ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে ভারতীয় খেলোয়াড়রা
এশিয়া কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ খেলতে গতকাল শনিবার এসেছে ভারতীয় ফুটবল দল। ঢাকায় ফুটবলাররা পেয়েছেন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। আর সেটিই আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের। চারপাশে বাড়তি সতর্কতা থাকলেও দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা জানিয়ে দিলেন, নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই; এখন তাদের মাথায় শুধু ফুটবল ও ম্যাচের প্রস্তুতি।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে আসা ভারতীয় দলকে ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। বাফুফে ও স্থানীয় পুলিশের সমন্বয়ে দলকে বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত পুলিশ এসকর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশে আইসিটি-১ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার থাকায় ভারতীয় দলকে দেয়া হয়েছে আরও বাড়তি সুরক্ষা, যাকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে ‘ফুলপ্রুফ’। এ কারণে এখনও স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের কথা বলা হয়নি।
তবু দলের সিনিয়র গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু জানান, ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই তারা নিরাপদ অনুভব করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আসার আগে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতাম। অবশ্যই এটি আদর্শ পরিবেশ নয়। কিন্তু আমরা এখানে এসেছি ফুটবল খেলতে, আমাদের মাথায় শুধু সেটাই। ঢাকায় আসার পর থেকেই আমরা নিজেকে অসুরক্ষিত মনে করিনি। সবকিছুই খুব সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের এখন শুধু মাঠের খেলায় মনোযোগ দিতে হবে।’ তার সঙ্গে একমত অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গানও। ঢাকায় আগমনের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আতিথেয়তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর থেকেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। সবাই খুব সহায়তা করছেন। আমরা আসার আগে সংক্ষিপ্তভাবে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। তবু ভারতীয় হাইকমিশন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা মাঠে সেরাটা দেয়ার ওপরই মনোযোগ দিচ্ছি। খেলা মানুষকে এক করে, আশা করি এই ম্যাচও ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করবে। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল।’
ঢাকায় খেলার অভিজ্ঞতা আগেও আছে দুই জনেরই। ঝিঙ্গান খেলেছেন ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইয়ে, আর সান্ধু ও ঝিঙ্গান দুজনই ২০১৭ সালে আবাহনীর বিপক্ষে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে নেমেছিলেন মাঠে। সান্ধুর মতে, ঢাকায় খেলা সহজ কিছু নয়।
তিনি বলেন, ‘এখানের অভিজ্ঞতা সব সময় শিখিয়ে দেয়। প্রতিযোগিতার দিক থেকে কঠিন জায়গা এটি। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের বিপক্ষে ভালো করতে চায়, কঠিন প্রতিপক্ষ হতে চায়, জাতীয় দল হোক বা ক্লাব ফুটবল, অভিজ্ঞতা সব সময় এমনই ছিল। তবে এটা অনেক আগের কথা। বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নত করেছে, বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ফুটবলের প্রতি তাদের ভালোবাসা বেড়েছে, জাতীয় দলও উন্নতি করছে।’
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি আগামীকাল ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচ শুরু হবে রাত ৮টায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে ভারতীয় খেলোয়াড়রা
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
এশিয়া কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ খেলতে গতকাল শনিবার এসেছে ভারতীয় ফুটবল দল। ঢাকায় ফুটবলাররা পেয়েছেন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। আর সেটিই আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের। চারপাশে বাড়তি সতর্কতা থাকলেও দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা জানিয়ে দিলেন, নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই; এখন তাদের মাথায় শুধু ফুটবল ও ম্যাচের প্রস্তুতি।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে আসা ভারতীয় দলকে ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। বাফুফে ও স্থানীয় পুলিশের সমন্বয়ে দলকে বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত পুলিশ এসকর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশে আইসিটি-১ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার থাকায় ভারতীয় দলকে দেয়া হয়েছে আরও বাড়তি সুরক্ষা, যাকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে ‘ফুলপ্রুফ’। এ কারণে এখনও স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের কথা বলা হয়নি।
তবু দলের সিনিয়র গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু জানান, ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই তারা নিরাপদ অনুভব করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আসার আগে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতাম। অবশ্যই এটি আদর্শ পরিবেশ নয়। কিন্তু আমরা এখানে এসেছি ফুটবল খেলতে, আমাদের মাথায় শুধু সেটাই। ঢাকায় আসার পর থেকেই আমরা নিজেকে অসুরক্ষিত মনে করিনি। সবকিছুই খুব সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের এখন শুধু মাঠের খেলায় মনোযোগ দিতে হবে।’ তার সঙ্গে একমত অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গানও। ঢাকায় আগমনের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আতিথেয়তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর থেকেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। সবাই খুব সহায়তা করছেন। আমরা আসার আগে সংক্ষিপ্তভাবে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। তবু ভারতীয় হাইকমিশন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা মাঠে সেরাটা দেয়ার ওপরই মনোযোগ দিচ্ছি। খেলা মানুষকে এক করে, আশা করি এই ম্যাচও ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করবে। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল।’
ঢাকায় খেলার অভিজ্ঞতা আগেও আছে দুই জনেরই। ঝিঙ্গান খেলেছেন ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইয়ে, আর সান্ধু ও ঝিঙ্গান দুজনই ২০১৭ সালে আবাহনীর বিপক্ষে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে নেমেছিলেন মাঠে। সান্ধুর মতে, ঢাকায় খেলা সহজ কিছু নয়।
তিনি বলেন, ‘এখানের অভিজ্ঞতা সব সময় শিখিয়ে দেয়। প্রতিযোগিতার দিক থেকে কঠিন জায়গা এটি। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের বিপক্ষে ভালো করতে চায়, কঠিন প্রতিপক্ষ হতে চায়, জাতীয় দল হোক বা ক্লাব ফুটবল, অভিজ্ঞতা সব সময় এমনই ছিল। তবে এটা অনেক আগের কথা। বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নত করেছে, বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ফুটবলের প্রতি তাদের ভালোবাসা বেড়েছে, জাতীয় দলও উন্নতি করছে।’
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি আগামীকাল ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচ শুরু হবে রাত ৮টায়।