ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গত বুধবার অংশীদার দেশগুলোর কাছে এই প্রস্তাব করা হয়। যার মধ্যে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওয়াশিংটনের মিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ নিরাপত্তা পরিষদের ১০ জন নির্বাচিত সদস্য ও কয়েকটি আঞ্চলিক অংশীদার দেশকে খসড়ার কপি শেয়ার করেছেন। মিসর, কাতার, আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্কের প্রতিনিধিদেরও খসড়ার কপি দেওয়া হয়েছে। তবে খসড়া অনুমোদন নিয়ে ভোটের তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবে গাজায় ট্রাম্পের ‘শান্তি বোর্ড’কে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী বা আইএসএফ গঠনের কথাও বলা হয়েছে। বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দুই বছরের ম্যান্ডেট চেয়েছে।
বিবিসি জানায়, যুদ্ধবিরতির মধ্যে বিক্ষিপ্ত হামলা চলমান রেখেছে ইসরায়েল। বিতর্কিত হলুদ রেখা বরাবর দখলদার বাহিনীর নৃশংসতা চলছেই। নিয়মিত গোলা ছুড়ছে তারা। আর দুই বছরের যুদ্ধে গাজার ভেতরটা একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যতদূর চোখ যায় গাজায় ধ্বংসস্তূপের বিস্তৃত ভূমি।
বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী স্থানে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলের বাধার কারণে জাতিসংঘের ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিদিন মাত্র ১০০টি ত্রাণ ট্রাক যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রবেশ করছে। পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের হাতে ফিলিস্তিনি কিশোরী নিহত হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের তুলকারম শিবিরের প্রবেশপথ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ইসরায়েলি অভিযানে প্রায় ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি তুলকারম, নুর শামস এবং জেনিনের শিবির থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইসরায়েল হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে গাজার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সুড়ঙ্গ ভেঙে ফেলার চিন্তা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র হামাস সদস্যদের শান্তিপূর্ণ প্রস্থানে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের অনুমান, প্রায় ২০০ সশস্ত্র হামাস বন্দুকধারী বর্তমানে রাফাহর নিচে সুড়ঙ্গে লুকিয়ে আছে। হামাস যোদ্ধাদের শান্তিপূর্ণ প্রস্থান নিয়ে ইসরায়েল ও তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ ট্রাম্পকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তির জন্য তাঁর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে চিঠি লিখেছেন। হার্জোগ ট্রাম্পকে বলেছেন, সন্ত্রাস সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য আপনি যখন চাপ দিচ্ছেন, তখন আমরা আপনার সঙ্গে আছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গত বুধবার অংশীদার দেশগুলোর কাছে এই প্রস্তাব করা হয়। যার মধ্যে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওয়াশিংটনের মিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ নিরাপত্তা পরিষদের ১০ জন নির্বাচিত সদস্য ও কয়েকটি আঞ্চলিক অংশীদার দেশকে খসড়ার কপি শেয়ার করেছেন। মিসর, কাতার, আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্কের প্রতিনিধিদেরও খসড়ার কপি দেওয়া হয়েছে। তবে খসড়া অনুমোদন নিয়ে ভোটের তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবে গাজায় ট্রাম্পের ‘শান্তি বোর্ড’কে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী বা আইএসএফ গঠনের কথাও বলা হয়েছে। বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দুই বছরের ম্যান্ডেট চেয়েছে।
বিবিসি জানায়, যুদ্ধবিরতির মধ্যে বিক্ষিপ্ত হামলা চলমান রেখেছে ইসরায়েল। বিতর্কিত হলুদ রেখা বরাবর দখলদার বাহিনীর নৃশংসতা চলছেই। নিয়মিত গোলা ছুড়ছে তারা। আর দুই বছরের যুদ্ধে গাজার ভেতরটা একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যতদূর চোখ যায় গাজায় ধ্বংসস্তূপের বিস্তৃত ভূমি।
বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী স্থানে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলের বাধার কারণে জাতিসংঘের ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিদিন মাত্র ১০০টি ত্রাণ ট্রাক যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রবেশ করছে। পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের হাতে ফিলিস্তিনি কিশোরী নিহত হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের তুলকারম শিবিরের প্রবেশপথ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ইসরায়েলি অভিযানে প্রায় ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি তুলকারম, নুর শামস এবং জেনিনের শিবির থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইসরায়েল হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে গাজার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সুড়ঙ্গ ভেঙে ফেলার চিন্তা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র হামাস সদস্যদের শান্তিপূর্ণ প্রস্থানে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের অনুমান, প্রায় ২০০ সশস্ত্র হামাস বন্দুকধারী বর্তমানে রাফাহর নিচে সুড়ঙ্গে লুকিয়ে আছে। হামাস যোদ্ধাদের শান্তিপূর্ণ প্রস্থান নিয়ে ইসরায়েল ও তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ ট্রাম্পকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তির জন্য তাঁর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে চিঠি লিখেছেন। হার্জোগ ট্রাম্পকে বলেছেন, সন্ত্রাস সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য আপনি যখন চাপ দিচ্ছেন, তখন আমরা আপনার সঙ্গে আছি।