সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে দুজনের কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন।
সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয়। পরে অস্বাক্ষরিত আদেশ রিকল করে আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে। মামলায় ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করেছিল, যা চেম্বার আদালত হয়ে সোমবার, আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানি নিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। একই মামলায় মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন এক সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়। দুপুর ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যতালিকায় গিয়ে দেখা যায়, মঞ্জুরুল আলমের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন বিষয়ে ফলাফলের ঘরে লেখা আনসাইড অর্ডার ইজ রিকলড (অস্বাক্ষরিত আদেশ প্রত্যাহার করা) অ্যান্ড ডিসমিসড (রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ)।
মঞ্জুরুল আলমের আইনজীবী রমজান আলী শিকদার বলেন, বিরতির আগে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি এক সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন। পরে স্ট্যান্ডওভার অর্ডার রিকল করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে মঞ্জুরুল আলমের জামিন বহাল রইল। তার মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই। এর আগে আদালতের আদেশের পর লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া ‘বলেন, তার মক্কেলের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন। মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও রমজান আলী শিকদার এবং আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া ও জাকির হোসেন মাসুদ।
আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট রাত পৌনে একটার দিকে লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ’৭১ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তারা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে দুজনের কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন।
সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয়। পরে অস্বাক্ষরিত আদেশ রিকল করে আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে। মামলায় ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করেছিল, যা চেম্বার আদালত হয়ে সোমবার, আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানি নিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। একই মামলায় মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন এক সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়। দুপুর ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যতালিকায় গিয়ে দেখা যায়, মঞ্জুরুল আলমের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন বিষয়ে ফলাফলের ঘরে লেখা আনসাইড অর্ডার ইজ রিকলড (অস্বাক্ষরিত আদেশ প্রত্যাহার করা) অ্যান্ড ডিসমিসড (রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ)।
মঞ্জুরুল আলমের আইনজীবী রমজান আলী শিকদার বলেন, বিরতির আগে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি এক সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন। পরে স্ট্যান্ডওভার অর্ডার রিকল করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে মঞ্জুরুল আলমের জামিন বহাল রইল। তার মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই। এর আগে আদালতের আদেশের পর লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া ‘বলেন, তার মক্কেলের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন। মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও রমজান আলী শিকদার এবং আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া ও জাকির হোসেন মাসুদ।
আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট রাত পৌনে একটার দিকে লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ’৭১ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তারা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।