রাঙ্গাবালীতে জলকপাট ব্যবহারে ব্যাপক অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। কপাটগুলো কৃষি কাজে ব্যবহার না হয়ে, ব্যবহার হচ্ছে মাছ ধরার কাজে। লোনা পানি উঠিয়ে কখ?নো তলিয়ে কখ?নো শুকিয়ে রাখা হচ্ছে গোটা এলাকার ফসলি জমি। এতে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কাঙ্খিত ফসল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক। একদিকে আমন থেকে বঞ্চিত, অপর দিকে তরমুজ চাষও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে উপকুলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর নির্মিত জলকপাটগুলো কৃষি কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা। রাঙ্গাবালী উপজেলায় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা বাঁধঘাট ও টুঙ্গীবাড়িয়া জলকপাটের আওতায় অন্তত দু’হাজার একর ফসলি জমি। হালুটির মৌসুমে সময় মতো পানি ওঠানো নামানোই জলকপাটের কাজ। এ কাজ পরিচালনায় নির্ধারিত কোন লোক না থাকায়, ২০২১ সাল থেকে কৃষকের পক্ষে সময় মতো পানি ওঠানো নামানোর কাজে লোক নিয়োগ করে দেন কতৃপক্ষ।
গত বছর ওই লোক দ্বারা গেটগুলো পরিচালিত হওয়ায় জলকপাটের আওতায় থাকা জমিতে বাম্পার ফলন ফলে। এবছর স্থানীয় কিছু আঃলীগ নেতা কর্মীরা জোর করে এই জলকপাট দখলে নিয়ে কৃষক বা কৃষি কাজের তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো পানি উঠানামা করান। সময় মতো জাল পাতেন, মাছ ধরেন। মুখ খুলতে সাহস পায়না কোন কৃষক। তাদের অভিযোগ, এখন ধান বের হওয়ার সময়। ঠিক এই মুহুর্তে টুঙ্গীবাড়িয়ার কপাট দিয়ে পানি নামিয়ে দেয়ায় কাটাখালী বিলে অন্তত এক হাজার একর জমি শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে ধান বের হতে পারছেনা। ফসল থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা কোন ভাবেই এরিয়ে যাওয়া যায়না। অপর দিকে চরগঙ্গা বাঁধ ঘাটের কপাট দিয়ে সাগরের লোনা পানি ওঠানো অব্যাহত রয়েছে। বিপাকে পরেছে তরমুজ চাষীরা।
কাটাখালী গ্রামের কৃষক, সাবেক মেম্বর মোঃ হেলাল উদ্দীন, কৃষক আঃ ছোবাহান মিয়া, বাবুল হাওলাদারসহ অর্ধশতাধিক কৃষক বলেন, আমরা বারবার নিষেধ করা সত্বেও কোন অপশক্তির জোরে তারা একাজ করছে জানিনা। তরমুজ চাষীরা অসহায়। ছাগল, গরু, হাঁস, মুরগীতে নদীর পানি খায়। আমরা কি করবো, কোথায় যাব, কার কাছে বলবো। আপনারা সাংবাদিক। আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের দাবী, লবন পানি বন্ধ করতে হবে।
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
রাঙ্গাবালীতে জলকপাট ব্যবহারে ব্যাপক অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। কপাটগুলো কৃষি কাজে ব্যবহার না হয়ে, ব্যবহার হচ্ছে মাছ ধরার কাজে। লোনা পানি উঠিয়ে কখ?নো তলিয়ে কখ?নো শুকিয়ে রাখা হচ্ছে গোটা এলাকার ফসলি জমি। এতে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কাঙ্খিত ফসল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক। একদিকে আমন থেকে বঞ্চিত, অপর দিকে তরমুজ চাষও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে উপকুলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর নির্মিত জলকপাটগুলো কৃষি কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা। রাঙ্গাবালী উপজেলায় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা বাঁধঘাট ও টুঙ্গীবাড়িয়া জলকপাটের আওতায় অন্তত দু’হাজার একর ফসলি জমি। হালুটির মৌসুমে সময় মতো পানি ওঠানো নামানোই জলকপাটের কাজ। এ কাজ পরিচালনায় নির্ধারিত কোন লোক না থাকায়, ২০২১ সাল থেকে কৃষকের পক্ষে সময় মতো পানি ওঠানো নামানোর কাজে লোক নিয়োগ করে দেন কতৃপক্ষ।
গত বছর ওই লোক দ্বারা গেটগুলো পরিচালিত হওয়ায় জলকপাটের আওতায় থাকা জমিতে বাম্পার ফলন ফলে। এবছর স্থানীয় কিছু আঃলীগ নেতা কর্মীরা জোর করে এই জলকপাট দখলে নিয়ে কৃষক বা কৃষি কাজের তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো পানি উঠানামা করান। সময় মতো জাল পাতেন, মাছ ধরেন। মুখ খুলতে সাহস পায়না কোন কৃষক। তাদের অভিযোগ, এখন ধান বের হওয়ার সময়। ঠিক এই মুহুর্তে টুঙ্গীবাড়িয়ার কপাট দিয়ে পানি নামিয়ে দেয়ায় কাটাখালী বিলে অন্তত এক হাজার একর জমি শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে ধান বের হতে পারছেনা। ফসল থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা কোন ভাবেই এরিয়ে যাওয়া যায়না। অপর দিকে চরগঙ্গা বাঁধ ঘাটের কপাট দিয়ে সাগরের লোনা পানি ওঠানো অব্যাহত রয়েছে। বিপাকে পরেছে তরমুজ চাষীরা।
কাটাখালী গ্রামের কৃষক, সাবেক মেম্বর মোঃ হেলাল উদ্দীন, কৃষক আঃ ছোবাহান মিয়া, বাবুল হাওলাদারসহ অর্ধশতাধিক কৃষক বলেন, আমরা বারবার নিষেধ করা সত্বেও কোন অপশক্তির জোরে তারা একাজ করছে জানিনা। তরমুজ চাষীরা অসহায়। ছাগল, গরু, হাঁস, মুরগীতে নদীর পানি খায়। আমরা কি করবো, কোথায় যাব, কার কাছে বলবো। আপনারা সাংবাদিক। আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের দাবী, লবন পানি বন্ধ করতে হবে।