ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে মায়ানমার থেকে প্রায় ৯০০ সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গির অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে এই অনুপ্রবেশের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন ভারতের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদিপ সিং জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে এবং চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। রাজ্যের পাহাড়ি জেলাগুলো, যেখানে কুকি সম্প্রদায়ের প্রধান বসতি, সেখানে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তবে কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (কেএসও) এই অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে এবং ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেছে। তাদের দাবি, মণিপুরে কুকি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের কোনো ঘটনা ঘটেনি, বরং ওই কর্মকর্তা কুকি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন।
মে ২০২৩ থেকে মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই ও সংখ্যালঘু কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান দাঙ্গার পেছনে অর্থনৈতিক সুবিধা ও কোটার বিতর্ককে মূল কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সম্প্রতি রাজ্যে ড্রোন হামলার ঘটনায় কুকি জঙ্গিদের অভিযুক্ত করা হলেও কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে মায়ানমার থেকে প্রায় ৯০০ সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গির অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে এই অনুপ্রবেশের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন ভারতের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদিপ সিং জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে এবং চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। রাজ্যের পাহাড়ি জেলাগুলো, যেখানে কুকি সম্প্রদায়ের প্রধান বসতি, সেখানে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তবে কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (কেএসও) এই অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে এবং ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেছে। তাদের দাবি, মণিপুরে কুকি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের কোনো ঘটনা ঘটেনি, বরং ওই কর্মকর্তা কুকি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন।
মে ২০২৩ থেকে মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই ও সংখ্যালঘু কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান দাঙ্গার পেছনে অর্থনৈতিক সুবিধা ও কোটার বিতর্ককে মূল কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সম্প্রতি রাজ্যে ড্রোন হামলার ঘটনায় কুকি জঙ্গিদের অভিযুক্ত করা হলেও কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে।