স্তন ক্যান্সারকে বলা হয় নীরব ঘাতক। প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হোন প্রায় ১৩ হাজার নারী। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় ৮ হাজার নারী।
গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম’র দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যান্সার। সঠিক সময়ে ক্যান্সার রোগটি শনাক্ত হয় না। তিন-চতুর্থাংশ স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে শেষ পর্যায়ে। বেশিরভাগ মানুষ ক্যান্সার সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাদের ভেতর ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সংকোচবোধের কারণে অনেকেই ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন।
স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করে সময়মতো পরিপূর্ণ চিকিৎসা দিতে পারলে শতকরা ৯০ ভাগ রোগীর সুস্থ হওয়া সম্ভব। কিন্তু দেশে এ রোগ প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও রোগ স্ক্রিনিংয়ের জন্য সরকারি পর্যায়ে কোনো কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেই।
এর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ক্যান্সার চিকিৎসায়। ক্যান্সার প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। ক্যান্সারের বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করা গেলে মানুষের ভেতরে দ্রুত সচেতনতা বাড়বে। এমন পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মনে রাখতে হবে-ক্যান্সার হলেই মৃত্যু এমন নয়। সময়মতো চিকিৎসা নিলে ক্যান্সার নিরাময় হয়।
তবে মানুষকে কেবল সচেতন করাই যথেষ্ট নয়। বাস্তবতা হচ্ছে- চিকিৎসকদের কাছে যাওয়া, তাদের পরামর্শ নেয়া ও রোগ নির্ণয়ের জন্য নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যয়ের সামর্থ্য সবার থাকে না। ২০১২ সাল থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে রোগীর নিজস্ব ‘আউট-অব-পকেট-পেমেন্ট বা ওওপি’ খরচ ৩২ শতাংশে কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু গত দশ বছরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে- ২০২০ সালে বাংলাদেশের ওওপি ছিল ৭৪ শতাংশ।
চিকিৎিসা ব্যবস্থা যদি সুলভ করা না যায়, তাহলে শুধু মানুষকে সচেতন করে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। তাই চিকিৎসা ব্যয় যে কোনো উপায়ে কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখাও বাড়াতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
স্তন ক্যান্সারকে বলা হয় নীরব ঘাতক। প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হোন প্রায় ১৩ হাজার নারী। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় ৮ হাজার নারী।
গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম’র দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যান্সার। সঠিক সময়ে ক্যান্সার রোগটি শনাক্ত হয় না। তিন-চতুর্থাংশ স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে শেষ পর্যায়ে। বেশিরভাগ মানুষ ক্যান্সার সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাদের ভেতর ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সংকোচবোধের কারণে অনেকেই ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন।
স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করে সময়মতো পরিপূর্ণ চিকিৎসা দিতে পারলে শতকরা ৯০ ভাগ রোগীর সুস্থ হওয়া সম্ভব। কিন্তু দেশে এ রোগ প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও রোগ স্ক্রিনিংয়ের জন্য সরকারি পর্যায়ে কোনো কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেই।
এর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ক্যান্সার চিকিৎসায়। ক্যান্সার প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। ক্যান্সারের বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করা গেলে মানুষের ভেতরে দ্রুত সচেতনতা বাড়বে। এমন পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মনে রাখতে হবে-ক্যান্সার হলেই মৃত্যু এমন নয়। সময়মতো চিকিৎসা নিলে ক্যান্সার নিরাময় হয়।
তবে মানুষকে কেবল সচেতন করাই যথেষ্ট নয়। বাস্তবতা হচ্ছে- চিকিৎসকদের কাছে যাওয়া, তাদের পরামর্শ নেয়া ও রোগ নির্ণয়ের জন্য নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যয়ের সামর্থ্য সবার থাকে না। ২০১২ সাল থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে রোগীর নিজস্ব ‘আউট-অব-পকেট-পেমেন্ট বা ওওপি’ খরচ ৩২ শতাংশে কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু গত দশ বছরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে- ২০২০ সালে বাংলাদেশের ওওপি ছিল ৭৪ শতাংশ।
চিকিৎিসা ব্যবস্থা যদি সুলভ করা না যায়, তাহলে শুধু মানুষকে সচেতন করে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। তাই চিকিৎসা ব্যয় যে কোনো উপায়ে কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখাও বাড়াতে হবে।