গত প্রায় তিনমাস ধরে আশুলিয়া ও গাজীপুরসহ সারাদেশে ৩শ বেশি গামের্ন্টেসে নানা অস্থিরতা বিরাজ করছে। বকেয়া বেতনের দাবি, জুট কাপড়ের ব্যবসা নিয়ে বিরোধসহ নানা মুখী সমস্যার কারণে গামের্ন্টেসে শ্রমিকরা আন্দোলন, ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ ও কর্মবিরতি পালন করছে। আন্দোলন চলাকালে কিছু কিছু গামের্ন্টেসে লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও চুরির ঘটনা ঘটছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গত ১৩ আগস্ট থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অর্ধশত শ্রমিক, ৩৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, সেনাবাহিনীর একজন সদস্য, চাকরি প্রার্থী ১২ জন ও ১৫ জন গামের্ন্টস স্টাফ আহত হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংঘর্ষ চলাকালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এখনও অধিকাংশ গামের্ন্টেসে অসন্তোষ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইন্ড্রাস্টিয়াল পুলিশসহ অন্যান্য আইনশঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
শিল্প পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, গামের্ন্টসে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, লুটপাটসহ নানা কারণে সারাদেশে ৩০ থেকে ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বেতন-ভাতা পরিশোধ করা। কিন্তু কিছুৃ কিছু গামের্ন্টেসের মালিক বিদেশে অবস্থান করছেন। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক জেলে আছে। আবার অনেকেই পলাতক। এই অবস্থায় শ্রমিকরা তাদের নার্য্য পাওনা টাকা দেয়ার জন্য প্রতিদিন রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করছে। আবার কিছু সুযোগ সন্ধ্যানী কিছু দলবাজ শ্রমিকদেরকে উস্কে দিচ্ছে। আগে একাধিক গ্রুপ জুট ব্যবসাসহ অন্যান্য ব্যবসায় জড়িত ছিল। এখন তারা পলাতক রয়েছে। নতুন করে একাধিক গ্রুপ বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে আনাাগোনা করছে। আবার কেউ কেউ অস্থিরতা করার চেষ্টা করছে। সব মিলিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, আশুলিয়ায় বেশি সমস্যা প্রবণ গামের্ন্টস হলো ৩৯টি, তার চেয়ে একটু কম সমস্যার গামের্ন্টস ৩৭টি, আরও ৩৫টি সমস্যা প্রবণ ফ্যাক্টরি রয়েছে।
গাজীপুরে বেশি সমস্যা প্রবণ গামের্ন্টস ৩০টি, কম সমস্যার ১০টি, সমস্যা কম আছে ২২টিতে।
চট্রগ্রামে বেশি সমস্যা প্রবণ ফ্যাক্টরি ২টি, তার চেয়ে একটু কম সমস্যা প্রবণ গামের্ন্টস ১৫টি, অপেক্ষাকৃত কম সমস্যার গামের্ন্টস হলো ১৬টি।
নারায়ণগঞ্জে বেশি সমস্যা হচ্ছে ৬টি ফ্যাক্টরিতে, তার চেয়ে কম ৪টি ফ্যাক্টরিতে। আরও ২৭টি ফ্যাক্টরিতে এখন সমস্যা চলছে। তবে তুলনা মূলকভাবে কম।
ময়মনসিংহে বেশি সমস্যা প্রবণ ৬টি, কম সমস্যা প্রবণ ১৫টি। আরও ১৭টি ফ্যাক্টরিতে নানামুখী সমস্যা থাকলেও তুলনা মূলকভাবে কম।
এছাড়াও খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে গামের্ন্টস সেক্টর গুলোতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এইভাবে সারাদেশে ৯ হাজার ৪০২টি ছোট বড় গামের্ন্টস ও ফ্যাক্টরির মধ্যে ৩শর বেশি গামের্ন্টস ও ফ্যাক্টরিতে তিন ক্যাটাগরিতে সমস্যা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত প্রায় তিন মাসের আন্দোলন চলাকালে প্রায় ১৫টি ফ্যাক্টরিতে অগ্নিসংযোগ, ১টি ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর, আগুন দেয়া হয়েছে। লুটপাট হয়েছে ২টিতে, ভাঙচুর ও আগুন ১টিতে, ভাঙচুর ও লুটপাট ১টি, রাস্তা অবরোধ ও ভাঙচুর করেছে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। শুধু রাস্তা অবরোধ ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। কর্মবিরতি পালন করছে ৪৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। আর ২টি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আশুলিয়া, গাজীপুরে ২৫টি কারখানা বন্ধ আছে। এরমধ্যে আশুলিয়া ৬টি ও গাজীপুরে ১৯টি। আবার গাজীপুরে ১৯টি কারাখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর আশুলিয়ায় ৬টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইন্ড্রাস্টিয়াল পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিদের একাধিক গামের্ন্টসে এখন বেতন বকেয়া রয়েছে। আবার কোনো কোনো গামের্ন্টেস শ্রমিক ছাটাই, বকেয়া বেতন, বোনাস, সার্ভিস বেনিফিট, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য আন্দোলন করছে। বর্তমানে ফ্যাক্টরি বন্ধ আছে। ম্যানেজমের্ন্ট প্রত্যাহারের দাবি, টিফিনবিলসহ নানা দাবিতে ফ্যাক্টরি গুলোতে প্রতিদিন সমস্যা হচ্ছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ কর্মকর্তরা জানান, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরপরও অনেক গামের্ন্টেসে এখনও অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
গত প্রায় তিনমাস ধরে আশুলিয়া ও গাজীপুরসহ সারাদেশে ৩শ বেশি গামের্ন্টেসে নানা অস্থিরতা বিরাজ করছে। বকেয়া বেতনের দাবি, জুট কাপড়ের ব্যবসা নিয়ে বিরোধসহ নানা মুখী সমস্যার কারণে গামের্ন্টেসে শ্রমিকরা আন্দোলন, ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ ও কর্মবিরতি পালন করছে। আন্দোলন চলাকালে কিছু কিছু গামের্ন্টেসে লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও চুরির ঘটনা ঘটছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গত ১৩ আগস্ট থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অর্ধশত শ্রমিক, ৩৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, সেনাবাহিনীর একজন সদস্য, চাকরি প্রার্থী ১২ জন ও ১৫ জন গামের্ন্টস স্টাফ আহত হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংঘর্ষ চলাকালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এখনও অধিকাংশ গামের্ন্টেসে অসন্তোষ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইন্ড্রাস্টিয়াল পুলিশসহ অন্যান্য আইনশঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
শিল্প পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, গামের্ন্টসে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, লুটপাটসহ নানা কারণে সারাদেশে ৩০ থেকে ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বেতন-ভাতা পরিশোধ করা। কিন্তু কিছুৃ কিছু গামের্ন্টেসের মালিক বিদেশে অবস্থান করছেন। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক জেলে আছে। আবার অনেকেই পলাতক। এই অবস্থায় শ্রমিকরা তাদের নার্য্য পাওনা টাকা দেয়ার জন্য প্রতিদিন রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করছে। আবার কিছু সুযোগ সন্ধ্যানী কিছু দলবাজ শ্রমিকদেরকে উস্কে দিচ্ছে। আগে একাধিক গ্রুপ জুট ব্যবসাসহ অন্যান্য ব্যবসায় জড়িত ছিল। এখন তারা পলাতক রয়েছে। নতুন করে একাধিক গ্রুপ বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে আনাাগোনা করছে। আবার কেউ কেউ অস্থিরতা করার চেষ্টা করছে। সব মিলিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, আশুলিয়ায় বেশি সমস্যা প্রবণ গামের্ন্টস হলো ৩৯টি, তার চেয়ে একটু কম সমস্যার গামের্ন্টস ৩৭টি, আরও ৩৫টি সমস্যা প্রবণ ফ্যাক্টরি রয়েছে।
গাজীপুরে বেশি সমস্যা প্রবণ গামের্ন্টস ৩০টি, কম সমস্যার ১০টি, সমস্যা কম আছে ২২টিতে।
চট্রগ্রামে বেশি সমস্যা প্রবণ ফ্যাক্টরি ২টি, তার চেয়ে একটু কম সমস্যা প্রবণ গামের্ন্টস ১৫টি, অপেক্ষাকৃত কম সমস্যার গামের্ন্টস হলো ১৬টি।
নারায়ণগঞ্জে বেশি সমস্যা হচ্ছে ৬টি ফ্যাক্টরিতে, তার চেয়ে কম ৪টি ফ্যাক্টরিতে। আরও ২৭টি ফ্যাক্টরিতে এখন সমস্যা চলছে। তবে তুলনা মূলকভাবে কম।
ময়মনসিংহে বেশি সমস্যা প্রবণ ৬টি, কম সমস্যা প্রবণ ১৫টি। আরও ১৭টি ফ্যাক্টরিতে নানামুখী সমস্যা থাকলেও তুলনা মূলকভাবে কম।
এছাড়াও খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে গামের্ন্টস সেক্টর গুলোতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এইভাবে সারাদেশে ৯ হাজার ৪০২টি ছোট বড় গামের্ন্টস ও ফ্যাক্টরির মধ্যে ৩শর বেশি গামের্ন্টস ও ফ্যাক্টরিতে তিন ক্যাটাগরিতে সমস্যা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত প্রায় তিন মাসের আন্দোলন চলাকালে প্রায় ১৫টি ফ্যাক্টরিতে অগ্নিসংযোগ, ১টি ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর, আগুন দেয়া হয়েছে। লুটপাট হয়েছে ২টিতে, ভাঙচুর ও আগুন ১টিতে, ভাঙচুর ও লুটপাট ১টি, রাস্তা অবরোধ ও ভাঙচুর করেছে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। শুধু রাস্তা অবরোধ ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। কর্মবিরতি পালন করছে ৪৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। আর ২টি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আশুলিয়া, গাজীপুরে ২৫টি কারখানা বন্ধ আছে। এরমধ্যে আশুলিয়া ৬টি ও গাজীপুরে ১৯টি। আবার গাজীপুরে ১৯টি কারাখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর আশুলিয়ায় ৬টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইন্ড্রাস্টিয়াল পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিদের একাধিক গামের্ন্টসে এখন বেতন বকেয়া রয়েছে। আবার কোনো কোনো গামের্ন্টেস শ্রমিক ছাটাই, বকেয়া বেতন, বোনাস, সার্ভিস বেনিফিট, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য আন্দোলন করছে। বর্তমানে ফ্যাক্টরি বন্ধ আছে। ম্যানেজমের্ন্ট প্রত্যাহারের দাবি, টিফিনবিলসহ নানা দাবিতে ফ্যাক্টরি গুলোতে প্রতিদিন সমস্যা হচ্ছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ কর্মকর্তরা জানান, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরপরও অনেক গামের্ন্টেসে এখনও অস্থিরতা বিরাজ করছে।