ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী, অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিনই তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য ১২ অক্টোবর তারিখ ঠিক করে দেয়। এদিন আসাদুজ্জামান নূরকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী কাওছার আহমেদ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে জহিরুল ইসলাম জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। রোববারই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আগামী ১১ জানুয়ারি তা দাখিল করতে বলেছে আদালত।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযানের মধ্যে সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার হত্যাকা-ের মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। গত ৩০ জুলাই নূরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এবং ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বেশি ‘মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগে মামলা করে দুদক।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে তার অ্যাকাউন্টে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদকের মামলার তথ্য অনুযায়ী, নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস ‘অস্পষ্ট’। ২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী, অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিনই তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য ১২ অক্টোবর তারিখ ঠিক করে দেয়। এদিন আসাদুজ্জামান নূরকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী কাওছার আহমেদ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে জহিরুল ইসলাম জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। রোববারই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আগামী ১১ জানুয়ারি তা দাখিল করতে বলেছে আদালত।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযানের মধ্যে সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার হত্যাকা-ের মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। গত ৩০ জুলাই নূরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এবং ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বেশি ‘মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগে মামলা করে দুদক।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে তার অ্যাকাউন্টে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদকের মামলার তথ্য অনুযায়ী, নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস ‘অস্পষ্ট’। ২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।