীব্রতার সাথে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সরকারিভাবে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।