ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে, যেখানে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ কোটি ৫ লাখ টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, সেই হিসেবে গবেষণায় এবার ৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এই বাজেট পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “গবেষণার জন্য বরাদ্দকৃত ২০ কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমান যুগে নতুন উদ্ভাবনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় না করলে সফলতা অর্জন করা কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন। প্রত্যেকের জন্য গড়ে মাত্র ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে বড় ধরনের মৌলিক গবেষণা করা সম্ভব নয়।”
অধ্যাপক মমতাজ আরও উল্লেখ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং উন্নত করতে হলে গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা আশা করি, এই খাতে বাজেট বরাদ্দ বহুলাংশে বৃদ্ধি করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে।”
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এই বাজেট পেশ করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটের ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা আসবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে অনুদান হিসেবে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। তবে এতে ৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ঘাটতি রয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৫.৩৭%।
বাজেটের ৬৭ শতাংশ, অর্থাৎ ৬৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ।
অধ্যাপক মমতাজ বলেন, "নতুন অর্থবছরের জন্য আমরা ইউজিসি থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাইনি। আমাদের চাহিদা ছিল ১১৩১ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা, কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা প্রয়োজনের তুলনায় ৩২৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা কম।”
গত অর্থবছরে ঢাবির বাজেট ছিল ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। পরে সংশোধিত বাজেট ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। এর মধ্যে ইউজিসির অনুদান ছিল ৭৭৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং নিজস্ব আয় ৯০ কোটি টাকা, ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছিল ৮১ কোটি ৩৭ লাখ টাকায়।
উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চশিক্ষা বিস্তার করে আসছে। নতুন শতকের চাহিদা অনুযায়ী এ বিদ্যাপীঠের রূপান্তর এখন সময়ের দাবি।”?
বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে, যেখানে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ কোটি ৫ লাখ টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, সেই হিসেবে গবেষণায় এবার ৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এই বাজেট পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “গবেষণার জন্য বরাদ্দকৃত ২০ কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমান যুগে নতুন উদ্ভাবনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় না করলে সফলতা অর্জন করা কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন। প্রত্যেকের জন্য গড়ে মাত্র ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে বড় ধরনের মৌলিক গবেষণা করা সম্ভব নয়।”
অধ্যাপক মমতাজ আরও উল্লেখ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং উন্নত করতে হলে গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা আশা করি, এই খাতে বাজেট বরাদ্দ বহুলাংশে বৃদ্ধি করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে।”
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এই বাজেট পেশ করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটের ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা আসবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে অনুদান হিসেবে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। তবে এতে ৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ঘাটতি রয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৫.৩৭%।
বাজেটের ৬৭ শতাংশ, অর্থাৎ ৬৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ।
অধ্যাপক মমতাজ বলেন, "নতুন অর্থবছরের জন্য আমরা ইউজিসি থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাইনি। আমাদের চাহিদা ছিল ১১৩১ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা, কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা প্রয়োজনের তুলনায় ৩২৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা কম।”
গত অর্থবছরে ঢাবির বাজেট ছিল ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। পরে সংশোধিত বাজেট ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। এর মধ্যে ইউজিসির অনুদান ছিল ৭৭৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং নিজস্ব আয় ৯০ কোটি টাকা, ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছিল ৮১ কোটি ৩৭ লাখ টাকায়।
উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চশিক্ষা বিস্তার করে আসছে। নতুন শতকের চাহিদা অনুযায়ী এ বিদ্যাপীঠের রূপান্তর এখন সময়ের দাবি।”?