alt

সম্পাদকীয়

বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির বিহিত করুন

: বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হলে তাদের পাঠ্যবইগুলো ফেরত নেন প্রধান শিক্ষক। তিনি সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে ৩৬০ কেজি বই বাজারে নিয়ে কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বাইটকামারী উচ্চ বিদ্যালয়ে।

শুধু পাঠ্যবই বিক্রিই নয় স্কুলে ইচ্ছামতো ভর্তি ফি, পুনর্ভর্তি ফি, পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি ও ফরম পূরণ ফির নামে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করা পর্যন্ত ভর্তি খাতায় শিক্ষার্থীর নাম তোলা হয় না, এমনকি নতুন বইও দেয়া হয় না।

মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যালয়ে সরকারি বই উদ্বৃত্ত থাকলে তা ফেরত দিতে হবে। বই সংরক্ষণে সরকারি গুদামও রয়েছে। সরকারি বই বিক্রি করা আইনত দ-নীয় অপরাধ।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিনামূল্যের নতুুন কিংবা পুরাতন পাঠ্যবই কোনোক্রমেই বিক্রি করা যাবে না। এটা আইনত দ-নীয় অপরাধ।

পুরাতন পাঠ্যবই বাজারে নিয়ে কেজি দরে বিক্রি করার অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এরকম অভিযোগ আরও অন্যান্য জায়গা থেকেও পাওয়া যায়। প্রসঙ্গক্রমে ২০২১ সালে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মাটিকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক ৪০ মণ সরকারি পাঠ্যবই গোপনে বিক্রি করে দেয়ার কথা বলা যায়। এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। রৌমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। নিয়ম লঙ্ঘন করে যারা সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

এছাড়াও উক্ত ইচ্ছামতো ভর্তি ফি, পুনর্ভর্তি ফি, পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি ও ফরমপূরণ ফির নামে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছে। আমরা চাইব, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির বিহিত করুন

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হলে তাদের পাঠ্যবইগুলো ফেরত নেন প্রধান শিক্ষক। তিনি সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে ৩৬০ কেজি বই বাজারে নিয়ে কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বাইটকামারী উচ্চ বিদ্যালয়ে।

শুধু পাঠ্যবই বিক্রিই নয় স্কুলে ইচ্ছামতো ভর্তি ফি, পুনর্ভর্তি ফি, পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি ও ফরম পূরণ ফির নামে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করা পর্যন্ত ভর্তি খাতায় শিক্ষার্থীর নাম তোলা হয় না, এমনকি নতুন বইও দেয়া হয় না।

মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যালয়ে সরকারি বই উদ্বৃত্ত থাকলে তা ফেরত দিতে হবে। বই সংরক্ষণে সরকারি গুদামও রয়েছে। সরকারি বই বিক্রি করা আইনত দ-নীয় অপরাধ।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিনামূল্যের নতুুন কিংবা পুরাতন পাঠ্যবই কোনোক্রমেই বিক্রি করা যাবে না। এটা আইনত দ-নীয় অপরাধ।

পুরাতন পাঠ্যবই বাজারে নিয়ে কেজি দরে বিক্রি করার অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এরকম অভিযোগ আরও অন্যান্য জায়গা থেকেও পাওয়া যায়। প্রসঙ্গক্রমে ২০২১ সালে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মাটিকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক ৪০ মণ সরকারি পাঠ্যবই গোপনে বিক্রি করে দেয়ার কথা বলা যায়। এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। রৌমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। নিয়ম লঙ্ঘন করে যারা সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

এছাড়াও উক্ত ইচ্ছামতো ভর্তি ফি, পুনর্ভর্তি ফি, পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি ও ফরমপূরণ ফির নামে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছে। আমরা চাইব, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

back to top