সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্তে আগের সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানিয়েছেন, আগের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা দেওয়া হতো। এ কারণে তদন্ত আগায়নি।”
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক সাগর ও রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ তখন মাত্র পাঁচ বছর বয়সী ছিল।
সাগর সে সময় মাছরাঙা টিভিতে ও রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন। তবে ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাই কোর্ট মামলাটি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, টাস্কফোর্সের তদন্ত ‘অনেকদূর’ এগিয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী শিশির মনিরের সঙ্গে মামলার বাদী নওশের রোমান ও সাগর-রুনির ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন।
মামলা দায়েরের পর তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানাকে দেওয়া হয়। তিন দিন পর তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবের কাছে দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের রহস্য উদ্ঘাটন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সে রহস্যের উদ্ঘাটন সম্ভব হয়নি।
২০২3 সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে বাদ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয় এবং ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্তে আগের সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানিয়েছেন, আগের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা দেওয়া হতো। এ কারণে তদন্ত আগায়নি।”
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক সাগর ও রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ তখন মাত্র পাঁচ বছর বয়সী ছিল।
সাগর সে সময় মাছরাঙা টিভিতে ও রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন। তবে ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাই কোর্ট মামলাটি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, টাস্কফোর্সের তদন্ত ‘অনেকদূর’ এগিয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী শিশির মনিরের সঙ্গে মামলার বাদী নওশের রোমান ও সাগর-রুনির ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন।
মামলা দায়েরের পর তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানাকে দেওয়া হয়। তিন দিন পর তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবের কাছে দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের রহস্য উদ্ঘাটন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সে রহস্যের উদ্ঘাটন সম্ভব হয়নি।
২০২3 সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে বাদ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয় এবং ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।