alt

সারাদেশ

‘যায় রস আহরণে দাঁড়াবার সময় যে নাই’

প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

https://sangbad.net.bd/images/2022/November/26Nov22/news/pic-1.jpg

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : খেজুর গাছের রস আহরণের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গাছীরা -সংবাদ

গ্রাম বাংলার ঋতু পরিক্রমায় কার্তিক পেরিয়ে অগ্রহায়ন এখন। গ্রামীণ জনপদে গাছিদের ব্যস্ততাই যেন জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে দোরগোড়ায়।

মীরসরাইয়ে সর্ব দক্ষিণ জনপদ সাহেরখালী ও তৎ নিকটবর্তী বালিয়াদি-বগাচতর এলাকায় প্রতিবছর সারি সারি খেজুর গাছ এখনো গ্রামীণ ঐতিহ্যকে রক্ষা করছে যেন। শীতের এই মৌসুম এলেই ধানচালসহ অন্যান্য কাজ আগেভাগে সেরে বা কাজের রুটিন ভাগ করে প্রতিবছর ওরা অনেকে খেজুর গাছ থেকেই আয় করে বাড়তি কিছু উপার্জন ।

https://sangbad.net.bd/images/2022/November/26Nov22/news/pic-2.jpg

বগাচতর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আলী আজম (৪২) ও তার বড় ভাই মাহবুব আলম (৫২) কাকা আমজাদ হোসেন (৪৫) তিন জনে মিলে ওরা প্রায় ১১০টি খেজুর গাছে হাঁড়ি বসায় প্রতি বছর। বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে তাদের দেখা মিলল বেড়িবাঁধের উপরেই কোমরে ঝুড়ি বাঁধা, হাতে বাটাল আর রশি । আলী আজম বলল শীত পড়া শুরু হবে শীঘ্রই তাই খেজুরগাছগুলো তৈরি করে নিচ্ছি। মাথা পরিস্কার করে রসের থালি রেডি করে রাখলে শীত শুরু হলেই কাঠি বসিয়ে হাঁড়ি লাগাতে সুবিধা হবে। আর কদিন পরে রস পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি হিসেব করে বললেন অগ্রহায়ণ মাস আসতে আর ছয় দিন। সপ্তাহখানেক পরই হাঁড়ি বসানো যাবে। প্রথম কদিন রস ভাল না ও হতে পারে। পনেরদিন পর খাঁটি রসই পাওয়া যাবে আশা করছি।

মঘাদয়িা উপকূলের আরেক গাছী রুস্তম আলী ( ৫২) বলেন আমি ৫০ টি গাছে প্রতিদিন গড়ে ২শত লিটার রস ও পাই। প্রতি লিটার রস ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে প্রতিদিন হাজার তিনেক লাভ থাকে প্রায়। এতে প্রতি মৌসুমে লক্ষ টাকা করে বাড়তি আয় হয় আমার। বছরের অন্যান্য সময় কি কাজ করেন জানতে চাইলে অপর গাছী মাহবুব আলম ( ৫২) বলেন আমরা সাধারনত প্রান্তিক কৃষক। নিজের জমি আর বর্গা জমি চাষ করে থাকি। পাশাপাশি মৌসুমি সবজি, ধান, ইত্যাদি চাষাবাদ করি। খেজুর গাছে আমাদের বছরের মৌসুমী বাড়তি রোজগার। তবে আশংকার কথা হলো এই কৃষকদের সুদিন আবার দুর্দিনে রুপ নেয় কিনা। এই বেড়িবাঁধ যদি কখনো সরকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক করা শুরু করলে হারিয়ে যাবে এই রসের হাঁড়ির উৎস।

ছবি

গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

প্রিলি পরীক্ষায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার প্রার্থী বসেছে পরীক্ষায়

ছবি

মায়ানমার ফেরতঃ কারাগারে দুপুরে এক বেলা খাবার, সারাদিন ব্যস্ত ভারি কাজে

ছবি

বারিতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ

ছবি

গাজীপুরের কোনাবাড়ী জোনাল অফিসে পাওয়ার ট্রান্সফরমারে আগুন

ছবি

গাজীপুরে মরে যাচ্ছে মুরগি

ছবি

মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন জেল

ছবি

দাবদাহে গলে যাচ্ছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের পিচ

ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা

ছবি

হরিরামপুরে পূর্ব শত্রতার জেরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, মেয়াদ আরও বাড়লো

হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

ঈদযাত্রা : মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা ৫১ শতাংশ, সাড়ে ৪২ শতাংশ নিহত

ছবি

১৫ শ্রমিক নিয়ে সাজেকের খাদে ট্রাক, নিহত ৯

ছবি

রাজধানীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

ছবি

থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

ছবি

বাসের ধাক্কায় চুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু নরসিংদীর বাড়িতে কান্নার রোল

ছবি

অপহরণ ও মারধরের শিকার দেলোয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান

ছবি

রাজশাহীতে বৃষ্টি নামাতে বিয়ের পিঁড়িতে দুই ব্যঙ

ছবি

রংপুরে সাজাপ্রাপ্ত দুই যুবদল নেতাকে কারাগাওে পাঠানোর নির্দেশে বিক্ষোভ

ছবি

আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’র কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ

ছবি

পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম

তিস্তাসহ ৫৪ অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা দাবিতে বাসদের লং মার্চ

ছবি

লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন হাজার হাজার মুসল্লি

ছবি

অসহায় পরিবারের নিরুপায় নির্মমতা! চুরি ঠেকাতে ৩ বছর শেকল বন্দি কিশোর

ছবি

ছাত্র হত্যায় যুবকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড

হোটেলে আটকে রেখে কিশোর ধর্ষণ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি

ক্যাসিনোকাণ্ডের সেই সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল

ভৌতিক বিলের খপ্পর চট্টগ্রামে মিটার-সংযোগবিহীন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৭ লাখ টাকা

ছবি

এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরেছে ৩৬৭ জনের প্রাণ

ছবি

চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসের চালক গ্রেপ্তার

ছবি

মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১০

ছবি

মায়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজে দেশে ফিরছেন ১৫৩ বাংলাদেশি

ছবি

কক্সবাজারে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত

ছবি

ট্রেন লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ছবি

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

tab

সারাদেশ

‘যায় রস আহরণে দাঁড়াবার সময় যে নাই’

প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম)

শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

https://sangbad.net.bd/images/2022/November/26Nov22/news/pic-1.jpg

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : খেজুর গাছের রস আহরণের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গাছীরা -সংবাদ

গ্রাম বাংলার ঋতু পরিক্রমায় কার্তিক পেরিয়ে অগ্রহায়ন এখন। গ্রামীণ জনপদে গাছিদের ব্যস্ততাই যেন জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে দোরগোড়ায়।

মীরসরাইয়ে সর্ব দক্ষিণ জনপদ সাহেরখালী ও তৎ নিকটবর্তী বালিয়াদি-বগাচতর এলাকায় প্রতিবছর সারি সারি খেজুর গাছ এখনো গ্রামীণ ঐতিহ্যকে রক্ষা করছে যেন। শীতের এই মৌসুম এলেই ধানচালসহ অন্যান্য কাজ আগেভাগে সেরে বা কাজের রুটিন ভাগ করে প্রতিবছর ওরা অনেকে খেজুর গাছ থেকেই আয় করে বাড়তি কিছু উপার্জন ।

https://sangbad.net.bd/images/2022/November/26Nov22/news/pic-2.jpg

বগাচতর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আলী আজম (৪২) ও তার বড় ভাই মাহবুব আলম (৫২) কাকা আমজাদ হোসেন (৪৫) তিন জনে মিলে ওরা প্রায় ১১০টি খেজুর গাছে হাঁড়ি বসায় প্রতি বছর। বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে তাদের দেখা মিলল বেড়িবাঁধের উপরেই কোমরে ঝুড়ি বাঁধা, হাতে বাটাল আর রশি । আলী আজম বলল শীত পড়া শুরু হবে শীঘ্রই তাই খেজুরগাছগুলো তৈরি করে নিচ্ছি। মাথা পরিস্কার করে রসের থালি রেডি করে রাখলে শীত শুরু হলেই কাঠি বসিয়ে হাঁড়ি লাগাতে সুবিধা হবে। আর কদিন পরে রস পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি হিসেব করে বললেন অগ্রহায়ণ মাস আসতে আর ছয় দিন। সপ্তাহখানেক পরই হাঁড়ি বসানো যাবে। প্রথম কদিন রস ভাল না ও হতে পারে। পনেরদিন পর খাঁটি রসই পাওয়া যাবে আশা করছি।

মঘাদয়িা উপকূলের আরেক গাছী রুস্তম আলী ( ৫২) বলেন আমি ৫০ টি গাছে প্রতিদিন গড়ে ২শত লিটার রস ও পাই। প্রতি লিটার রস ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে প্রতিদিন হাজার তিনেক লাভ থাকে প্রায়। এতে প্রতি মৌসুমে লক্ষ টাকা করে বাড়তি আয় হয় আমার। বছরের অন্যান্য সময় কি কাজ করেন জানতে চাইলে অপর গাছী মাহবুব আলম ( ৫২) বলেন আমরা সাধারনত প্রান্তিক কৃষক। নিজের জমি আর বর্গা জমি চাষ করে থাকি। পাশাপাশি মৌসুমি সবজি, ধান, ইত্যাদি চাষাবাদ করি। খেজুর গাছে আমাদের বছরের মৌসুমী বাড়তি রোজগার। তবে আশংকার কথা হলো এই কৃষকদের সুদিন আবার দুর্দিনে রুপ নেয় কিনা। এই বেড়িবাঁধ যদি কখনো সরকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক করা শুরু করলে হারিয়ে যাবে এই রসের হাঁড়ির উৎস।

back to top