বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যে ভিন্নতা ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত খবরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ বিরাজ করছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ নাকি তিনি ‘লাইফ সাপোর্টে’ আছেন তা নিয়ে চিকিৎসক বা বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, ভুল খবরে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না: মির্জা ফখরুল
আহমেদ আজম খান জানিয়েছেন লাইফ সাপোর্টে খালেদা জিয়া
সোমবার,( ০১ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান জানান, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন এবং তিনি বর্তমানে ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্টে আছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে খালেদা জিয়া ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন। সিসিইউ থেকে আইসিইউ, এরপরে ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্ট, যাই বলেন। আমি এগুলোর বাইরে বলবো যে, ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গতকাল রোববার রাত থেকে ম্যাডামের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। এই সংকটময় অবস্থা থেকে ফিরে আসার জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) ফাইট করছেন। আজম খান বলেন, ‘বলবার মতো কোনো কন্ডিশনে এখনও তিনি আসেন নাই। পুরো জাতির কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছু বলার নেই।’
প্রায় একই সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ম্যাডামকে নিয়ে যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে তা সঠিক নয়। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।’
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও মহাসচিবের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা পূর্বের মতোই চলছে। গুজব ও বিভ্রান্তিকর খবরে কান না দেয়ার আহ্বান জানান রিজভী।
তবে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, দয়া করে আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করি। দল ও চিকিৎসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করি। তিনি বলেন, ‘আমি আহমেদ আজম ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি বলেছেন আমি এই ধরনের বক্তব্য রাখিনি।’ এ বিষয়ে অযাচিত ও যাচাইবিহীন বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে বিএনপি।
বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্যের জন্য শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বক্তব্য ছাড়া অন্য কোনো সূত্র যেন ব্যবহার না করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি যথাসময়ে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে।’ তবে খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২৯ নভেম্বর রাতে শুধু একদিনই বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. জাহিদ। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, তিনদিন ধরে তার অবস্থা একই পর্যায়ে আছে, মানে তিনি চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিতে পারছেন। এটা ভালো লক্ষণ। চিকিৎসা করা চিকিৎসকদের দায়িত্ব, আর সুস্থ করা আল্লাহর হাতে।
বিদেশে নেয়ার প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছিলেন, উনার এই শারীরিক অবস্থায় বিদেশে নেয়া সম্ভব না। তিনি আরেকটু সুস্থ হলে এবং উনার মেডিকেল বোর্ড সম্মতি দিলে আমরা সেটা জানাবো। এরপর তিনি আর কিছু জানান নি। যদিও সবার আশা ছিল, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দিনে অন্তত দুইবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
চিকিৎসা ও বিদেশ থেকে আসা দল
খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। এই বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও যুক্ত রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন জানিয়েছেন, চীন থেকে ৫ সদস্যের প্রাথমিক চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে হাসপাতালে পৌঁছেছে। তবে মূল চিকিৎসক দল এখনও আসেনি। তারা মঙ্গলবার (আজ) আসবেন।
আহমেদ আজম খানও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের চিকিৎসকদের পাশাপাশি এখন চীনের চিকিৎসকরাও খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিশ্চিত করে বলেছেন, দেশি-বিদেশি সব চিকিৎসককে যুক্ত রেখেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। লন্ডন থেকে তার বড় ছেলে তারেক রহমান সার্বক্ষণিক মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।
মির্জা ফখরুল এবং রুহুল কবির রিজভী উভয়েই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে প্রকাশিত নানা খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা উভয়েই খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যে ভিন্নতা ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত খবরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ বিরাজ করছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ নাকি তিনি ‘লাইফ সাপোর্টে’ আছেন তা নিয়ে চিকিৎসক বা বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, ভুল খবরে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না: মির্জা ফখরুল
আহমেদ আজম খান জানিয়েছেন লাইফ সাপোর্টে খালেদা জিয়া
সোমবার,( ০১ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান জানান, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন এবং তিনি বর্তমানে ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্টে আছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে খালেদা জিয়া ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন। সিসিইউ থেকে আইসিইউ, এরপরে ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্ট, যাই বলেন। আমি এগুলোর বাইরে বলবো যে, ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গতকাল রোববার রাত থেকে ম্যাডামের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। এই সংকটময় অবস্থা থেকে ফিরে আসার জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) ফাইট করছেন। আজম খান বলেন, ‘বলবার মতো কোনো কন্ডিশনে এখনও তিনি আসেন নাই। পুরো জাতির কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছু বলার নেই।’
প্রায় একই সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ম্যাডামকে নিয়ে যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে তা সঠিক নয়। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।’
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও মহাসচিবের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা পূর্বের মতোই চলছে। গুজব ও বিভ্রান্তিকর খবরে কান না দেয়ার আহ্বান জানান রিজভী।
তবে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, দয়া করে আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করি। দল ও চিকিৎসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করি। তিনি বলেন, ‘আমি আহমেদ আজম ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি বলেছেন আমি এই ধরনের বক্তব্য রাখিনি।’ এ বিষয়ে অযাচিত ও যাচাইবিহীন বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে বিএনপি।
বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্যের জন্য শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বক্তব্য ছাড়া অন্য কোনো সূত্র যেন ব্যবহার না করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি যথাসময়ে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে।’ তবে খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২৯ নভেম্বর রাতে শুধু একদিনই বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. জাহিদ। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, তিনদিন ধরে তার অবস্থা একই পর্যায়ে আছে, মানে তিনি চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিতে পারছেন। এটা ভালো লক্ষণ। চিকিৎসা করা চিকিৎসকদের দায়িত্ব, আর সুস্থ করা আল্লাহর হাতে।
বিদেশে নেয়ার প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছিলেন, উনার এই শারীরিক অবস্থায় বিদেশে নেয়া সম্ভব না। তিনি আরেকটু সুস্থ হলে এবং উনার মেডিকেল বোর্ড সম্মতি দিলে আমরা সেটা জানাবো। এরপর তিনি আর কিছু জানান নি। যদিও সবার আশা ছিল, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দিনে অন্তত দুইবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
চিকিৎসা ও বিদেশ থেকে আসা দল
খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। এই বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও যুক্ত রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন জানিয়েছেন, চীন থেকে ৫ সদস্যের প্রাথমিক চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে হাসপাতালে পৌঁছেছে। তবে মূল চিকিৎসক দল এখনও আসেনি। তারা মঙ্গলবার (আজ) আসবেন।
আহমেদ আজম খানও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের চিকিৎসকদের পাশাপাশি এখন চীনের চিকিৎসকরাও খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিশ্চিত করে বলেছেন, দেশি-বিদেশি সব চিকিৎসককে যুক্ত রেখেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। লন্ডন থেকে তার বড় ছেলে তারেক রহমান সার্বক্ষণিক মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।
মির্জা ফখরুল এবং রুহুল কবির রিজভী উভয়েই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে প্রকাশিত নানা খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা উভয়েই খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।