অনলাইনে বেলবন্ড (জামিননামা) গ্রহণপ্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে আগামীকাল বুধবার শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘অ্যাটর্নি জেনারেল’স অফিস ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, অনলাইনে বেলবন্ড গ্রহণ করা হবে। একজন ব্যক্তির জামিনের পর ছাড়া পাওয়া পর্যন্ত ১২টি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় বলে শুনেছেন। কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়, কোনো ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানে আগামীকাল থেকে পাইলট প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে। এক ক্লিকে আদালতের রায় থেকে বেলবন্ড সরাসরি সংশ্লিষ্ট জেলখানায় পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রিধারী ২৫ জন ৬ মাসের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম উদ্যোগ। এ প্রোগ্রামের সহযোগিতায় রয়েছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, “আমি নিজে ৪০ বছর আগে একজন ইয়াং ফ্রেশ ল গ্র্যাজুয়েট ছিলাম। ইন্টার্নশিপও করেছিলাম মনে আছে। আইনজীবীর কাছে বোধ হয় একবার গিয়েছিলাম, আর যাই নাই। কিন্তু আমার ইন্টার্নশিপ হয়েছিল। এটা আমি এ জন্য বললাম যে আমাদের এখানে আসলে ইন্টার্নশিপ বলতে সে রকম কিছু হয় না। হয়তো আগের অবস্থা একটু ভালো হয়েছে, কিন্তু আরও অনেক বেশি উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি স্টুডেন্ট লাইফ থেকে দেখতাম ইউএনডিপি বা অন্যান্য সংগঠন এই ধরনের ভালো উদ্যোগে অংশ নেয়। কিন্তু আমাদের এমন মানসিকতা তৈরি করতে হবে যেন ইউএনডিপি বা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার না থাকলেও আমরা নিজেরা প্রোগ্রাম করতে পারি। আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কারকাজ নিজেরা করেছি, কারও কোনো হেল্প বা পার্টনারশিপ ছাড়াই।”
আত্মবিশ্বাস অর্জনের আহ্বান
অনলাইনে জামিননামা গ্রহণ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, “আগামীকাল আমরা পাইলট প্রজেক্ট চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করলেই আদালতের রায় থেকে সরাসরি এটি জেলখানায় পৌঁছে যাবে, যেখানে আসামি রয়েছেন। আমরা চালু করছি আমাদের সরকারের অর্থে, কারও সহায়তা ছাড়া। নিজেদের এই আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আমরা মনে করি, কেউ সাহায্য না করলে আমরা পারব না—এটা ঠিক নয়।”
সরকারের পর্যাপ্ত অর্থসম্পদের কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের সরকারের অনেক টাকা আছে, বিশ্বাস করুন। প্রবাসী ব্যাংকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আছে। আইজিআর অফিস ও রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আছে। এগুলো ব্যবহার করে আমরা নিজেরা অনেক ভালো কাজ করতে পারি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বক্তব্য দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্রানসেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
অনলাইনে বেলবন্ড (জামিননামা) গ্রহণপ্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে আগামীকাল বুধবার শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘অ্যাটর্নি জেনারেল’স অফিস ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, অনলাইনে বেলবন্ড গ্রহণ করা হবে। একজন ব্যক্তির জামিনের পর ছাড়া পাওয়া পর্যন্ত ১২টি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় বলে শুনেছেন। কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়, কোনো ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানে আগামীকাল থেকে পাইলট প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে। এক ক্লিকে আদালতের রায় থেকে বেলবন্ড সরাসরি সংশ্লিষ্ট জেলখানায় পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রিধারী ২৫ জন ৬ মাসের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম উদ্যোগ। এ প্রোগ্রামের সহযোগিতায় রয়েছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, “আমি নিজে ৪০ বছর আগে একজন ইয়াং ফ্রেশ ল গ্র্যাজুয়েট ছিলাম। ইন্টার্নশিপও করেছিলাম মনে আছে। আইনজীবীর কাছে বোধ হয় একবার গিয়েছিলাম, আর যাই নাই। কিন্তু আমার ইন্টার্নশিপ হয়েছিল। এটা আমি এ জন্য বললাম যে আমাদের এখানে আসলে ইন্টার্নশিপ বলতে সে রকম কিছু হয় না। হয়তো আগের অবস্থা একটু ভালো হয়েছে, কিন্তু আরও অনেক বেশি উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি স্টুডেন্ট লাইফ থেকে দেখতাম ইউএনডিপি বা অন্যান্য সংগঠন এই ধরনের ভালো উদ্যোগে অংশ নেয়। কিন্তু আমাদের এমন মানসিকতা তৈরি করতে হবে যেন ইউএনডিপি বা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার না থাকলেও আমরা নিজেরা প্রোগ্রাম করতে পারি। আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কারকাজ নিজেরা করেছি, কারও কোনো হেল্প বা পার্টনারশিপ ছাড়াই।”
আত্মবিশ্বাস অর্জনের আহ্বান
অনলাইনে জামিননামা গ্রহণ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, “আগামীকাল আমরা পাইলট প্রজেক্ট চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করলেই আদালতের রায় থেকে সরাসরি এটি জেলখানায় পৌঁছে যাবে, যেখানে আসামি রয়েছেন। আমরা চালু করছি আমাদের সরকারের অর্থে, কারও সহায়তা ছাড়া। নিজেদের এই আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আমরা মনে করি, কেউ সাহায্য না করলে আমরা পারব না—এটা ঠিক নয়।”
সরকারের পর্যাপ্ত অর্থসম্পদের কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের সরকারের অনেক টাকা আছে, বিশ্বাস করুন। প্রবাসী ব্যাংকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আছে। আইজিআর অফিস ও রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আছে। এগুলো ব্যবহার করে আমরা নিজেরা অনেক ভালো কাজ করতে পারি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বক্তব্য দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্রানসেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।