সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
বন্যা পরবর্তী সিলেট নগরে রাস্তা-ঘাট সংস্কার, শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ ও সুরমা নদী খনন চান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কেও মন্ত্রীকে অবগত করেন তিনি।
মেয়র আরিফ গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠকের পর প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বিষয় তাকে জানান। মন্ত্রীর কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় এ প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানান মেয়র আরিফুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে লিখিতভাবে মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের বন্যায় সিলেট নগরের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য রাস্তা-ঘাটের সংস্কার প্রয়োজন। শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ দরকার। এছাড়া সুরমা নদী খননের বিষয়েও লিখিত চিঠিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি অনুমোদন পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে কী পরিমাণ টাকা ব্যায় হতে পারে সেই বাজেট দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সিলেট নগরে সাম্প্রতিক বন্যায় কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ও মহানগর মিলিয়ে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষত সারাতে সড়কগুলো সংস্কার করতে প্রয়োজন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
দায়িত্বশীলরা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনস্থ প্রায় ৭২ কিলোমিটার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ২৬৭ কিলোমিটার এবং সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরইমধ্যে মেয়র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন।
গত বছর মেয়র নগরের ৬০-৭০ ভাগ জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি করেছিলেন। অথচ এক বছর পর এবারও বৃষ্টি ও নদীর পানিতে ভাসে সিলেট নগর। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৮৬ সালের পর এমন পানি আর দেখেননি। আর প্রতি বছরই আশ্বাসের বাণী শোনানো হয়, উন্নয়ন প্রকল্প চলমান, কাজ শেষ হলেই আর সমস্যা হবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে শত শত কোটি টাকা ব্যায় দেখিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। গত দশ বছরে ৫০০ কোটি টাকার উপরে ব্যায় দেখানো হলেও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি।
গত বছরও এ খাতে ১২৯ কোটি টাকা ব্যায় দেখানো হয়েছে। যাকে সংশ্লিষ্টরা উন্নয়ন কাজ চলমান বলে জানান দিচ্ছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এবারও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের কারণে আরও বড় ধরনের বাজেট বরাদ্দ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
বন্যা পরবর্তী সিলেট নগরে রাস্তা-ঘাট সংস্কার, শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ ও সুরমা নদী খনন চান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কেও মন্ত্রীকে অবগত করেন তিনি।
মেয়র আরিফ গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠকের পর প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বিষয় তাকে জানান। মন্ত্রীর কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় এ প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানান মেয়র আরিফুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে লিখিতভাবে মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের বন্যায় সিলেট নগরের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য রাস্তা-ঘাটের সংস্কার প্রয়োজন। শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ দরকার। এছাড়া সুরমা নদী খননের বিষয়েও লিখিত চিঠিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি অনুমোদন পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে কী পরিমাণ টাকা ব্যায় হতে পারে সেই বাজেট দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সিলেট নগরে সাম্প্রতিক বন্যায় কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ও মহানগর মিলিয়ে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষত সারাতে সড়কগুলো সংস্কার করতে প্রয়োজন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
দায়িত্বশীলরা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনস্থ প্রায় ৭২ কিলোমিটার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ২৬৭ কিলোমিটার এবং সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরইমধ্যে মেয়র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন।
গত বছর মেয়র নগরের ৬০-৭০ ভাগ জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি করেছিলেন। অথচ এক বছর পর এবারও বৃষ্টি ও নদীর পানিতে ভাসে সিলেট নগর। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৮৬ সালের পর এমন পানি আর দেখেননি। আর প্রতি বছরই আশ্বাসের বাণী শোনানো হয়, উন্নয়ন প্রকল্প চলমান, কাজ শেষ হলেই আর সমস্যা হবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে শত শত কোটি টাকা ব্যায় দেখিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। গত দশ বছরে ৫০০ কোটি টাকার উপরে ব্যায় দেখানো হলেও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি।
গত বছরও এ খাতে ১২৯ কোটি টাকা ব্যায় দেখানো হয়েছে। যাকে সংশ্লিষ্টরা উন্নয়ন কাজ চলমান বলে জানান দিচ্ছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এবারও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের কারণে আরও বড় ধরনের বাজেট বরাদ্দ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।