অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বোমা দরকার নেই, শিক্ষাব্যবস্হাকে আঘাত করলেই হয়। বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যাচ্ছে তখনই একটি মহল শিক্ষকদের পেছনে লাগে। সার্বজনীন পেনশন স্কিম সুন্দর একটা স্কিম কিন্তু একটি মহল অল্প কয়েকজন পেশাজীবিকে অন্তর্ভুক্ত করে নিজেদের আওতামুক্ত রেখেছে। এধরণের স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সার্বজনীন শব্দটার যথার্থ ব্যবহার হওয়া উচিত। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলন করতে হবে।
মানববন্ধনে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি বলেন, শিক্ষকরা সহজে কিছু পান না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অযৌক্তিক কিছু আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারতো না। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ না থাকায় আমাদের ওপর এ স্কিম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কঠোর আন্দোলন করতে হবে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, সার্বজনীন বলতে যা বুঝি সেখানে হয়তো গড়মিল আছে আমার বুঝার। এক শ্রেণীকে বাদ দিয়ে কিছু অংশকে স্কিমের আওতায় আনা কিভাবে সার্বজনীন হয়। আমি সরকারকে অনুরোধ করবো পেশাজীবিদের মধ্যে সার্বজনীনতা বজায় রাখার নিশ্চয়তা করতে হবে। কালো প্রথা চালু করার আগে সরকারকে আরেকবার ভাবার অনুরোধ করছি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মাশরিক হাসান বলেন, প্রত্যয় স্কিমে বয়সসীমা ৬০ বছর দেয়া কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বয়সসীমা ৬৫ বছর তাই এখানে একটি ধোঁয়াশা রয়েছে। তাছাড়া আমলারা নিজেরা এ স্কিমের আওতাভুক্ত না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংযুক্ত করে বড় বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী মঙ্গলবার দুই ঘন্টার কর্মবিরতিতে যাবো বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের কর্মসূচি অনুযায়ী।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, সরকার প্রথমে চালু করেছিল যারা পেনশন সুবিধা পান না তাদের জন্য, কিন্তু পরে কোনো এক কুচক্রীমহল এটা করেছে। পরবর্তী কর্মসূচি তে যাতে যাওয়া না লাগে তার আগেই আশা করি সরকার আমাদের দাবি মেনে নিবে। প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে।
রোববার, ২৬ মে ২০২৪
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বোমা দরকার নেই, শিক্ষাব্যবস্হাকে আঘাত করলেই হয়। বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যাচ্ছে তখনই একটি মহল শিক্ষকদের পেছনে লাগে। সার্বজনীন পেনশন স্কিম সুন্দর একটা স্কিম কিন্তু একটি মহল অল্প কয়েকজন পেশাজীবিকে অন্তর্ভুক্ত করে নিজেদের আওতামুক্ত রেখেছে। এধরণের স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সার্বজনীন শব্দটার যথার্থ ব্যবহার হওয়া উচিত। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলন করতে হবে।
মানববন্ধনে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি বলেন, শিক্ষকরা সহজে কিছু পান না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অযৌক্তিক কিছু আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারতো না। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ না থাকায় আমাদের ওপর এ স্কিম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কঠোর আন্দোলন করতে হবে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, সার্বজনীন বলতে যা বুঝি সেখানে হয়তো গড়মিল আছে আমার বুঝার। এক শ্রেণীকে বাদ দিয়ে কিছু অংশকে স্কিমের আওতায় আনা কিভাবে সার্বজনীন হয়। আমি সরকারকে অনুরোধ করবো পেশাজীবিদের মধ্যে সার্বজনীনতা বজায় রাখার নিশ্চয়তা করতে হবে। কালো প্রথা চালু করার আগে সরকারকে আরেকবার ভাবার অনুরোধ করছি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মাশরিক হাসান বলেন, প্রত্যয় স্কিমে বয়সসীমা ৬০ বছর দেয়া কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বয়সসীমা ৬৫ বছর তাই এখানে একটি ধোঁয়াশা রয়েছে। তাছাড়া আমলারা নিজেরা এ স্কিমের আওতাভুক্ত না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংযুক্ত করে বড় বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী মঙ্গলবার দুই ঘন্টার কর্মবিরতিতে যাবো বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের কর্মসূচি অনুযায়ী।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, সরকার প্রথমে চালু করেছিল যারা পেনশন সুবিধা পান না তাদের জন্য, কিন্তু পরে কোনো এক কুচক্রীমহল এটা করেছে। পরবর্তী কর্মসূচি তে যাতে যাওয়া না লাগে তার আগেই আশা করি সরকার আমাদের দাবি মেনে নিবে। প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে।