আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার, তা করতে শপথ গ্রহণের পর থেকেই জিহাদ ঘোষণা করেছে।’
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) মিলনায়তনে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। ১৮ কোটি মানুষসহ সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে। অতীতে আমরা বহুবার কলঙ্কিত হয়েছি, এবার সেই কলঙ্ক মুছে দিতে হবে। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আর মাত্র ৮০-৯০ দিন বাকি। এরপরও যদি কারও মনে সন্দেহ থাকে নির্বাচন হবে না, তাহলে সেটা ভুল ধারণা। নির্বাচন হবেই এবং তা হবে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ।’
প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের উদ্দেশে কমিশনার আনোয়ারুল বলেন, ‘ভয়ের কিছু নেই। কোনো প্রভাব বা চাপে না পড়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া একটি ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।’
এবারের নির্বাচনে নতুন উদ্যোগ হিসেবে ‘পোস্টাল ব্যালটে ভোটিং’ চালুর ঘোষণা দেন ইসি আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘প্রবাসীদের ভোটার হওয়া ও ভোট দেয়ার জন্য যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, তা জাকজমকভাবে উদ্বোধন হবে। এই পোস্টাল ব্যালটে অংশ নেবেন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় দেড় লাখ ভোটার। এছাড়া বিচারাধীন কয়েদিরাও যেন জেলখানায় বসে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান এবং সিবিটিইপি প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান। দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সময় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার, তা করতে শপথ গ্রহণের পর থেকেই জিহাদ ঘোষণা করেছে।’
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) মিলনায়তনে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। ১৮ কোটি মানুষসহ সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে। অতীতে আমরা বহুবার কলঙ্কিত হয়েছি, এবার সেই কলঙ্ক মুছে দিতে হবে। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আর মাত্র ৮০-৯০ দিন বাকি। এরপরও যদি কারও মনে সন্দেহ থাকে নির্বাচন হবে না, তাহলে সেটা ভুল ধারণা। নির্বাচন হবেই এবং তা হবে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ।’
প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের উদ্দেশে কমিশনার আনোয়ারুল বলেন, ‘ভয়ের কিছু নেই। কোনো প্রভাব বা চাপে না পড়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া একটি ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।’
এবারের নির্বাচনে নতুন উদ্যোগ হিসেবে ‘পোস্টাল ব্যালটে ভোটিং’ চালুর ঘোষণা দেন ইসি আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘প্রবাসীদের ভোটার হওয়া ও ভোট দেয়ার জন্য যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, তা জাকজমকভাবে উদ্বোধন হবে। এই পোস্টাল ব্যালটে অংশ নেবেন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় দেড় লাখ ভোটার। এছাড়া বিচারাধীন কয়েদিরাও যেন জেলখানায় বসে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান এবং সিবিটিইপি প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান। দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সময় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেন।