স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ ও ১৫৩; ভারত ১৮৯ ও ৯৩। ফল: দ. আফ্রিকা ৩০ রানে জয়ী।
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের জয়োল্লাস
কলকাতা টেস্টে প্রোটিয়াদের জন্য স্পিন ফাঁদ পেতেছিল ভারত। খেলতে নেমেছিল চার স্পিনার নিয়ে। স্বাগতিকদের সেই ফাঁদে ফেলেই রোববার,(১৬ নভেম্বর ২০২৫) তৃতীয় দিন ৩০ রানের অসাধারণ জয় তুলে নিলো সফরকারীরা।
অথচ ইডেন গার্ডেনে জয়ের সুবাদ নিয়ে নতুন দিন শুরু করে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে স্রেফ ১৫৩ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। কিন্তু তাদের সেই স্বস্তি উঁড়ে যায় ব্যাটিংয়ে নেমে। ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
প্রথম ইনিংসে তিন বল খেলে ঘাড়ে চোট পাওয়া শুবমান গিল হাসপাতালে ভর্তি। ম্যাচের মাঝে অধিনায়কের ছিটকে যাওয়া ভারতের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।
এই জয়ে দীর্ঘ এক অপেক্ষার অবসান হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের মাটিতে প্রায় ১৫ বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল তারা। এশিয়ার দেশটিতে তাদের আগের জয়টি ছিল ২০১০ সালে, নাগপুরে। সেই ম্যাচে ইনিংস ও ৬ রানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক অফ স্পিনার হার্মার। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি করে উইকেট নেন ইয়ানসেন ও মহারাজ। মার্করামের প্রাপ্তি একটি।
ভয়ঙ্কর উইকেটে দিনের শুরুটা ভালোই করে ৭ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা ও কর্বিন বশ অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন। ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৫ রান করা বশকে বোল্ড করে ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১২২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন বাভুমা। ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ছাড়া পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি কেউ। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪টি চারে ৫৫ রান করে। চার বলের মধ্যে হার্মার ও মহারাজকে ফিরিয়ে সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে দেন সিরাজ। উইকেট স্পিন সহায়ক হলেও নতুন বলে আলো ছড়ান ইয়ানসেন। পরপর দুই ওভারে ইয়াশাসভি জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলকে কট বিহাইন্ড করে দেন এই পেসার। ১ রানে দুই ওপেনারকে হারানো ভারতকে আরও চেপে ধরেন হার্মার। তাকে ছক্কার চেষ্টায় ডিপ মিউউইকেটে ক্যাচ দেন ধ্রুব জুরেল। পরে রিশাভ পান্তের ফিরতি ক্যাচ নেন হার্মার। জাদেজাকেও টিকতে দেননি তিনি।
অনেকটা সময় একপ্রান্ত ধরে রাখা ওয়াশিংটন সুন্দার স্লিপে ধরা পড়েন মার্করামের বলে। হার্মারের বলে কুলদিপ এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নিলে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পথে হাঁটেন আকসার। মহারাজকে সুইপ করে মারেন তিনটি বাউন্ডারি।
অতিআগ্রাসন কাল হয় আকসারের জন্য। মহারাজকে সুইপ করে উপরে তুলে দেন তিনি। মিডউইকেট থেকে লং-অনের দিকে উল্টো দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন বাভুমা। পরের ডেলিভারিতে সিরাজ স্লিপে ধরা পড়লে উল্লাসে মাতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ টেস্ট শুরু আগামী শনিবার, গৌহাটিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ ও ১৫৩ (আগের দিন ৯৩/৭) (বাভুমা ৫৫*, বশ ২৫; বুমরাহ ১/২৪, আকসার ১/৩৬, কুলদিপ ২/৩০, জাদেজা ৪/৫০, সিরাজ ২/২)।
ভারত ১৮৯ ও ৩৫ ওভারে ৯৩ (জয়সওয়াল ০, রাহুল ১, ওয়াশিংটন ৩১, জুরেল ১৩, পান্ত ২, জাদেজা ১৮, আকসার ২৬, কুলদিপ ১, বুমরাহ ০*, সিরাজ ০, গিল চোটে অনুপস্থিত; ইয়ানসেন ২/১৫, হার্মার ৪/২১, মহারাজ ২/৩৭, মার্করাম ১/৫)। ম্যাচসেরা: সাইমন হার্মার।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ ও ১৫৩; ভারত ১৮৯ ও ৯৩। ফল: দ. আফ্রিকা ৩০ রানে জয়ী।
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের জয়োল্লাস
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
কলকাতা টেস্টে প্রোটিয়াদের জন্য স্পিন ফাঁদ পেতেছিল ভারত। খেলতে নেমেছিল চার স্পিনার নিয়ে। স্বাগতিকদের সেই ফাঁদে ফেলেই রোববার,(১৬ নভেম্বর ২০২৫) তৃতীয় দিন ৩০ রানের অসাধারণ জয় তুলে নিলো সফরকারীরা।
অথচ ইডেন গার্ডেনে জয়ের সুবাদ নিয়ে নতুন দিন শুরু করে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে স্রেফ ১৫৩ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। কিন্তু তাদের সেই স্বস্তি উঁড়ে যায় ব্যাটিংয়ে নেমে। ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
প্রথম ইনিংসে তিন বল খেলে ঘাড়ে চোট পাওয়া শুবমান গিল হাসপাতালে ভর্তি। ম্যাচের মাঝে অধিনায়কের ছিটকে যাওয়া ভারতের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।
এই জয়ে দীর্ঘ এক অপেক্ষার অবসান হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের মাটিতে প্রায় ১৫ বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল তারা। এশিয়ার দেশটিতে তাদের আগের জয়টি ছিল ২০১০ সালে, নাগপুরে। সেই ম্যাচে ইনিংস ও ৬ রানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক অফ স্পিনার হার্মার। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি করে উইকেট নেন ইয়ানসেন ও মহারাজ। মার্করামের প্রাপ্তি একটি।
ভয়ঙ্কর উইকেটে দিনের শুরুটা ভালোই করে ৭ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা ও কর্বিন বশ অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন। ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৫ রান করা বশকে বোল্ড করে ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১২২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন বাভুমা। ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ছাড়া পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি কেউ। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪টি চারে ৫৫ রান করে। চার বলের মধ্যে হার্মার ও মহারাজকে ফিরিয়ে সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে দেন সিরাজ। উইকেট স্পিন সহায়ক হলেও নতুন বলে আলো ছড়ান ইয়ানসেন। পরপর দুই ওভারে ইয়াশাসভি জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলকে কট বিহাইন্ড করে দেন এই পেসার। ১ রানে দুই ওপেনারকে হারানো ভারতকে আরও চেপে ধরেন হার্মার। তাকে ছক্কার চেষ্টায় ডিপ মিউউইকেটে ক্যাচ দেন ধ্রুব জুরেল। পরে রিশাভ পান্তের ফিরতি ক্যাচ নেন হার্মার। জাদেজাকেও টিকতে দেননি তিনি।
অনেকটা সময় একপ্রান্ত ধরে রাখা ওয়াশিংটন সুন্দার স্লিপে ধরা পড়েন মার্করামের বলে। হার্মারের বলে কুলদিপ এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নিলে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পথে হাঁটেন আকসার। মহারাজকে সুইপ করে মারেন তিনটি বাউন্ডারি।
অতিআগ্রাসন কাল হয় আকসারের জন্য। মহারাজকে সুইপ করে উপরে তুলে দেন তিনি। মিডউইকেট থেকে লং-অনের দিকে উল্টো দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন বাভুমা। পরের ডেলিভারিতে সিরাজ স্লিপে ধরা পড়লে উল্লাসে মাতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ টেস্ট শুরু আগামী শনিবার, গৌহাটিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ ও ১৫৩ (আগের দিন ৯৩/৭) (বাভুমা ৫৫*, বশ ২৫; বুমরাহ ১/২৪, আকসার ১/৩৬, কুলদিপ ২/৩০, জাদেজা ৪/৫০, সিরাজ ২/২)।
ভারত ১৮৯ ও ৩৫ ওভারে ৯৩ (জয়সওয়াল ০, রাহুল ১, ওয়াশিংটন ৩১, জুরেল ১৩, পান্ত ২, জাদেজা ১৮, আকসার ২৬, কুলদিপ ১, বুমরাহ ০*, সিরাজ ০, গিল চোটে অনুপস্থিত; ইয়ানসেন ২/১৫, হার্মার ৪/২১, মহারাজ ২/৩৭, মার্করাম ১/৫)। ম্যাচসেরা: সাইমন হার্মার।