ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশে গত অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগের মাসে (সেপ্টেম্বর) এই হার ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে অক্টোবর মাসের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। আরও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে হয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ যা আগের মাসে (সেপ্টেম্বরে) ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যপণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে
সেপ্টেম্বর মাসে এই
হার ছিল ৮ দশমিক
৩৬ শতাংশ
বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), যেখানে অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দশমিক ১৯ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। অক্টোবরের মূল্যস্ফীতির এ হার দিয়ে বোঝায়, গত বছর অক্টোবর মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের অক্টোবরে পেতে খরচ করতে হয়েছে ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা। গত বছরের অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মূলস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সে হিসেবে অক্টোবরে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে সামান্য উন্নতি দেখেছে দেশ।
এ বছর জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পরে আগস্টে খানিকটা কমে ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি দেখে দেশ। সে সময় ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে আসে মূল্যস্ফীতি। তারপর সেপ্টেম্বরে ফের মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য দিয়েছিল সরকার।
গত বছর জুলাই মাসে আন্দোলনের ধাক্কায় সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে। জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পরের কয়েক মাস সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ ও ১০ শতাংশের মধ্যেই ওঠানামা করছিল। এ বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে নেমে আসার তথ্য দেয় বিবিএস। জুনে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়।
কিন্তু একমাস বাদে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। আগস্ট থেকে মূল্যস্ফীতি উঠানামার মধ্যে থেকে রেকর্ড করলেও এখনও এই হার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটা ওপরেই রয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদের উচ্চ হার ধরে রেখেছে।
বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশে। অর্থাৎ এ সময়ে দশমিক ৫৬ শতাংশ পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি কমেছে এ খাতে। সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অক্টোবর মাসে তা বেড়ে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অক্টোবরে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরের ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে বেড়ে অক্টোবর মাসে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
দেশে গত অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগের মাসে (সেপ্টেম্বর) এই হার ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে অক্টোবর মাসের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। আরও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে হয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ যা আগের মাসে (সেপ্টেম্বরে) ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যপণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে
সেপ্টেম্বর মাসে এই
হার ছিল ৮ দশমিক
৩৬ শতাংশ
বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), যেখানে অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দশমিক ১৯ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। অক্টোবরের মূল্যস্ফীতির এ হার দিয়ে বোঝায়, গত বছর অক্টোবর মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের অক্টোবরে পেতে খরচ করতে হয়েছে ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা। গত বছরের অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মূলস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সে হিসেবে অক্টোবরে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে সামান্য উন্নতি দেখেছে দেশ।
এ বছর জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পরে আগস্টে খানিকটা কমে ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি দেখে দেশ। সে সময় ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে আসে মূল্যস্ফীতি। তারপর সেপ্টেম্বরে ফের মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য দিয়েছিল সরকার।
গত বছর জুলাই মাসে আন্দোলনের ধাক্কায় সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে। জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পরের কয়েক মাস সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ ও ১০ শতাংশের মধ্যেই ওঠানামা করছিল। এ বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে নেমে আসার তথ্য দেয় বিবিএস। জুনে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়।
কিন্তু একমাস বাদে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। আগস্ট থেকে মূল্যস্ফীতি উঠানামার মধ্যে থেকে রেকর্ড করলেও এখনও এই হার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটা ওপরেই রয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদের উচ্চ হার ধরে রেখেছে।
বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশে। অর্থাৎ এ সময়ে দশমিক ৫৬ শতাংশ পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি কমেছে এ খাতে। সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অক্টোবর মাসে তা বেড়ে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অক্টোবরে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরের ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে বেড়ে অক্টোবর মাসে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়েছে।