ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এরশাদ হালিমের দ্রুত ও কঠোর শাস্তির দাবি জানায়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘হ্যাং-হ্যাং, রাপিস্ট’, ‘জ্বালোরে-জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ধর্ষকের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘অ্যাকশন-অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, হালিমের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রসায়ন বিভাগের একদল শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়। অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট সেলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রসায়ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী স্বপন মিয়া বলেন, “এরশাদ হালিমকে শিক্ষক বলতে আমাদের লজ্জা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের নানা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিপীড়ন চালিয়ে আসছেন। ৯২ ব্যাচ থেকে ১০৪ ব্যাচ পর্যন্ত অনেকেই তার বিকৃত আচরণের শিকার হয়েছে।”
শিক্ষার্থী অরনী বলেন, “তিনি ক্লাসে পড়ালেখা করালেও ক্লাস শেষে আমাদের ফোন দিতে বলতেন। এরপর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত বিষয় পর্যন্ত জানতে চাইতেন। একজন শিক্ষকের পক্ষে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা তার বিচার চাই।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। কর্মসূচিতে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ এবং ডাকসুর সদস্য সর্বমিত্র চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্রের করা মামলায় ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এরশাদ হালিমের দ্রুত ও কঠোর শাস্তির দাবি জানায়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘হ্যাং-হ্যাং, রাপিস্ট’, ‘জ্বালোরে-জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ধর্ষকের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘অ্যাকশন-অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, হালিমের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রসায়ন বিভাগের একদল শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়। অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট সেলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রসায়ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী স্বপন মিয়া বলেন, “এরশাদ হালিমকে শিক্ষক বলতে আমাদের লজ্জা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের নানা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিপীড়ন চালিয়ে আসছেন। ৯২ ব্যাচ থেকে ১০৪ ব্যাচ পর্যন্ত অনেকেই তার বিকৃত আচরণের শিকার হয়েছে।”
শিক্ষার্থী অরনী বলেন, “তিনি ক্লাসে পড়ালেখা করালেও ক্লাস শেষে আমাদের ফোন দিতে বলতেন। এরপর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত বিষয় পর্যন্ত জানতে চাইতেন। একজন শিক্ষকের পক্ষে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা তার বিচার চাই।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। কর্মসূচিতে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ এবং ডাকসুর সদস্য সর্বমিত্র চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্রের করা মামলায় ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।