alt

২৬ মার্কিন ধনকুবেরের সোয়া দুই কোটি ডলারও মামদানির জয় ঠেকাতে পারেনি

সংবাদ ডেস্ক : শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে নিউইয়র্কের নব-নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর জন্য নগর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে মুদিদোকান চালানো, বিনামূল্যে গণপরিবহন এবং শিশু পরিচর্যার মতো নীতির প্রচার চালিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির জোহরান মামদানি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

জোহরান মামদানির এই প্রগতিশীল কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ধনী কিছু ব্যক্তির নিশানায় পড়ে গিয়েছিলেন। ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৬ জন ধনকুবের এবং ধনী পরিবার সম্মিলিতভাবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যয়ের জন্য ২ কোটি ২০ লাখ ডলার (প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা) দিয়েছে।

জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অর্থদাতাদের মধ্যে ছিলেনÑ ব্লুমবার্গ এলপির সহপ্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং এসটি লডারের উত্তরাধিকারী লডার পরিবারের সদস্যরা। এরা প্রত্যেকে অ্যান্ড্রু কুমোর প্রচার শিবিরকে কমপক্ষে ১ লাখ ডলার করে দিয়েছিলেন। মাইকেল ব্লুমবার্গ একাই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিসহ পুরো নির্বাচনে কুমোর প্রচারের জন্য ৮৩ লাখ ডলার দিয়েছিলেন। অন্যদিকে অ্যাকম্যান ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং লডার ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার দান করেছিলেন। মোট অনুদানের অর্ধেকের বেশি প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার ২৪ জুন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই এসেছিল। দলীয় প্রাইমারিতে কুমোকে হারিয়ে মামদানি মনোনয়ন নিশ্চিত করেন।

অন্যান্য বড় দাতার মধ্যে ছিলেন, নেটফ্লিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হেস্টিংস এবং গণমাধ্যম উদ্যোক্তা ব্যারি ডিলার। তারা প্রত্যেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে দিয়েছিলেন।

ক্যাসিনো ব্যবসায়ী স্টিভ উইন অক্টোবরে ৫ লাখ ডলার এবং তেল ব্যবসায়ী জন হেস কয়েক মাসে ১০ লাখ ডলার দেয়ার মাধ্যমে রক্ষণশীল দাতারাও এই লড়াইয়ে অংশ নেন।

জোহরানের প্রতিক্রিয়া

ফোর্বস অনুসারে, গত ১৩ অক্টোবর এক জনসভায় ধনকুবেরদের বিরোধিতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জোহরান মামদানি বলেছিলেন, ‘বিল অ্যাকম্যান এবং রোনাল্ড লডারের মতো ধনকুবেরেরা এই নির্বাচনে কোটি কোটি ডলার ঢেলেছেন। কারণ তারা বলেন, আমরা অস্তিত্বের হুমকি তৈরি করছি। আমি এখানে একটি কথা স্বীকার করছি, তারা ঠিকই বলছেন।’

ফোর্বস এমন ২৬ জন ধনকুবেরের নাম পেয়েছে, যারা জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য অর্থ দিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনই নিউইয়র্ক নগরের বাসিন্দা। জোহরানবিরোধী প্রচারে অর্থদাতা অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেনÑ জো গেবিয়া (৩০ লাখ ডলার), উইলিয়াম লডার ও পরিবার (২৬ লাখ), ব্যারি ডিলার (৫ লাখ), রিড হেস্টিংস (২ লাখ ৫০ হাজার), অ্যালিস ওয়ালটন (২ লাখ)।

মজার বিষয় হলো, ফরচুনের খবর অনুযায়ী প্রথমে জোহরান মামদানির বিরোধিতা করা কিছু ওয়াল স্ট্রিট ব্যক্তিত্ব জয়ের পর তাকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন। অ্যাকম্যান এক্সে এক পোস্টে জোহরানকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘এখন আপনার একটি বড় দায়িত্ব। আমি নিউইয়র্ক নগরকে সাহায্য করতে পারি। আমাকে শুধু জানাবেন, আমি কী করতে পারি।’

জেপি মরগান চেজের সিইও জেমি ডিমন আগে ফরচুনকে বলেছিলেন, জোহরান মামদানি ‘সমাজতান্ত্রিকের চেয়ে বেশি মার্ক্সবাদী’।

অবশ্য জোহরান মামদানির জয়ের পর ৫ নভেম্বর সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিমন বলেন, তিনি যোগাযোগ বজায় রাখতে আগ্রহী। ডিমন বলেন, ‘যদি আমি এটিকে ফলপ্রসূ মনে করি, তবে আমি তা চালিয়ে যাব। যে কোনো মেয়র, যে কোনো গভর্নরকে সহায়তা করতে আমি প্রস্তুত।’

জোহরান ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি মেয়রের দায়িত্ব নেবেন।

ছবি

আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, যুদ্ধবিরতি এখনও বহাল

ছবি

পুতিনের সঙ্গে এখনও বৈঠকের সুযোগ আছে : ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

ছবি

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম মুছলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

অ্যান্টার্কটিকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে

ছবি

ভেস্তে গেলো আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত : রাজনাথ সিং

ছবি

প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থিরা মামদানিকে আইএসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন

ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মামদানি কি সমানে সমান

ছবি

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সুদানের নাগরিকরা

ছবি

গাজার নিরাপত্তায় আইএসএফ গঠনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

ছবি

ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা মাস্কের

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

ছবি

নিউইয়র্কে আজ মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি

tab

২৬ মার্কিন ধনকুবেরের সোয়া দুই কোটি ডলারও মামদানির জয় ঠেকাতে পারেনি

সংবাদ ডেস্ক

সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে নিউইয়র্কের নব-নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি

শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর জন্য নগর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে মুদিদোকান চালানো, বিনামূল্যে গণপরিবহন এবং শিশু পরিচর্যার মতো নীতির প্রচার চালিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির জোহরান মামদানি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

জোহরান মামদানির এই প্রগতিশীল কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ধনী কিছু ব্যক্তির নিশানায় পড়ে গিয়েছিলেন। ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৬ জন ধনকুবের এবং ধনী পরিবার সম্মিলিতভাবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যয়ের জন্য ২ কোটি ২০ লাখ ডলার (প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা) দিয়েছে।

জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অর্থদাতাদের মধ্যে ছিলেনÑ ব্লুমবার্গ এলপির সহপ্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং এসটি লডারের উত্তরাধিকারী লডার পরিবারের সদস্যরা। এরা প্রত্যেকে অ্যান্ড্রু কুমোর প্রচার শিবিরকে কমপক্ষে ১ লাখ ডলার করে দিয়েছিলেন। মাইকেল ব্লুমবার্গ একাই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিসহ পুরো নির্বাচনে কুমোর প্রচারের জন্য ৮৩ লাখ ডলার দিয়েছিলেন। অন্যদিকে অ্যাকম্যান ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং লডার ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার দান করেছিলেন। মোট অনুদানের অর্ধেকের বেশি প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার ২৪ জুন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই এসেছিল। দলীয় প্রাইমারিতে কুমোকে হারিয়ে মামদানি মনোনয়ন নিশ্চিত করেন।

অন্যান্য বড় দাতার মধ্যে ছিলেন, নেটফ্লিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হেস্টিংস এবং গণমাধ্যম উদ্যোক্তা ব্যারি ডিলার। তারা প্রত্যেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে দিয়েছিলেন।

ক্যাসিনো ব্যবসায়ী স্টিভ উইন অক্টোবরে ৫ লাখ ডলার এবং তেল ব্যবসায়ী জন হেস কয়েক মাসে ১০ লাখ ডলার দেয়ার মাধ্যমে রক্ষণশীল দাতারাও এই লড়াইয়ে অংশ নেন।

জোহরানের প্রতিক্রিয়া

ফোর্বস অনুসারে, গত ১৩ অক্টোবর এক জনসভায় ধনকুবেরদের বিরোধিতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জোহরান মামদানি বলেছিলেন, ‘বিল অ্যাকম্যান এবং রোনাল্ড লডারের মতো ধনকুবেরেরা এই নির্বাচনে কোটি কোটি ডলার ঢেলেছেন। কারণ তারা বলেন, আমরা অস্তিত্বের হুমকি তৈরি করছি। আমি এখানে একটি কথা স্বীকার করছি, তারা ঠিকই বলছেন।’

ফোর্বস এমন ২৬ জন ধনকুবেরের নাম পেয়েছে, যারা জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য অর্থ দিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনই নিউইয়র্ক নগরের বাসিন্দা। জোহরানবিরোধী প্রচারে অর্থদাতা অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেনÑ জো গেবিয়া (৩০ লাখ ডলার), উইলিয়াম লডার ও পরিবার (২৬ লাখ), ব্যারি ডিলার (৫ লাখ), রিড হেস্টিংস (২ লাখ ৫০ হাজার), অ্যালিস ওয়ালটন (২ লাখ)।

মজার বিষয় হলো, ফরচুনের খবর অনুযায়ী প্রথমে জোহরান মামদানির বিরোধিতা করা কিছু ওয়াল স্ট্রিট ব্যক্তিত্ব জয়ের পর তাকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন। অ্যাকম্যান এক্সে এক পোস্টে জোহরানকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘এখন আপনার একটি বড় দায়িত্ব। আমি নিউইয়র্ক নগরকে সাহায্য করতে পারি। আমাকে শুধু জানাবেন, আমি কী করতে পারি।’

জেপি মরগান চেজের সিইও জেমি ডিমন আগে ফরচুনকে বলেছিলেন, জোহরান মামদানি ‘সমাজতান্ত্রিকের চেয়ে বেশি মার্ক্সবাদী’।

অবশ্য জোহরান মামদানির জয়ের পর ৫ নভেম্বর সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিমন বলেন, তিনি যোগাযোগ বজায় রাখতে আগ্রহী। ডিমন বলেন, ‘যদি আমি এটিকে ফলপ্রসূ মনে করি, তবে আমি তা চালিয়ে যাব। যে কোনো মেয়র, যে কোনো গভর্নরকে সহায়তা করতে আমি প্রস্তুত।’

জোহরান ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি মেয়রের দায়িত্ব নেবেন।

back to top