চট্টগ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে একটি বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন, খতিব বাড়ি রোড সংলগ্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলায় পর্যুদস্ত ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
সোমবার পুনরায় একটি গ্রুপ ওই স্থানে মহাড়া দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
তাদের অভিযোগ, দফায় দফায় হামলা চালিয়ে জমি দখল করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করে আসছে চক্রটি।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার(উত্তর) মহোদয়ের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন, খতিব বাড়ি রোড সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ী এস.এম জমির উদ্দিন ও এস.এম আবুল কাশেমের মালিকানাধীন ১৬ কাঠা জমির মধ্যে ৪ কাঠা জমিতে ভাড়া ঘর ও দোকান রয়েছে। বাকি ১২ কাঠা জমি দেখভালের জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করে দিয়ে শানু বেগম নামে এক নারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এদিকে আবুল কাশেমের সঙ্গে স্থানীয় আবু হানিফ ও মোহাম্মদ বাবর নামে দুই ব্যক্তির জমি নিয়ে থাকা বিরোধ গড়িয়েছে আদালত র্পর্যন্ত। মামলার একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে আবু হানিফ ও মোহাম্মদ বাবরের নামজারি খতিয়ান বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণার আদেশ দেন। সেখানে আবুল কাশেমের মালিকানার বৈধতা দিয়ে নামজারি খতিয়ান তৈরি করা হয়।
কিন্তু মামলায় হেরে গিয়ে আবু হানিফ স্থানীয় সন্ত্রাসী মাহবুব আলমকে নিয়ে দফায় দফায় হামলা-মামলা করে নানাভাবে আবুল কাশেমের জায়গা দখলের অপচেষ্টা করতে থাকে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মাহবুব তার দলবল নিয়ে ওই এলাকার কেয়ারটেকার শানু বেগমের বাসায় হামলা চালায় এবং সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর করে। এই ঘটনায় আবুল কাশেম চান্দগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে ফেরত পাঠান।
উল্টো আবু হানিফ ও সন্ত্রাসী মাহবুব আলমের প্ররোচনায় পুলিশ গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় আবুল কাশেমের জায়গায় নিয়োজিত ৪ জন নিরাপত্তা কর্মী ও কেয়ারটেকার শানু বেগমকে মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বনেদি ব্যবসায়ী এস.এম জমির উদ্দিন ও এস.এম আবুল কাশেমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদেরকে হয়রানি করার জন্য।
জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় আবারো মাহবুব আলম, আবু হানিফসহ ৬০-৭০জনের সন্ত্রাসীবাহিনী দা-কিরিচ, রামদা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বুলডোজার, ট্রাকসহ নানা সরঞ্জামাদি নিয়ে সীমানা দেয়াল ভেঙে ওই জায়গা দখল করে নেয়। পরদিন থেকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে অবৈধ দখলদাররা।
এসব বিষয় অবগত করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বরাবরে অভিযোগ দেয়া হয়। এসময় সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্থ করলেও এখন পর্যন্ত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ-সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার(উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন করে আদালতের মাধ্যমে অভিযোগ বা মামলা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আমি বিষয়টি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
ভুক্তভোগী এস.এম আবুল কাশেম বলেন, এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতা রয়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ও আইনগত অবস্থান আশা করছি।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে একটি বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন, খতিব বাড়ি রোড সংলগ্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলায় পর্যুদস্ত ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
সোমবার পুনরায় একটি গ্রুপ ওই স্থানে মহাড়া দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
তাদের অভিযোগ, দফায় দফায় হামলা চালিয়ে জমি দখল করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করে আসছে চক্রটি।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার(উত্তর) মহোদয়ের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন, খতিব বাড়ি রোড সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ী এস.এম জমির উদ্দিন ও এস.এম আবুল কাশেমের মালিকানাধীন ১৬ কাঠা জমির মধ্যে ৪ কাঠা জমিতে ভাড়া ঘর ও দোকান রয়েছে। বাকি ১২ কাঠা জমি দেখভালের জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করে দিয়ে শানু বেগম নামে এক নারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এদিকে আবুল কাশেমের সঙ্গে স্থানীয় আবু হানিফ ও মোহাম্মদ বাবর নামে দুই ব্যক্তির জমি নিয়ে থাকা বিরোধ গড়িয়েছে আদালত র্পর্যন্ত। মামলার একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে আবু হানিফ ও মোহাম্মদ বাবরের নামজারি খতিয়ান বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণার আদেশ দেন। সেখানে আবুল কাশেমের মালিকানার বৈধতা দিয়ে নামজারি খতিয়ান তৈরি করা হয়।
কিন্তু মামলায় হেরে গিয়ে আবু হানিফ স্থানীয় সন্ত্রাসী মাহবুব আলমকে নিয়ে দফায় দফায় হামলা-মামলা করে নানাভাবে আবুল কাশেমের জায়গা দখলের অপচেষ্টা করতে থাকে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মাহবুব তার দলবল নিয়ে ওই এলাকার কেয়ারটেকার শানু বেগমের বাসায় হামলা চালায় এবং সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর করে। এই ঘটনায় আবুল কাশেম চান্দগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে ফেরত পাঠান।
উল্টো আবু হানিফ ও সন্ত্রাসী মাহবুব আলমের প্ররোচনায় পুলিশ গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় আবুল কাশেমের জায়গায় নিয়োজিত ৪ জন নিরাপত্তা কর্মী ও কেয়ারটেকার শানু বেগমকে মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বনেদি ব্যবসায়ী এস.এম জমির উদ্দিন ও এস.এম আবুল কাশেমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদেরকে হয়রানি করার জন্য।
জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় আবারো মাহবুব আলম, আবু হানিফসহ ৬০-৭০জনের সন্ত্রাসীবাহিনী দা-কিরিচ, রামদা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বুলডোজার, ট্রাকসহ নানা সরঞ্জামাদি নিয়ে সীমানা দেয়াল ভেঙে ওই জায়গা দখল করে নেয়। পরদিন থেকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে অবৈধ দখলদাররা।
এসব বিষয় অবগত করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বরাবরে অভিযোগ দেয়া হয়। এসময় সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্থ করলেও এখন পর্যন্ত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ-সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার(উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন করে আদালতের মাধ্যমে অভিযোগ বা মামলা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আমি বিষয়টি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
ভুক্তভোগী এস.এম আবুল কাশেম বলেন, এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতা রয়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ও আইনগত অবস্থান আশা করছি।