alt

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সানায়ে তাকাইচি

বিদেশী সংবাদ মাধোম : রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

জাপানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে পারে দেশটি। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব পদে কট্টর রক্ষণশীল নেতা সানায়ে তাকাইচি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন। এমন এক দেশে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক, যেখানে নারী নেতৃত্ব এখনো বিরল।

আগামী ৪ অক্টোবর এলডিপির ভোট অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দীর্ঘদিন ধরেই তাকাইচি এগিয়ে রয়েছেন, বিশেষ করে কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমির সঙ্গে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। গত বছর তাকাইচি অল্পের জন্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার কাছে রানঅফ পর্বে হেরে গিয়েছিলেন, কিন্তু এবার তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদি তাকাইচি দলীয় ভোটের পাশাপাশি সংসদীয় ভোটেও জয় পান, তবে তিনিই হবেন জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক লিঙ্গ সমতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা জাপানের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হতে পারে।

নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও লিঙ্গবিষয়ক গবেষক হিরোকো তাকেদা বলেন, ‘একজন নারী যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তা জাপানকে বিশ্ববাসীর চোখে এক নতুন আলোকে তুলে ধরতে পারে।’ বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ সূচকে ১৪৮টি দেশের মধ্যে জাপান ১১৮তম স্থানে রয়েছে, যা সেনেগাল ও অ্যাঙ্গোলার মতো দেশেরও নিচে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে জাপান সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে; কারণ সেখানে কখনোই কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হননি। ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাপানের নিম্নকক্ষ পার্লামেন্টে নারীর সংখ্যা মাত্র ১৫.৭%, যেখানে বৈশ্বিক গড় ২৭.১% এবং এশীয় গড় ২২.১%।

নারা প্রিফেকচারের বাসিন্দা তাকাইচি জানিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তার প্রেরণার উৎস। একসময় নারী ইস্যুতে সক্রিয় না থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাকাইচির অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন যে, বেবিসিটারের খরচ আংশিক করছাড়ের আওতায় আনা হবে এবং যেসব কোম্পানি ইন-হাউস চাইল্ড কেয়ার দেবে, তাদের কর ছাড় দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে জীবনে তিনবার নার্সিং ও কেয়ারগিভিংয়ের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তাই আমি দৃঢ? প্রতিজ্ঞ যে, কাউকে যেন আর কর্মজীবন ত্যাগ করতে না হয় শিশু পালন, কেয়ারগিভিং বা সন্তান স্কুলে না যাওয়ার কারণে।’ তিনি মেনোপজ সংক্রান্ত নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তাকাইচির এই সহানুভূতিশীল অবস্থান এখন তরুণ সংস্কারপন্থী কোইজুমির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বৈচিত্র্য ও লিঙ্গ সমতার পক্ষে কাজ করছেন।

ছবি

গাজায় জাতিসংঘ কেন এত অক্ষম, এত অসহায়

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের পরের ‘টার্গেট’ কি তুরস্ক

ছবি

সাইবার হামলা, ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিপর্যয়

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল করেছে কানাডা

ছবি

তালেবানরা বাগরাম ঘাঁটি দিতে না চাওয়ায় এবার ট্রাম্পের হুমকি

ছবি

এইচ-১বি ভিসায় এককালীন এক লাখ ডলার ফি, বিদ্যমান ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়: হোয়াইট হাউস

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

ছবি

অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে ডাচ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

দক্ষ কর্মী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গেলে বছরে ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে

ছবি

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর আরব আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

ছবি

মণিপুরে অতর্কিত হামলায় দুই ভারতীয় সেনা নিহত

ছবি

এবার চার্লস–ক্যামিলাকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণের পরিকল্পনা ট্রাম্পের

ছবি

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত ৭৮

ছবি

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

ছবি

বাগরাম ঘাঁটি ফেরত চান ট্রাম্প, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান তালেবানের

ছবি

পাকিস্তান-সৌদি আরব চুক্তির নেপথ্যে কি অর্থ ও অস্ত্রের বিনিময়?

ছবি

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে পর্তুগাল

ছবি

জাতিসংঘে ইরানের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নাকচ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অক্টোবরে ট্রাম্প–সি বৈঠক

ছবি

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত ৭৮ জন

ছবি

ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত: বছরে ১ লাখ ডলার এইচ-১বি ভিসা ফি

ছবি

আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের লেখা বই নিষিদ্ধ করলো তালেবান

ছবি

ইসরায়েলের অস্ত্রের চালান আটকে দিলো ইতালির বন্দর

ছবি

ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রথম বিবৃতিতে তীব্র ভাষায় ভারতের সমালোচনা করলেন অলি

ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধে কতজন রুশ সেনা লড়ছে, জানালেন পুতিন

ছবি

জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ষষ্ঠবার ভেটো দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

পাকিস্তান কি সৌদি আরবকে পারমাণবিক সুরক্ষা দেবে?

ছবি

ইসরায়েলকে কি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কোণঠাসা করা সম্ভব?

ছবি

ভারতে মাটিচাপা দেয়া কন্যাশিশু উদ্ধার, বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চিকিৎসকদের

ছবি

বন্যা, দুর্নীতি আর ‘নেপো বেবি’দের নিয়ে ক্ষোভ ফিলিপাইনেও

ছবি

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

এমপিদের নতুন গাড়ি ও বাড়তি সুবিধার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব তিমুর

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবিতে পিটিশন ইসরায়েলে

ছবি

আক্রান্ত হলে পরস্পরকে রক্ষা করবে সৌদি আরব-পাকিস্তান

ছবি

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করলেন ট্রাম্প

ছবি

নেপালে জেন-জিরা কেন প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল

tab

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সানায়ে তাকাইচি

বিদেশী সংবাদ মাধোম

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাপানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে পারে দেশটি। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব পদে কট্টর রক্ষণশীল নেতা সানায়ে তাকাইচি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন। এমন এক দেশে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক, যেখানে নারী নেতৃত্ব এখনো বিরল।

আগামী ৪ অক্টোবর এলডিপির ভোট অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দীর্ঘদিন ধরেই তাকাইচি এগিয়ে রয়েছেন, বিশেষ করে কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমির সঙ্গে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। গত বছর তাকাইচি অল্পের জন্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার কাছে রানঅফ পর্বে হেরে গিয়েছিলেন, কিন্তু এবার তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদি তাকাইচি দলীয় ভোটের পাশাপাশি সংসদীয় ভোটেও জয় পান, তবে তিনিই হবেন জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক লিঙ্গ সমতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা জাপানের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হতে পারে।

নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও লিঙ্গবিষয়ক গবেষক হিরোকো তাকেদা বলেন, ‘একজন নারী যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তা জাপানকে বিশ্ববাসীর চোখে এক নতুন আলোকে তুলে ধরতে পারে।’ বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ সূচকে ১৪৮টি দেশের মধ্যে জাপান ১১৮তম স্থানে রয়েছে, যা সেনেগাল ও অ্যাঙ্গোলার মতো দেশেরও নিচে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে জাপান সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে; কারণ সেখানে কখনোই কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হননি। ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাপানের নিম্নকক্ষ পার্লামেন্টে নারীর সংখ্যা মাত্র ১৫.৭%, যেখানে বৈশ্বিক গড় ২৭.১% এবং এশীয় গড় ২২.১%।

নারা প্রিফেকচারের বাসিন্দা তাকাইচি জানিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তার প্রেরণার উৎস। একসময় নারী ইস্যুতে সক্রিয় না থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাকাইচির অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন যে, বেবিসিটারের খরচ আংশিক করছাড়ের আওতায় আনা হবে এবং যেসব কোম্পানি ইন-হাউস চাইল্ড কেয়ার দেবে, তাদের কর ছাড় দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে জীবনে তিনবার নার্সিং ও কেয়ারগিভিংয়ের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তাই আমি দৃঢ? প্রতিজ্ঞ যে, কাউকে যেন আর কর্মজীবন ত্যাগ করতে না হয় শিশু পালন, কেয়ারগিভিং বা সন্তান স্কুলে না যাওয়ার কারণে।’ তিনি মেনোপজ সংক্রান্ত নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তাকাইচির এই সহানুভূতিশীল অবস্থান এখন তরুণ সংস্কারপন্থী কোইজুমির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বৈচিত্র্য ও লিঙ্গ সমতার পক্ষে কাজ করছেন।

back to top