জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলচলকারী রাজধানী পরিবহনের ৩৫টি বাস আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আরিচাগামী রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন তারা।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর নাম শাহমিনা দিতি। তিনি তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৯ আবর্তনের ছাত্রী।
তিনি জানান, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক থেকে তিনি রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১২৩০৪৪। বাসটিতে উঠার পরপরই বাসটির সহকারী তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। এরপর ভাড়া নিতে চাইলে ওই ছাত্রী প্রথমে হাফ ভাড়া পাঁচ টাকা দেন, কিন্তু বাসের সহকারী নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি ফুল ভাড়া ১০ টাকা দিলেও বাসের সহকারী কটু কথা শোনান। এরপর নবীনগর স্মৃতিসৌধ এলাকায় বাসটি অযাচিত থামিয়ে রাখেন। তখন তিনি বাসটি এভাবে যেখানে–সেখানে না থামানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু বাসের সহকারী তখনো খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ তাঁর। এই ঘটনা তিনি তাঁর ইনস্টিটিউটের বন্ধুবান্ধবদের জানালে তাঁরা রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা বাস আটকাতে শুরু করলে একটি বাস না থেমে চলে যেতে থাকে। তখন এক শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পান। তখন বাসটির চালককে ধরে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। বাসগুলো থামিয়ে আটক করায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবু সৈয়দ জিন্নাহ বলেন, রাজধানী পরিবহনের ওই বাসটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী জয় বাংলা ফটক থেকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই বাসের সহকারী তাঁর সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করেন। পরে তাঁর সহপাঠীরা গাড়িগুলো আটকানো শুরু করেন। আমরা বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আসতেছে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলচলকারী রাজধানী পরিবহনের ৩৫টি বাস আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আরিচাগামী রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন তারা।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর নাম শাহমিনা দিতি। তিনি তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৯ আবর্তনের ছাত্রী।
তিনি জানান, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক থেকে তিনি রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১২৩০৪৪। বাসটিতে উঠার পরপরই বাসটির সহকারী তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। এরপর ভাড়া নিতে চাইলে ওই ছাত্রী প্রথমে হাফ ভাড়া পাঁচ টাকা দেন, কিন্তু বাসের সহকারী নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি ফুল ভাড়া ১০ টাকা দিলেও বাসের সহকারী কটু কথা শোনান। এরপর নবীনগর স্মৃতিসৌধ এলাকায় বাসটি অযাচিত থামিয়ে রাখেন। তখন তিনি বাসটি এভাবে যেখানে–সেখানে না থামানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু বাসের সহকারী তখনো খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ তাঁর। এই ঘটনা তিনি তাঁর ইনস্টিটিউটের বন্ধুবান্ধবদের জানালে তাঁরা রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা বাস আটকাতে শুরু করলে একটি বাস না থেমে চলে যেতে থাকে। তখন এক শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পান। তখন বাসটির চালককে ধরে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। বাসগুলো থামিয়ে আটক করায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবু সৈয়দ জিন্নাহ বলেন, রাজধানী পরিবহনের ওই বাসটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী জয় বাংলা ফটক থেকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই বাসের সহকারী তাঁর সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করেন। পরে তাঁর সহপাঠীরা গাড়িগুলো আটকানো শুরু করেন। আমরা বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আসতেছে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।