১৫ নভেম্বর ছিল প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২১ সালের এই দিনে ৮২ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন। কিন্তু ‘আগুন পাখি’ খ্যাত এই সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্রের স্মরণে রাবি প্রশাসন এবং দর্শন বিভাগ কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন করেনি।
তবে দিনটিকে স্মরণে রাখতে শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে স্মরণসভার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক জোটসহ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
হাসান আজিজুল হক ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ বছর রাবির দর্শন বিভাগে অধ্যাপনা করেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পুরস্কারসহ নানা রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত হন। মৃত্যুর পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাফন করা হয়।
*সমাধিতে শ্রদ্ধা, স্মরণসভা*
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা। সন্ধ্যায় পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত স্মরণসভায় তার জীবন ও কর্ম নিয়ে বক্তব্য দেন সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা। অনুষ্ঠানটি কবিতা আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন ও লোকসংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাসান আজিজুল হকের পুত্র ও রাবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ইমতিয়াজ হাসান। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই বাবা ছিলেন উদাসীন ও ভাবুক প্রকৃতির। তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে এবং মানুষকে বিশ্লেষণ করতে ভালোবাসতেন। এটা এক আশ্চর্য বিষয় — একজন মানুষ ব্যক্তি নয়, মানুষকে কেন্দ্র করে চিন্তা করতেন।” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিম আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও বিভিন্ন সংগঠন গঠনে হাসান স্যারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁর স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি আমরা।”
বিভাগ ও প্রশাসনের ব্যাখ্যা
দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আজকে আমাদের কোনো আয়োজন নেই। কাল অফিসিয়াল সময়ে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকার বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাইন উদ্দিন বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। কয়েকটি সংগঠন আয়োজন করেছে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো আয়োজন করা হয়নি।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
১৫ নভেম্বর ছিল প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২১ সালের এই দিনে ৮২ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন। কিন্তু ‘আগুন পাখি’ খ্যাত এই সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্রের স্মরণে রাবি প্রশাসন এবং দর্শন বিভাগ কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন করেনি।
তবে দিনটিকে স্মরণে রাখতে শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে স্মরণসভার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক জোটসহ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
হাসান আজিজুল হক ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ বছর রাবির দর্শন বিভাগে অধ্যাপনা করেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পুরস্কারসহ নানা রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত হন। মৃত্যুর পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাফন করা হয়।
*সমাধিতে শ্রদ্ধা, স্মরণসভা*
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা। সন্ধ্যায় পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত স্মরণসভায় তার জীবন ও কর্ম নিয়ে বক্তব্য দেন সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা। অনুষ্ঠানটি কবিতা আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন ও লোকসংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাসান আজিজুল হকের পুত্র ও রাবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ইমতিয়াজ হাসান। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই বাবা ছিলেন উদাসীন ও ভাবুক প্রকৃতির। তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে এবং মানুষকে বিশ্লেষণ করতে ভালোবাসতেন। এটা এক আশ্চর্য বিষয় — একজন মানুষ ব্যক্তি নয়, মানুষকে কেন্দ্র করে চিন্তা করতেন।” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিম আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও বিভিন্ন সংগঠন গঠনে হাসান স্যারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁর স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি আমরা।”
বিভাগ ও প্রশাসনের ব্যাখ্যা
দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আজকে আমাদের কোনো আয়োজন নেই। কাল অফিসিয়াল সময়ে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকার বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাইন উদ্দিন বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। কয়েকটি সংগঠন আয়োজন করেছে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো আয়োজন করা হয়নি।”