জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) শেষ হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা আগামী ১৭ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আলাদা দুই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর এসব মামলার জেরার দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার, ঢাকার বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এদিন ধার্য করেন।
এদিন শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়াকে জেরা করেন আইনজীবী শাহীনুর রহমান। জয় এবং পুতুলের মামলায় দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন এবং এসএম রাশেদুল হাসানকে জেরা করা অব্যাহত রয়েছে।
দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মাইনুল হাসান (লিপন) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই এই তিনটিসহ ছয় মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
এসব মামলার শেখ পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহানা, তার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
শেখ পরিবার ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সওজ (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব মামলায় ‘পলাতক’ থাকায় শেখ পরিবারের সদস্য ও তাদের স্বজনরা যুক্তিতর্কে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বাদী পক্ষকে জেরাও করতে পারেননি তারা।
অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এখন রায়ের পথে আরেক ধাপ এগোলো দুদকের করা এই মামলা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) শেষ হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা আগামী ১৭ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আলাদা দুই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর এসব মামলার জেরার দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার, ঢাকার বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এদিন ধার্য করেন।
এদিন শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়াকে জেরা করেন আইনজীবী শাহীনুর রহমান। জয় এবং পুতুলের মামলায় দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন এবং এসএম রাশেদুল হাসানকে জেরা করা অব্যাহত রয়েছে।
দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মাইনুল হাসান (লিপন) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই এই তিনটিসহ ছয় মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
এসব মামলার শেখ পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহানা, তার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
শেখ পরিবার ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সওজ (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব মামলায় ‘পলাতক’ থাকায় শেখ পরিবারের সদস্য ও তাদের স্বজনরা যুক্তিতর্কে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বাদী পক্ষকে জেরাও করতে পারেননি তারা।
অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এখন রায়ের পথে আরেক ধাপ এগোলো দুদকের করা এই মামলা।