বাংলাদেশের মানুষ আর সংঘর্ষমুখী রাজনীতি দেখতে চায় না, তারা দেশের স্থিতিশীলতা দেখতে চায়— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে, কিন্তু কথায় কথায় রাস্তায় নামলে সংঘর্ষ অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায়। এক দল রাস্তায় গেলে, আরেক দল তার প্রতিবাদে নামবে— তখন সংঘর্ষ হবেই। তাহলে প্রশ্ন আসে, আমরা কি শেখ হাসিনাকে এ জন্য বিদায় দিয়েছি?”
শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি আয়োজিত ‘প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা সরাসরি কোনো দলের নাম না নিলেও, সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতে ইসলামী গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির অনেক নেতা এই আন্দোলনকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদের উপস্থিতিতে আমীর খসরু বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরনের ‘অবসেসনে’ ভুগছে। কিছু রাজনীতিবিদ মনে করেন, তাদের মতামত বা দাবি ছাড়া কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়— এ মানসিকতা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সেটিকে সম্মান জানানো উচিত। এর বাইরে গিয়ে নতুন ইস্যু তোলা মানে ঐকমত্যের প্রতি অশ্রদ্ধা। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য থাকতে হবে।”
আমীর খসরুর ভাষায়, “শেখ হাসিনার ১৭ বছরের শাসনে আমাদের মধ্যে এক ধরনের স্বৈরাচারী মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ভাবি, আমার দাবি না মানলে সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। এই মনোভাব থেকে বের হতে হবে।”
তিনি বলেন, “যতটুকু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আর যেসব বিষয়ে হয়নি, তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “এই সরকার সংবিধানের আলোকে গঠিত হয়েছে। বর্তমান সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে সংসদের মাধ্যমে আইনগতভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস হওয়ার পরই বিষয়টি গণভোটে যেতে পারে।”
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, “কিছু মানুষ এসব ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। চট্টগ্রামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে— এটি কি নির্বাচনী প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনার অংশ?”
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের মানুষ আর সংঘর্ষমুখী রাজনীতি দেখতে চায় না, তারা দেশের স্থিতিশীলতা দেখতে চায়— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে, কিন্তু কথায় কথায় রাস্তায় নামলে সংঘর্ষ অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায়। এক দল রাস্তায় গেলে, আরেক দল তার প্রতিবাদে নামবে— তখন সংঘর্ষ হবেই। তাহলে প্রশ্ন আসে, আমরা কি শেখ হাসিনাকে এ জন্য বিদায় দিয়েছি?”
শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি আয়োজিত ‘প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা সরাসরি কোনো দলের নাম না নিলেও, সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতে ইসলামী গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির অনেক নেতা এই আন্দোলনকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদের উপস্থিতিতে আমীর খসরু বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরনের ‘অবসেসনে’ ভুগছে। কিছু রাজনীতিবিদ মনে করেন, তাদের মতামত বা দাবি ছাড়া কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়— এ মানসিকতা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সেটিকে সম্মান জানানো উচিত। এর বাইরে গিয়ে নতুন ইস্যু তোলা মানে ঐকমত্যের প্রতি অশ্রদ্ধা। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য থাকতে হবে।”
আমীর খসরুর ভাষায়, “শেখ হাসিনার ১৭ বছরের শাসনে আমাদের মধ্যে এক ধরনের স্বৈরাচারী মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ভাবি, আমার দাবি না মানলে সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। এই মনোভাব থেকে বের হতে হবে।”
তিনি বলেন, “যতটুকু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আর যেসব বিষয়ে হয়নি, তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “এই সরকার সংবিধানের আলোকে গঠিত হয়েছে। বর্তমান সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে সংসদের মাধ্যমে আইনগতভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস হওয়ার পরই বিষয়টি গণভোটে যেতে পারে।”
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, “কিছু মানুষ এসব ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। চট্টগ্রামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে— এটি কি নির্বাচনী প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনার অংশ?”
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।