২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্ম নেওয়া কেউ মালদ্বীপে কোনো ধরনের তামাকজাত পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা ব্যবহার করতে পারবেন না। মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের পর মালদ্বীপ বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে প্রজন্মভিত্তিক তামাক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করল।
মালদ্বীপের স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তামাক সেবন ও পরোক্ষ ধূমপান দেশজুড়ে অসুস্থতা ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু গত বছর এক ধূমপান বিরোধী কর্মসূচি চালু করেন। এর অংশ হিসেবে ভ্যাপ ও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সিগারেটের ওপর আমদানি শুল্ক ও কর দ্বিগুণ করা হয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞাটি, যা প্রথমে জেনারেশন জেড প্রজন্মকে প্রভাবিত করবে। চলতি বছরের মে মাসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এর অনুমোদন দেওয়া হয় ও শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বিলাসবহুল পর্যটনের জন্য পরিচিত দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এই নিষেধাজ্ঞা বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।
এখন থেকে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্ম নেওয়া কেউ মালদ্বীপে কোনো ধরনের তামাকজাত পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা ব্যবহার করতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞা সব ধরনের তামাক পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং বিক্রেতাদের ক্রেতার বয়স যাচাই করতে হবে। ২১ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তিকে মালদ্বীপে তামাক বিক্রি বা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে তরুণদের তামাকের সংস্পর্শ থেকে আরও সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন আইনে সব ধরনের তামাক বিজ্ঞাপন, পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রচারণা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সব বয়সের জন্য ই-সিগারেট ও ভ্যাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে এসব পণ্যের আমদানি, বিক্রি, বিতরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার।
মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন আইনটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করবে এবং ধূমপানমুক্ত প্রজন্ম গঠনে উৎসাহ দেবে।
ফার্স্ট লেডি সাজিদা মোহাম্মদ এ পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি একে একটি সাহসী ও তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি মাদব চক্র ভাঙা, রোগ প্রতিরোধ এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য আরও সুস্থ ও শক্তিশালী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে জনসমাগমস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি করা, এবং বিপণন ও বয়সসীমা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা। যুক্তরাজ্যও একই ধরনের বয়সভিত্তিক তামাক আইন আরোপের চিন্তা করছে, যার মাধ্যমে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পর জন্ম নেওয়া কারও কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে।
নিউজিল্যান্ড, যারা বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এ ধরনের প্রজন্মভিত্তিক ধূমপান নিষেধাজ্ঞা চালু করেছিল, তারা ২০২৩ সালের নভেম্বরে আইনটি কার্যকর হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি বাতিল করে। সরকার এর কারণ হিসেবে কালোবাজার সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্ম নেওয়া কেউ মালদ্বীপে কোনো ধরনের তামাকজাত পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা ব্যবহার করতে পারবেন না। মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের পর মালদ্বীপ বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে প্রজন্মভিত্তিক তামাক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করল।
মালদ্বীপের স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তামাক সেবন ও পরোক্ষ ধূমপান দেশজুড়ে অসুস্থতা ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু গত বছর এক ধূমপান বিরোধী কর্মসূচি চালু করেন। এর অংশ হিসেবে ভ্যাপ ও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সিগারেটের ওপর আমদানি শুল্ক ও কর দ্বিগুণ করা হয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞাটি, যা প্রথমে জেনারেশন জেড প্রজন্মকে প্রভাবিত করবে। চলতি বছরের মে মাসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এর অনুমোদন দেওয়া হয় ও শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বিলাসবহুল পর্যটনের জন্য পরিচিত দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এই নিষেধাজ্ঞা বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।
এখন থেকে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্ম নেওয়া কেউ মালদ্বীপে কোনো ধরনের তামাকজাত পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা ব্যবহার করতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞা সব ধরনের তামাক পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং বিক্রেতাদের ক্রেতার বয়স যাচাই করতে হবে। ২১ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তিকে মালদ্বীপে তামাক বিক্রি বা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে তরুণদের তামাকের সংস্পর্শ থেকে আরও সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন আইনে সব ধরনের তামাক বিজ্ঞাপন, পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রচারণা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সব বয়সের জন্য ই-সিগারেট ও ভ্যাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে এসব পণ্যের আমদানি, বিক্রি, বিতরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার।
মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন আইনটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করবে এবং ধূমপানমুক্ত প্রজন্ম গঠনে উৎসাহ দেবে।
ফার্স্ট লেডি সাজিদা মোহাম্মদ এ পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি একে একটি সাহসী ও তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি মাদব চক্র ভাঙা, রোগ প্রতিরোধ এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য আরও সুস্থ ও শক্তিশালী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে জনসমাগমস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি করা, এবং বিপণন ও বয়সসীমা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা। যুক্তরাজ্যও একই ধরনের বয়সভিত্তিক তামাক আইন আরোপের চিন্তা করছে, যার মাধ্যমে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পর জন্ম নেওয়া কারও কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে।
নিউজিল্যান্ড, যারা বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এ ধরনের প্রজন্মভিত্তিক ধূমপান নিষেধাজ্ঞা চালু করেছিল, তারা ২০২৩ সালের নভেম্বরে আইনটি কার্যকর হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি বাতিল করে। সরকার এর কারণ হিসেবে কালোবাজার সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে।