জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে মাননীয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাবি শাখা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব স্বাক্ষরিত এই স্বারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করেন। এতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ১২টি সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
স্বারকলিপিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ জানান, আমরা একটি অন্তর্ভুক্তি মূলক সমাজ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যথাযথ সুযোগ সুবিধার অভাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে তারা দেশ ও জাতি গঠনে সক্ষমতা থাকা সত্বেও অবদান রাখতে পারছে না। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে সহজতর করার লক্ষ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। তাই, আমরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য আপনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি:
১. র্যাম্প ও লিফট স্থাপন: ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি ও আবাসিক হলগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য র্যাম্প (আনুভূমিকের সাথে ১৫ ডিগ্রী) ও লিফট স্থাপন করতে হবে।
২. শ্রুতি লেখক ব্যবস্থাপনা: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের নিজ উদ্যোগে শ্রুতি লেখকের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রুতি লেখক ব্যবস্থাপনায় যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ ও স্বেচ্ছাসেবীদের স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে প্রত্যেক হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক নিয়োগ দিতে হবে।
৩. বিশেষায়িত আসন বরাদ্দ: শ্রেণিকক্ষে এবং পরীক্ষা কক্ষে তাদের জন্য সুবিধাজনক আসন বরাদ্দ করতে হবে।
৪. বৃত্তি প্রদান ও ফি মওকুফ: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করতে সকল প্রকার ফি মওকুফ ও বিশেষ বৃত্তি চালু করা দরকার।
৫. পরিবহন সুবিধা: ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য বিশেষায়িত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।
৬. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মী আচরণ নিশ্চিত করতে নিয়মিত কর্মশালা এবং সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা।
৭. পরীক্ষায় সময় বৃদ্ধি: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়সীমা প্রয়োজন অনুযায়ী বৃদ্ধি করতে হবে।
৮. হল সুবিধা উন্নয়ন: হলসমূহে তাদের জন্য বিশেষ কক্ষ বরাদ্দ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান। এবং একই সাথে সহযোগিতার জন্য লোক নিয়োগ করতে হবে।
৯. গ্রন্থাগারে বিশেষ সেল স্থাপন: লাইব্রেরিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল বই, শ্রবণ সহায়ক ডিভাইস, টেক্সট-টু-স্পিচ সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি সরঞ্জাম সরবরাহ পূর্বক বিশেষ সেল স্থাপন করতে হবে।
১০. চিকিৎসা সুবিধা: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসের চিকিৎসা কেন্দ্রে বিশেষায়িত সেবা চালু করতে হবে।
১১. প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সুবিধা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষে কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং প্রদান করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও যোগ্যতা শিথিল করা দরকার।
১২. বিশেষ অফিস প্রতিষ্ঠা: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ অফিস গড়ে তোলা প্রয়োজন, যে অফিস প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
পরিশেষে তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, উপরোক্ত দাবিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহানুভূতিশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে মাননীয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাবি শাখা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব স্বাক্ষরিত এই স্বারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করেন। এতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ১২টি সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
স্বারকলিপিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ জানান, আমরা একটি অন্তর্ভুক্তি মূলক সমাজ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যথাযথ সুযোগ সুবিধার অভাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে তারা দেশ ও জাতি গঠনে সক্ষমতা থাকা সত্বেও অবদান রাখতে পারছে না। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে সহজতর করার লক্ষ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। তাই, আমরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য আপনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি:
১. র্যাম্প ও লিফট স্থাপন: ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি ও আবাসিক হলগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য র্যাম্প (আনুভূমিকের সাথে ১৫ ডিগ্রী) ও লিফট স্থাপন করতে হবে।
২. শ্রুতি লেখক ব্যবস্থাপনা: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের নিজ উদ্যোগে শ্রুতি লেখকের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রুতি লেখক ব্যবস্থাপনায় যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ ও স্বেচ্ছাসেবীদের স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে প্রত্যেক হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক নিয়োগ দিতে হবে।
৩. বিশেষায়িত আসন বরাদ্দ: শ্রেণিকক্ষে এবং পরীক্ষা কক্ষে তাদের জন্য সুবিধাজনক আসন বরাদ্দ করতে হবে।
৪. বৃত্তি প্রদান ও ফি মওকুফ: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করতে সকল প্রকার ফি মওকুফ ও বিশেষ বৃত্তি চালু করা দরকার।
৫. পরিবহন সুবিধা: ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য বিশেষায়িত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।
৬. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মী আচরণ নিশ্চিত করতে নিয়মিত কর্মশালা এবং সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা।
৭. পরীক্ষায় সময় বৃদ্ধি: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়সীমা প্রয়োজন অনুযায়ী বৃদ্ধি করতে হবে।
৮. হল সুবিধা উন্নয়ন: হলসমূহে তাদের জন্য বিশেষ কক্ষ বরাদ্দ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান। এবং একই সাথে সহযোগিতার জন্য লোক নিয়োগ করতে হবে।
৯. গ্রন্থাগারে বিশেষ সেল স্থাপন: লাইব্রেরিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল বই, শ্রবণ সহায়ক ডিভাইস, টেক্সট-টু-স্পিচ সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি সরঞ্জাম সরবরাহ পূর্বক বিশেষ সেল স্থাপন করতে হবে।
১০. চিকিৎসা সুবিধা: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসের চিকিৎসা কেন্দ্রে বিশেষায়িত সেবা চালু করতে হবে।
১১. প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সুবিধা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষে কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং প্রদান করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও যোগ্যতা শিথিল করা দরকার।
১২. বিশেষ অফিস প্রতিষ্ঠা: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ অফিস গড়ে তোলা প্রয়োজন, যে অফিস প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
পরিশেষে তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, উপরোক্ত দাবিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহানুভূতিশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।