বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোহান শাহ নামের (৩০) এক যুবক গুলিতে নিহত হয়। এ হত্যা মামলায় আসামির তালিকায় ‘সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’ নামের এক ব্যক্তির নাম রয়েছে।
এই নামের সঙ্গে আংশিকভাবে মিলে যায় ১০ নভেম্বর রোববার সরকারের উপদেষ্টা হওয়া ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে। সেখ বশির উদ্দিনের বাবার নামের সঙ্গেও আসামি তালিকায় থাকা ‘সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’র বাবার নামের আংশিক মিল রয়েছে।
‘সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’ নাম দিয়ে সেখ বশির উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে কিনা সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন সোমবার (১১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের বলেছেন, নামের আংশিক সংগতি ও অসংগতি থাকলেও তিনি নিশ্চিত নন, মামলাটি তার নামে হয়েছে কিনা।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া বর্তমান উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন কিনা, সেটি তারা খতিয়ে দেখছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
যদিও মামলার বাদী নিহত সোহান শাহর মা সুফিয়া বেগম বলেছেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ তার ছেলে হত্যার জন্য দায়ী। আসামি কারা করেছে এবং কারা নাম দিয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না। তিনি ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চান।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরা থানায় নথিভুক্ত হয় সোহান হত্যা মামলাটি। এ মামলায় মোট ৫৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।
এ মামলার ৪৯ নম্বর তালিকায় নাম রয়েছে সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়ার। সেখানে বলা হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা এবং তার বাবার নাম সেখ আকিজ উদ্দিন ভূঁইয়া।
একই মামলার ৪৮ নম্বরে আসামির করা হয়েছে সেখ আফিল উদ্দিন ভূঁইয়া নামের একজনকে। তার পরিচয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য, যশোর-১। তার বাবার নামও সেখ আকিজ উদ্দিন ভূঁইয়া।
প্রয়াত সেখ আকিজ উদ্দিন দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। সেখ আকিজের ছেলেদের মধ্যে সেখ আফিল উদ্দিন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সেখ আকিজের সন্তানরা আলাদাভাবে ব্যবসা করেন। সেখ বশির উদ্দিন আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি রোববার অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।
মামলার বিষয়ে সোমবার উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব ভালো জানি না। আমাদের লিগ্যাল টিম বিষয়টি দেখছে। ওখানে (মামলায়) আমার নামের, আবার বাবার নামের কিছু সংগতি আছে, কিছু অসংগতি আছে। এটা আসলেই আমি কিনা, আমি নিশ্চিত নই। নিশ্চিত হলে লিগ্যালি ফেস (আইনিভাবে মোকাবিলা) করা হবে।’
উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের আবেগের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। তবে আমার ধারণা, ওনারা মিস ইনফরমড (ভুল তথ্য পাওয়া)। ওনাদের তথ্যের ভিত্তি সঠিক নয়।’
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোহান শাহ নামের (৩০) এক যুবক গুলিতে নিহত হয়। এ হত্যা মামলায় আসামির তালিকায় ‘সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’ নামের এক ব্যক্তির নাম রয়েছে।
এই নামের সঙ্গে আংশিকভাবে মিলে যায় ১০ নভেম্বর রোববার সরকারের উপদেষ্টা হওয়া ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে। সেখ বশির উদ্দিনের বাবার নামের সঙ্গেও আসামি তালিকায় থাকা ‘সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’র বাবার নামের আংশিক মিল রয়েছে।
‘সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’ নাম দিয়ে সেখ বশির উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে কিনা সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন সোমবার (১১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের বলেছেন, নামের আংশিক সংগতি ও অসংগতি থাকলেও তিনি নিশ্চিত নন, মামলাটি তার নামে হয়েছে কিনা।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া বর্তমান উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন কিনা, সেটি তারা খতিয়ে দেখছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
যদিও মামলার বাদী নিহত সোহান শাহর মা সুফিয়া বেগম বলেছেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ তার ছেলে হত্যার জন্য দায়ী। আসামি কারা করেছে এবং কারা নাম দিয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না। তিনি ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চান।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরা থানায় নথিভুক্ত হয় সোহান হত্যা মামলাটি। এ মামলায় মোট ৫৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।
এ মামলার ৪৯ নম্বর তালিকায় নাম রয়েছে সেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়ার। সেখানে বলা হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা এবং তার বাবার নাম সেখ আকিজ উদ্দিন ভূঁইয়া।
একই মামলার ৪৮ নম্বরে আসামির করা হয়েছে সেখ আফিল উদ্দিন ভূঁইয়া নামের একজনকে। তার পরিচয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য, যশোর-১। তার বাবার নামও সেখ আকিজ উদ্দিন ভূঁইয়া।
প্রয়াত সেখ আকিজ উদ্দিন দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। সেখ আকিজের ছেলেদের মধ্যে সেখ আফিল উদ্দিন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সেখ আকিজের সন্তানরা আলাদাভাবে ব্যবসা করেন। সেখ বশির উদ্দিন আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি রোববার অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।
মামলার বিষয়ে সোমবার উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব ভালো জানি না। আমাদের লিগ্যাল টিম বিষয়টি দেখছে। ওখানে (মামলায়) আমার নামের, আবার বাবার নামের কিছু সংগতি আছে, কিছু অসংগতি আছে। এটা আসলেই আমি কিনা, আমি নিশ্চিত নই। নিশ্চিত হলে লিগ্যালি ফেস (আইনিভাবে মোকাবিলা) করা হবে।’
উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের আবেগের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। তবে আমার ধারণা, ওনারা মিস ইনফরমড (ভুল তথ্য পাওয়া)। ওনাদের তথ্যের ভিত্তি সঠিক নয়।’