ঢাকার মোহাম্মদপুরের ‘অপরাধপ্রবণ’ এলাকা হিসেবে পরিচিত জেনিভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। শনিবার বিকেল থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান।
অভিযানকালে আটটি ককটেল, দুইটি পেট্রোল বোমা, ছয়টি সামুরাই, পাঁচটি হেলমেট, তিনটি ছুরি, ১১টি চোরাই মোবাইল ও ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ইবনে মিজান বলেন, “এটি মোহাম্মদপুর থানার একটি আলোচিত স্থান। যেখানে নিয়মিতভাবে অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। মাদকের বিস্তারের জন্যও এলাকাটি পরিচিত।” তিনি জানান, জেনিভা ক্যাম্পে নিয়মিত অভিযানের ধারাবাহিকতায় শনিবার একযোগে ১২০ জন পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উপকমিশনার ইবনে মিজান আরও বলেন, “গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। তারা অনেক তথ্যই দিয়েছে, পরবর্তী অভিযানের স্বার্থে সেসব এখনই প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।”
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার পতনের পর গেল বছর মাদকের কারবারের দখল নিতে কয়েক দফা সংঘাতে কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। তখন যেসব মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও ‘পুরনো ব্যবসার দখল নিতে’ সংঘাতে জড়াচ্ছে।
এত অভিযানের পরেও জেনিভা ক্যাম্পে মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সবসময় আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি, নির্মূল করাত সম্ভব না। মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী যারা আছে, আগেও তাদের নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে, আমরা হয়তো কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছে যাব।”
জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ইবনে মিজান বলেন, “পুলিশ ক্রিমিনাল জাস্টিসের একটা পার্ট। আসামি গ্রেপ্তার, তদন্ত প্রক্রিয়া আমার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করে থাকি। বাকি যে অংশটুকু আছে, সেটি অন্য সংস্থা করে থাকে। সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা সমিচীন হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর, ৫ অগাস্টের পর থেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধের চরম বিস্ফোরণ ঘটেছে। গত ৬-৭ মাসে আমরা তিন হাজারের বেশি আইনের আওতায় এনেছি। ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি। পরে হয়ত অপরাধীরা অন্য এলাকাকে বেছে নিচ্ছে। তবে আমরা থেমে নেই, অভিযান চলমান রয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।”
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকার মোহাম্মদপুরের ‘অপরাধপ্রবণ’ এলাকা হিসেবে পরিচিত জেনিভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। শনিবার বিকেল থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান।
অভিযানকালে আটটি ককটেল, দুইটি পেট্রোল বোমা, ছয়টি সামুরাই, পাঁচটি হেলমেট, তিনটি ছুরি, ১১টি চোরাই মোবাইল ও ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ইবনে মিজান বলেন, “এটি মোহাম্মদপুর থানার একটি আলোচিত স্থান। যেখানে নিয়মিতভাবে অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। মাদকের বিস্তারের জন্যও এলাকাটি পরিচিত।” তিনি জানান, জেনিভা ক্যাম্পে নিয়মিত অভিযানের ধারাবাহিকতায় শনিবার একযোগে ১২০ জন পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উপকমিশনার ইবনে মিজান আরও বলেন, “গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। তারা অনেক তথ্যই দিয়েছে, পরবর্তী অভিযানের স্বার্থে সেসব এখনই প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।”
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার পতনের পর গেল বছর মাদকের কারবারের দখল নিতে কয়েক দফা সংঘাতে কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। তখন যেসব মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও ‘পুরনো ব্যবসার দখল নিতে’ সংঘাতে জড়াচ্ছে।
এত অভিযানের পরেও জেনিভা ক্যাম্পে মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সবসময় আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি, নির্মূল করাত সম্ভব না। মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী যারা আছে, আগেও তাদের নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে, আমরা হয়তো কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছে যাব।”
জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ইবনে মিজান বলেন, “পুলিশ ক্রিমিনাল জাস্টিসের একটা পার্ট। আসামি গ্রেপ্তার, তদন্ত প্রক্রিয়া আমার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করে থাকি। বাকি যে অংশটুকু আছে, সেটি অন্য সংস্থা করে থাকে। সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা সমিচীন হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর, ৫ অগাস্টের পর থেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধের চরম বিস্ফোরণ ঘটেছে। গত ৬-৭ মাসে আমরা তিন হাজারের বেশি আইনের আওতায় এনেছি। ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি। পরে হয়ত অপরাধীরা অন্য এলাকাকে বেছে নিচ্ছে। তবে আমরা থেমে নেই, অভিযান চলমান রয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।”