আফগানিস্তানের তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে গেলেও দুই দেশের মধ্যে প্রবর্তিত যুদ্ধবিরতি এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
মুজাহিদ বলেন, “ইসলামাবাদ চাইছিল কাবুল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব নিক, যা আমাদের ‘সক্ষমতার’ বাইরে। ইসলামাবাদের এই দাবি ও জোরাজুরি নিয়ে আলোচনাটি ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত আমাদের দিক থেকে লঙ্ঘিত হয়নি, এবং এটি মেনে চলা হবে।”
এর আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ জানিয়েছেন, সীমান্তে নতুন কোনো সংঘাত না ঘটানোর জন্য ইস্তাম্বুলে আফগানিস্তানের সঙ্গে যে শান্তি আলোচনা চলছিল তা ভেঙে পড়েছে। তবে যতক্ষণ আফগানিস্তানের মাটি থেকে কোনো হামলা হচ্ছে না, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর সেনাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার দিনই সীমান্তে কিছুক্ষণ গুলি বিনিময় হয়েছিল।
গত মাসে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারায়। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পর এ ধরনের মারাত্মক সংঘর্ষ আগে দেখা যায়নি। পরে অক্টোবরেই দুই পক্ষ কাতারের দোহায় একটি যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করেছিল। তবে আফগানিস্তানের ভেতরে সক্রিয় ও পাকিস্তানের প্রতি বৈরী জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিয়ে মতবিরোধের কারণে ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা কোনো দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়।
দশকের পর দশক পাকিস্তান ও তালেবানের মধ্যে ব্যাপক মাখামাখি থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই পক্ষের সম্পর্ক ক্রমে খারাপ হয়েছে। অক্টোবরের সংঘাতের আগে পাকিস্তান কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানি তালেবানের শীর্ষ নেতাকে হত্যা করার চেষ্টা করা ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় কয়েকদিন পর আফগান তালেবান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর গুলি বর্ষণ শুরু করলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
আফগানিস্তানের তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে গেলেও দুই দেশের মধ্যে প্রবর্তিত যুদ্ধবিরতি এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
মুজাহিদ বলেন, “ইসলামাবাদ চাইছিল কাবুল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব নিক, যা আমাদের ‘সক্ষমতার’ বাইরে। ইসলামাবাদের এই দাবি ও জোরাজুরি নিয়ে আলোচনাটি ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত আমাদের দিক থেকে লঙ্ঘিত হয়নি, এবং এটি মেনে চলা হবে।”
এর আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ জানিয়েছেন, সীমান্তে নতুন কোনো সংঘাত না ঘটানোর জন্য ইস্তাম্বুলে আফগানিস্তানের সঙ্গে যে শান্তি আলোচনা চলছিল তা ভেঙে পড়েছে। তবে যতক্ষণ আফগানিস্তানের মাটি থেকে কোনো হামলা হচ্ছে না, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর সেনাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার দিনই সীমান্তে কিছুক্ষণ গুলি বিনিময় হয়েছিল।
গত মাসে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারায়। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পর এ ধরনের মারাত্মক সংঘর্ষ আগে দেখা যায়নি। পরে অক্টোবরেই দুই পক্ষ কাতারের দোহায় একটি যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করেছিল। তবে আফগানিস্তানের ভেতরে সক্রিয় ও পাকিস্তানের প্রতি বৈরী জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিয়ে মতবিরোধের কারণে ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা কোনো দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়।
দশকের পর দশক পাকিস্তান ও তালেবানের মধ্যে ব্যাপক মাখামাখি থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই পক্ষের সম্পর্ক ক্রমে খারাপ হয়েছে। অক্টোবরের সংঘাতের আগে পাকিস্তান কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানি তালেবানের শীর্ষ নেতাকে হত্যা করার চেষ্টা করা ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় কয়েকদিন পর আফগান তালেবান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর গুলি বর্ষণ শুরু করলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে।