বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের করা ‘ইনডেমনিটি’ আইনকে ‘অসভ্য’ আইন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘ইনডেমনিটি’ একটি ঘৃণিত শব্দ। অথচ, ২০২২ সালে এই আইন আবার সংশোধন করে নবায়ন করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন’ শীর্ষক নাগরিক সভায় এসব কথা বলেন মেনন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করেছিল। জরুরি সংকট মোকাবিলায় ২ বছরের জন্য আইনটি করা হলেও পরে আরও তিন দফা মেয়াদ বৃদ্ধি ও সংশোধন করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত-সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, এই আইন বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে সুশাসন বাস্তবায়নের অন্তরায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের দাবি, ওই সময় (২০১০ সাল) প্রচলিত আইন মেনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি এবং অপর্যাপ্ততা নিরসন সময় সাপেক্ষ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০০৯ থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ১৪ বছরের বেশি ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এ সময় বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে শতভাগ মানুষ। তারপরও বিশেষ আইনটি চালু আছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টি। পার্টি প্রধান মেনন এর আগেও আওয়ামী লীগের করা এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
শনিবার ক্যাবের সভায় তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি থাকতে পারে না। এটা একটি অসভ্য আইন। কোন সভ্য সমাজে এটা চলতে পারে না।’
মেনন বলেন, ‘দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করা হচ্ছে। এলএনজি লবি অনেক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। লুণ্ঠনবৃত্তি বিগত সরকারের মতো অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সংসদ যে ভূমিকা পালন করার কথা, দুঃখজনক হলেও সত্য সংসদ সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করতে পারছে না।’
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে নাগরিক সভায় দেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদরা বক্তব্য রাখেন। সভায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে ক্যাবের পক্ষ থেকে ১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।
শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের করা ‘ইনডেমনিটি’ আইনকে ‘অসভ্য’ আইন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘ইনডেমনিটি’ একটি ঘৃণিত শব্দ। অথচ, ২০২২ সালে এই আইন আবার সংশোধন করে নবায়ন করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন’ শীর্ষক নাগরিক সভায় এসব কথা বলেন মেনন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করেছিল। জরুরি সংকট মোকাবিলায় ২ বছরের জন্য আইনটি করা হলেও পরে আরও তিন দফা মেয়াদ বৃদ্ধি ও সংশোধন করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত-সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, এই আইন বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে সুশাসন বাস্তবায়নের অন্তরায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের দাবি, ওই সময় (২০১০ সাল) প্রচলিত আইন মেনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি এবং অপর্যাপ্ততা নিরসন সময় সাপেক্ষ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০০৯ থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ১৪ বছরের বেশি ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এ সময় বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে শতভাগ মানুষ। তারপরও বিশেষ আইনটি চালু আছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টি। পার্টি প্রধান মেনন এর আগেও আওয়ামী লীগের করা এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
শনিবার ক্যাবের সভায় তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি থাকতে পারে না। এটা একটি অসভ্য আইন। কোন সভ্য সমাজে এটা চলতে পারে না।’
মেনন বলেন, ‘দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করা হচ্ছে। এলএনজি লবি অনেক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। লুণ্ঠনবৃত্তি বিগত সরকারের মতো অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সংসদ যে ভূমিকা পালন করার কথা, দুঃখজনক হলেও সত্য সংসদ সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করতে পারছে না।’
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে নাগরিক সভায় দেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদরা বক্তব্য রাখেন। সভায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে ক্যাবের পক্ষ থেকে ১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।