স্বাধীনতার পর দেশে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন মা এবং ৫শ’ নবজাতকের মৃত্যু হতো। বর্তমানে তা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রতি লাখে ১৬৪ মায়ের মৃত্যু হয়। তবে এটিকে আরও কমিয়ে ১শ’র নিচে নামিয়ে আনতে হবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে ৭০ এ নামাতে হবে। তবে আমরা মাতৃমৃত্যু শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসতে চাই বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গাইনী চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)’র সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশের মহিলাদের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি হয়ে থাকে, যে কারণে মাতৃমৃত্যু রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মা ও নবজাতকের সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিতের তাগিদের পাশাপাশি কমিউনিটি পর্যায়ে মিডওয়াইফদের পদায়ন, প্রশিক্ষিত ধাত্রীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ফেরদৌসী আরও বলেন, মাতৃমৃত্যু প্রধানত দুইটি কারণে হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি, দ্বিতীয়ত হলো রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনি। মা ও শিশুদের মৃত্যু মোকাবিলায় ডেলিভারি রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগীরা এমন অবস্থায় হাসপাতালে আসেন, যখন আর কিছুই করার থাকে না। মাতৃমৃত্যু রোধে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মায়েদের হাসপাতালে আনা। তাদের হাসপাতালে আনতে পারলে মাতৃমৃত্যু সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘গর্ভধারণের সময় থেকে শুরু করে সন্তান প্রসবের ৪২ দিন পর্যন্ত অন্য কোন দুর্ঘটনা ছাড়া কোন নারীর মৃত্যুকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে একজন নারী নিজের সিদ্ধান্তে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, যতœ ও পুষ্টিকর খাবার পাবেন। প্রসবপূর্ব কমপক্ষে চারবার চেক-আপ করে। এই চেক আপ যদি আটবার করা হয় তবে তা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব ভালো। সন্তান প্রসবের সময়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ দাই (স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্ট বা মিডওয়াইফারি) দ্বারা সন্তান প্রসব এবং প্রসব-পরবর্তী সময়ে সঠিক পরিচর্যা করা এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক গুলশান আরা। এছাড়া অধ্যাপক কোহিনুর বেগম, অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান, অধ্যাপক সেহেরিন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক রওশন আরা বেগম প্রমুখ চিকিৎসক বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা পর্বে যাওয়ার আগে ‘ওজিএসবি স্বাস্থ্যশিক্ষা’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়।
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
স্বাধীনতার পর দেশে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন মা এবং ৫শ’ নবজাতকের মৃত্যু হতো। বর্তমানে তা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রতি লাখে ১৬৪ মায়ের মৃত্যু হয়। তবে এটিকে আরও কমিয়ে ১শ’র নিচে নামিয়ে আনতে হবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে ৭০ এ নামাতে হবে। তবে আমরা মাতৃমৃত্যু শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসতে চাই বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গাইনী চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)’র সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশের মহিলাদের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি হয়ে থাকে, যে কারণে মাতৃমৃত্যু রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মা ও নবজাতকের সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিতের তাগিদের পাশাপাশি কমিউনিটি পর্যায়ে মিডওয়াইফদের পদায়ন, প্রশিক্ষিত ধাত্রীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ফেরদৌসী আরও বলেন, মাতৃমৃত্যু প্রধানত দুইটি কারণে হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি, দ্বিতীয়ত হলো রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনি। মা ও শিশুদের মৃত্যু মোকাবিলায় ডেলিভারি রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগীরা এমন অবস্থায় হাসপাতালে আসেন, যখন আর কিছুই করার থাকে না। মাতৃমৃত্যু রোধে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মায়েদের হাসপাতালে আনা। তাদের হাসপাতালে আনতে পারলে মাতৃমৃত্যু সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘গর্ভধারণের সময় থেকে শুরু করে সন্তান প্রসবের ৪২ দিন পর্যন্ত অন্য কোন দুর্ঘটনা ছাড়া কোন নারীর মৃত্যুকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে একজন নারী নিজের সিদ্ধান্তে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, যতœ ও পুষ্টিকর খাবার পাবেন। প্রসবপূর্ব কমপক্ষে চারবার চেক-আপ করে। এই চেক আপ যদি আটবার করা হয় তবে তা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব ভালো। সন্তান প্রসবের সময়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ দাই (স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্ট বা মিডওয়াইফারি) দ্বারা সন্তান প্রসব এবং প্রসব-পরবর্তী সময়ে সঠিক পরিচর্যা করা এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক গুলশান আরা। এছাড়া অধ্যাপক কোহিনুর বেগম, অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান, অধ্যাপক সেহেরিন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক রওশন আরা বেগম প্রমুখ চিকিৎসক বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা পর্বে যাওয়ার আগে ‘ওজিএসবি স্বাস্থ্যশিক্ষা’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়।