alt

নগর-মহানগর

প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ ‘অদক্ষ ধাত্রী’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

স্বাধীনতার পর দেশে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন মা এবং ৫শ’ নবজাতকের মৃত্যু হতো। বর্তমানে তা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রতি লাখে ১৬৪ মায়ের মৃত্যু হয়। তবে এটিকে আরও কমিয়ে ১শ’র নিচে নামিয়ে আনতে হবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে ৭০ এ নামাতে হবে। তবে আমরা মাতৃমৃত্যু শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসতে চাই বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গাইনী চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)’র সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশের মহিলাদের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি হয়ে থাকে, যে কারণে মাতৃমৃত্যু রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মা ও নবজাতকের সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিতের তাগিদের পাশাপাশি কমিউনিটি পর্যায়ে মিডওয়াইফদের পদায়ন, প্রশিক্ষিত ধাত্রীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ফেরদৌসী আরও বলেন, মাতৃমৃত্যু প্রধানত দুইটি কারণে হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি, দ্বিতীয়ত হলো রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনি। মা ও শিশুদের মৃত্যু মোকাবিলায় ডেলিভারি রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগীরা এমন অবস্থায় হাসপাতালে আসেন, যখন আর কিছুই করার থাকে না। মাতৃমৃত্যু রোধে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মায়েদের হাসপাতালে আনা। তাদের হাসপাতালে আনতে পারলে মাতৃমৃত্যু সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।

অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘গর্ভধারণের সময় থেকে শুরু করে সন্তান প্রসবের ৪২ দিন পর্যন্ত অন্য কোন দুর্ঘটনা ছাড়া কোন নারীর মৃত্যুকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে বলা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে একজন নারী নিজের সিদ্ধান্তে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, যতœ ও পুষ্টিকর খাবার পাবেন। প্রসবপূর্ব কমপক্ষে চারবার চেক-আপ করে। এই চেক আপ যদি আটবার করা হয় তবে তা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব ভালো। সন্তান প্রসবের সময়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ দাই (স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্ট বা মিডওয়াইফারি) দ্বারা সন্তান প্রসব এবং প্রসব-পরবর্তী সময়ে সঠিক পরিচর্যা করা এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক গুলশান আরা। এছাড়া অধ্যাপক কোহিনুর বেগম, অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান, অধ্যাপক সেহেরিন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক রওশন আরা বেগম প্রমুখ চিকিৎসক বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা পর্বে যাওয়ার আগে ‘ওজিএসবি স্বাস্থ্যশিক্ষা’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়।

ছবি

রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় আইডিয়াল ছাত্রের মৃত্যু

ছবি

আনু মুহাম্মদের ক্ষতিগ্রস্ত পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

ছবি

এবার এডিসের লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা: মেয়র আতিক

ছবি

রিহ্যাবের মতামত ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত না করার দাবি

ছবি

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা, দাম বাড়ানোর দাবি

ছবি

ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের

ছবি

রেকি করে ফাঁকা ঢাকায় চুরি করতেন তারা

ছবি

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে আইনজীবীদের গাউন পড়নে শিথিলতা

ছবি

হাতিরঝিলে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

ছবি

শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস

ছবি

শিশু হাসপাতালে আগুন, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাইদা বাস থার্ড টার্মিনালে, প্রকৌশলী নিহত

ছবি

ঢাকা শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

ছবি

ভাষানটেকে বাবা-মা-দাদির পরে চলে গেল লামিয়াও

ছবি

যমুনা এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার, ঢাকামুখী পথ সচল

ছবি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

ছবি

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: শাশুড়ি ও স্ত্রীর পর স্বামীও মারা গেছে

ছবি

পহেলা বৈশাখে জাহানারা জাদুঘরের বিশেষ প্রদর্শনী

ছবি

চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

ছবি

ঢাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৮

ঢাবি চারুকলার বকুলতলায় গান-নাচ-আবৃত্তিতে চৈত্রসংক্রান্তি উদ্‌যাপন

ছবি

ঢাকায় এসেছে ইসরায়েলের ফ্লাইট, বেবিচকের ব্যাখা

ছবি

বর্ষবরণের অপেক্ষায় রমনা

ছবি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গাড়িতে আগুন লাগে জানান পুলিশ

লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড

ছবি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর প্রাইভেট কারে আগুন

রাজধানীর শাহজাদপুরে বুথের নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা

ছবি

যাত্রীদের পিটুনিতে হয়নি চালক-সহকারীর মৃত্যু, হেলপার গল্প সাজিয়েছে বলছে পুলিশ

ছবি

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

ছবি

মেট্রোরেলের পিলারে বাসের ধাক্কা

ছবি

কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় কোনো শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

আবাসিক হোটেল থেকে নির্মাতা সোহানুর রহমানের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

কেটলির শর্টসার্কিট থেকে লিকেজের গ্যাসে বিস্তার

tab

নগর-মহানগর

প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ ‘অদক্ষ ধাত্রী’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

স্বাধীনতার পর দেশে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন মা এবং ৫শ’ নবজাতকের মৃত্যু হতো। বর্তমানে তা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রতি লাখে ১৬৪ মায়ের মৃত্যু হয়। তবে এটিকে আরও কমিয়ে ১শ’র নিচে নামিয়ে আনতে হবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে ৭০ এ নামাতে হবে। তবে আমরা মাতৃমৃত্যু শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসতে চাই বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গাইনী চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)’র সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশের মহিলাদের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি হয়ে থাকে, যে কারণে মাতৃমৃত্যু রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মা ও নবজাতকের সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিতের তাগিদের পাশাপাশি কমিউনিটি পর্যায়ে মিডওয়াইফদের পদায়ন, প্রশিক্ষিত ধাত্রীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ফেরদৌসী আরও বলেন, মাতৃমৃত্যু প্রধানত দুইটি কারণে হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি, দ্বিতীয়ত হলো রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনি। মা ও শিশুদের মৃত্যু মোকাবিলায় ডেলিভারি রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগীরা এমন অবস্থায় হাসপাতালে আসেন, যখন আর কিছুই করার থাকে না। মাতৃমৃত্যু রোধে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মায়েদের হাসপাতালে আনা। তাদের হাসপাতালে আনতে পারলে মাতৃমৃত্যু সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।

অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘গর্ভধারণের সময় থেকে শুরু করে সন্তান প্রসবের ৪২ দিন পর্যন্ত অন্য কোন দুর্ঘটনা ছাড়া কোন নারীর মৃত্যুকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে বলা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে একজন নারী নিজের সিদ্ধান্তে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, যতœ ও পুষ্টিকর খাবার পাবেন। প্রসবপূর্ব কমপক্ষে চারবার চেক-আপ করে। এই চেক আপ যদি আটবার করা হয় তবে তা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব ভালো। সন্তান প্রসবের সময়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ দাই (স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্ট বা মিডওয়াইফারি) দ্বারা সন্তান প্রসব এবং প্রসব-পরবর্তী সময়ে সঠিক পরিচর্যা করা এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক গুলশান আরা। এছাড়া অধ্যাপক কোহিনুর বেগম, অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান, অধ্যাপক সেহেরিন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক রওশন আরা বেগম প্রমুখ চিকিৎসক বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা পর্বে যাওয়ার আগে ‘ওজিএসবি স্বাস্থ্যশিক্ষা’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়।

back to top