alt

সারাদেশ

২২ বছর ধরে পারাপারের ভরসা নড়বড়ে সাঁকো

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : শনিবার, ২৮ মে ২০২২

গাইবান্ধা : নামাপাতা গ্রামের নদী পারাপারের জন্য একমাত্র বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে পড়েছে -সংবাদ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা নামাপাতা গ্রামের নদী পারাপারের জন্য দীর্ঘদিনেও সেতু নির্মাণ হয়নি। পারাপারের জন্য আছে একটি বাঁশের সাঁকো, যা আবার ভেঙে গেছে। বুড়াইল নদীর এই সাঁকোর উত্তর পাশের গ্রাম খোর্দ্দা নামাপাতা। স্থানীয়রা ২১-২২ বছর ধরে এখানে একটি সেতুর জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দাবি করে আসছেন। কিন্তু এই দাবির বিপরীতে তারা শুধু আশ্বাসই পেয়েছেন। তাই এলাকার বাসিন্দা ক্ষুব্ধ কৃষক আজিজুল ইসলাম (৪০) বলেন ‘হামার বাপ-দাদারা একান ব্রিজ চাইতে চাইতে মরি গেইছে, তাও ব্রিজ হয়নাই। হামার কপাল খারাপ বাহে।

আজিজুল ইসলামের বলেন, ’কোমর বান্দিয়ে ভোট দেই, কিন্তু হামার ব্রিজ হয় না’। প্রত্যেকবার নেতারা হামাক ধোঁকা দেয়। ভোটের সময় এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার সগাই (সকলে) হামার লোক হয়া (হন) যায়। আর ভোট বারাইলে হামাক চেনেনা। খালি কয় ভোট দেও, এবার ব্রিজ করি দেমো। হামরাও ওমারগুলের কথাত মজি যায়া কোমর বান্দিয়ে ভোট দেই। কিন্তু হামার ব্রিজ আর হয় না।’এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন যে সেতু নিয়ে এত ক্ষোভ, সেখানকার মানুষদের। এ আক্ষেপ শুধু আজিজুল ইসলামের নয়।

বুড়াইল নদীর দু’পারের ২০ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের। ভেঙে যাওয়া ব্রিজের ছবি তোলা দেখে ওই গ্রামের কল্পনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এমার কোন কাম নাই, খালি আইসে আর ছবি তোলে। এললে ছবি তুলি নিয়ে যায়া উপরোত থাকি বাজেট নিয়ে আসি চেয়ারম্যান মেম্বরা খায়া তাজা হয়। বছরের পর বছর যায় হামার এই ব্রিজটেয় হয় না। এমন কোন এমপি, টিউএনও (ইউএনও), চেয়ারম্যান-মেম্বার নাই, যাই এটে (যে এখানে) আইসে নাই। খালি আইসে আর দেখি কয়, খুব তাড়াতাড়ি এটা করি দেমো। চিন্তা করেন না। এখন মনে হয় ওমরাগুলা (তারা) হামার সাথে তামাশা করেন।’

জানা যায়, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ও গুনাইগাছসহ তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক এটি। তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা, চর খোর্দ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম এবং বজড়া ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ এ পথ ধরে চলাচল করেন। দুই উপজেলার সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, হাঁটুরে, বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণী-পেশার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে দৈনন্দিন যাতায়াত করে।

খোর্দ্দা নামাপাতা গ্রামের ওপর দিয়ে চলে গেছে বুড়াইল নদী। নদীটি ছোট হওয়ায় বাঁশের সাঁকো আবার কখনো কাঠের সাঁকো দিয়েই চলত গ্রামবাসীর যাতায়াত। কিন্তু পরে তিস্তা নদী ভেঙ্গে বুড়াইলে পানিপ্রবাহ বাড়ে। বেড়ে যায় বুড়াইল নদীর প্রস্থও। পরিচিতি পায় তিস্তার শাখা নদী হিসেবে। তখন থেকেই নদী পারাপারের জন্য সেতু নির্মাণের দাবি আরও জোরালো হয়। কিন্তু এর বিপরীতে শুধু আশ্বাসই মিলেছে। কাজের কোনো কাজ হয়নি। ২২ বছর ধরে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই এ নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন। প্রতি বছরই এ সাঁকো ভেঙে যায়। প্রতি বছরই নতুন করে গড়তে হয়। আর সংস্কার তো লেগেই আছে। বছরে অন্তত দুবার এ সাঁকো সংস্কার করা করতে হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, ‘জন্মের পর থেকে এখানে কখনো কাঠের সাঁকো, আবার কখনো বাঁশের সাঁকো দেখছি। সেটিও করা হয় এলাকার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজস্ব অর্থায়নে। মাস দু-এক আগ থেকে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়। ঝুঁকি জেনেও এর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে গত ১৫ দিনে কমপক্ষে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটে। ইদানীং নদীর স্রোতে কচুরীপানা ভেসে আসে। নড়বড়ে সাঁকোর খুঁটিতে তা চাপ দেয়। এসব কারণে আগে থেকেই দুর্বল খুঁটি ভেঙে সপ্তাহখানেক আগে সাঁকোটি ভেঙে নদী পড়ে। এখন ভয়াবহ দুর্ভোগে রয়েছেন এ নদীর দুপারের মানুষ।’

এবিষয়ে তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি এ ধরনের সাঁকো আছে। প্রতি বছর সেগুলো মেরামত করতে হয়, যা পরিষদের পক্ষে সম্ভব না। সে কারণে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সেগুলো মেরামত করা হয়। তবে ব্রিজ নির্মাণে ইতোপূর্বে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফীন বলেন, ‘যেখানে সাঁকো আছে, সেখানেই স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’

ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘সেতু নির্মাণে তালিকা পাঠানো হয়েছে। করোনার কারণে দেরি হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ে ব্রিজ হয়ে যাবে। আপাতত ওখানে বাঁশের সাঁকো করে দেব। ব্রিজ না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।’

ছবি

শাহ আমানতে ২৭ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

ছবি

পরিত্যক্ত বস্তায় মিলল ২৪ বোতল বিদেশি মদ

ছবি

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো তাপপ্রবাহ

সেনবাগে কলেজছাএ ও সুধারামে প্রবাসী খুনের পর বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

ছবি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

দুর্বৃত্তের হামলায় ‘গুরুতর’ আহত যুবলীগ নেতা

ছবি

গাজীপুরে কাভার্ড ভ্যানে সিএনজির ধাক্কা নিহত-১ আহত-৪

ছবি

হাসপাতালে হিট ষ্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু

ছবি

লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

ছবি

গাজীপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু

ছবি

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

প্রিলি পরীক্ষায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার প্রার্থী বসেছে পরীক্ষায়

ছবি

মায়ানমার ফেরতঃ কারাগারে দুপুরে এক বেলা খাবার, সারাদিন ব্যস্ত ভারি কাজে

ছবি

বারিতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ

ছবি

গাজীপুরের কোনাবাড়ী জোনাল অফিসে পাওয়ার ট্রান্সফরমারে আগুন

ছবি

গাজীপুরে মরে যাচ্ছে মুরগি

ছবি

মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন জেল

ছবি

দাবদাহে গলে যাচ্ছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের পিচ

ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা

ছবি

হরিরামপুরে পূর্ব শত্রতার জেরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, মেয়াদ আরও বাড়লো

হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

ঈদযাত্রা : মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা ৫১ শতাংশ, সাড়ে ৪২ শতাংশ নিহত

ছবি

১৫ শ্রমিক নিয়ে সাজেকের খাদে ট্রাক, নিহত ৯

ছবি

রাজধানীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

ছবি

থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

ছবি

বাসের ধাক্কায় চুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু নরসিংদীর বাড়িতে কান্নার রোল

ছবি

অপহরণ ও মারধরের শিকার দেলোয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান

ছবি

রাজশাহীতে বৃষ্টি নামাতে বিয়ের পিঁড়িতে দুই ব্যঙ

ছবি

রংপুরে সাজাপ্রাপ্ত দুই যুবদল নেতাকে কারাগাওে পাঠানোর নির্দেশে বিক্ষোভ

ছবি

আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’র কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ

ছবি

পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম

তিস্তাসহ ৫৪ অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা দাবিতে বাসদের লং মার্চ

ছবি

লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন হাজার হাজার মুসল্লি

ছবি

অসহায় পরিবারের নিরুপায় নির্মমতা! চুরি ঠেকাতে ৩ বছর শেকল বন্দি কিশোর

tab

সারাদেশ

২২ বছর ধরে পারাপারের ভরসা নড়বড়ে সাঁকো

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধা : নামাপাতা গ্রামের নদী পারাপারের জন্য একমাত্র বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে পড়েছে -সংবাদ

শনিবার, ২৮ মে ২০২২

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা নামাপাতা গ্রামের নদী পারাপারের জন্য দীর্ঘদিনেও সেতু নির্মাণ হয়নি। পারাপারের জন্য আছে একটি বাঁশের সাঁকো, যা আবার ভেঙে গেছে। বুড়াইল নদীর এই সাঁকোর উত্তর পাশের গ্রাম খোর্দ্দা নামাপাতা। স্থানীয়রা ২১-২২ বছর ধরে এখানে একটি সেতুর জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দাবি করে আসছেন। কিন্তু এই দাবির বিপরীতে তারা শুধু আশ্বাসই পেয়েছেন। তাই এলাকার বাসিন্দা ক্ষুব্ধ কৃষক আজিজুল ইসলাম (৪০) বলেন ‘হামার বাপ-দাদারা একান ব্রিজ চাইতে চাইতে মরি গেইছে, তাও ব্রিজ হয়নাই। হামার কপাল খারাপ বাহে।

আজিজুল ইসলামের বলেন, ’কোমর বান্দিয়ে ভোট দেই, কিন্তু হামার ব্রিজ হয় না’। প্রত্যেকবার নেতারা হামাক ধোঁকা দেয়। ভোটের সময় এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার সগাই (সকলে) হামার লোক হয়া (হন) যায়। আর ভোট বারাইলে হামাক চেনেনা। খালি কয় ভোট দেও, এবার ব্রিজ করি দেমো। হামরাও ওমারগুলের কথাত মজি যায়া কোমর বান্দিয়ে ভোট দেই। কিন্তু হামার ব্রিজ আর হয় না।’এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন যে সেতু নিয়ে এত ক্ষোভ, সেখানকার মানুষদের। এ আক্ষেপ শুধু আজিজুল ইসলামের নয়।

বুড়াইল নদীর দু’পারের ২০ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের। ভেঙে যাওয়া ব্রিজের ছবি তোলা দেখে ওই গ্রামের কল্পনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এমার কোন কাম নাই, খালি আইসে আর ছবি তোলে। এললে ছবি তুলি নিয়ে যায়া উপরোত থাকি বাজেট নিয়ে আসি চেয়ারম্যান মেম্বরা খায়া তাজা হয়। বছরের পর বছর যায় হামার এই ব্রিজটেয় হয় না। এমন কোন এমপি, টিউএনও (ইউএনও), চেয়ারম্যান-মেম্বার নাই, যাই এটে (যে এখানে) আইসে নাই। খালি আইসে আর দেখি কয়, খুব তাড়াতাড়ি এটা করি দেমো। চিন্তা করেন না। এখন মনে হয় ওমরাগুলা (তারা) হামার সাথে তামাশা করেন।’

জানা যায়, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ও গুনাইগাছসহ তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক এটি। তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা, চর খোর্দ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম এবং বজড়া ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ এ পথ ধরে চলাচল করেন। দুই উপজেলার সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, হাঁটুরে, বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণী-পেশার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে দৈনন্দিন যাতায়াত করে।

খোর্দ্দা নামাপাতা গ্রামের ওপর দিয়ে চলে গেছে বুড়াইল নদী। নদীটি ছোট হওয়ায় বাঁশের সাঁকো আবার কখনো কাঠের সাঁকো দিয়েই চলত গ্রামবাসীর যাতায়াত। কিন্তু পরে তিস্তা নদী ভেঙ্গে বুড়াইলে পানিপ্রবাহ বাড়ে। বেড়ে যায় বুড়াইল নদীর প্রস্থও। পরিচিতি পায় তিস্তার শাখা নদী হিসেবে। তখন থেকেই নদী পারাপারের জন্য সেতু নির্মাণের দাবি আরও জোরালো হয়। কিন্তু এর বিপরীতে শুধু আশ্বাসই মিলেছে। কাজের কোনো কাজ হয়নি। ২২ বছর ধরে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই এ নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন। প্রতি বছরই এ সাঁকো ভেঙে যায়। প্রতি বছরই নতুন করে গড়তে হয়। আর সংস্কার তো লেগেই আছে। বছরে অন্তত দুবার এ সাঁকো সংস্কার করা করতে হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, ‘জন্মের পর থেকে এখানে কখনো কাঠের সাঁকো, আবার কখনো বাঁশের সাঁকো দেখছি। সেটিও করা হয় এলাকার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজস্ব অর্থায়নে। মাস দু-এক আগ থেকে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়। ঝুঁকি জেনেও এর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে গত ১৫ দিনে কমপক্ষে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটে। ইদানীং নদীর স্রোতে কচুরীপানা ভেসে আসে। নড়বড়ে সাঁকোর খুঁটিতে তা চাপ দেয়। এসব কারণে আগে থেকেই দুর্বল খুঁটি ভেঙে সপ্তাহখানেক আগে সাঁকোটি ভেঙে নদী পড়ে। এখন ভয়াবহ দুর্ভোগে রয়েছেন এ নদীর দুপারের মানুষ।’

এবিষয়ে তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি এ ধরনের সাঁকো আছে। প্রতি বছর সেগুলো মেরামত করতে হয়, যা পরিষদের পক্ষে সম্ভব না। সে কারণে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সেগুলো মেরামত করা হয়। তবে ব্রিজ নির্মাণে ইতোপূর্বে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফীন বলেন, ‘যেখানে সাঁকো আছে, সেখানেই স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’

ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘সেতু নির্মাণে তালিকা পাঠানো হয়েছে। করোনার কারণে দেরি হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ে ব্রিজ হয়ে যাবে। আপাতত ওখানে বাঁশের সাঁকো করে দেব। ব্রিজ না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।’

back to top