alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

: সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর হরিনাবাড়ি ইউনিয়নে ‘হরিনাবাড়ি সমাজকল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন ২০০৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে চুক্তি করে পাঁচটি রাস্তায় গাছ লাগায়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ওই পাঁচটি সড়কের দুই হাজার ৩৭৫টি গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে।

টেন্ডার অনুযায়ী কদমতলী মোড় থেকে জিগাতলী পর্যন্ত সড়কের গাছ কাটার কথা ছিল। কিন্তু টেন্ডার পাওয়া ব্যক্তিরা পাশর্^বর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা মৌজার ১২০টি গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। চুক্তি অনুযায়ী জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও তারা দেননি।

এক এলাকার মৌজার গাছ কাটার জন্য টেন্ডার দেয়া হলো, কিন্তু টেন্ডার পাওয়া ব্যক্তি যখন অন্য মৌজার ১২০ গাছ কেটে নিয়ে গেল তখন বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কারও নজরে কেন এলো না, সেটা একটা প্রশ্ন। যারা গাছ কেটে নিয়ে গেছেন, তারা বলেছেন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে। সরকারি রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

শুধু গোবিন্দগঞ্জেই যে সরকারি গাছ নিয়মবহির্ভূতভাবে কাটা হয়েছে তা নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অভিযোগ আছে, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তারও ইন্ধন থাকে গাছ কাটার পেছনে।

গায়ের জোরে যা খুশি তা করার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশে আইন আছে। সরকারি গাছ কেটে নেয়া আইনত দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিরও বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ হয় না বলেই একটি গোষ্ঠী সরকারি গাছ কেটে নেয়ার সাহস পায়।

একটি সড়কের সব গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। প্রয়োজন হলেই গাছ কাটতে হবে, এটা হতে পারে না। গাছ কাটার জন্য যৌক্তিক কারণও থাকতে হবে। তাই দেশের সামাজিক বনায়নের বিধিমালায় যে নিয়মনীতি রয়েছে তার কিছু পরিবর্তন দরকার একান্তভাবেÑ এমন পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমরা বলতে চাই, গোবিন্দগঞ্জে গায়ের জোরে সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি আমলে নেয়া হোক। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। যেসব রাস্তা থেকে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে আবার যেন নতুন করে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর হরিনাবাড়ি ইউনিয়নে ‘হরিনাবাড়ি সমাজকল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন ২০০৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে চুক্তি করে পাঁচটি রাস্তায় গাছ লাগায়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ওই পাঁচটি সড়কের দুই হাজার ৩৭৫টি গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে।

টেন্ডার অনুযায়ী কদমতলী মোড় থেকে জিগাতলী পর্যন্ত সড়কের গাছ কাটার কথা ছিল। কিন্তু টেন্ডার পাওয়া ব্যক্তিরা পাশর্^বর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা মৌজার ১২০টি গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। চুক্তি অনুযায়ী জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও তারা দেননি।

এক এলাকার মৌজার গাছ কাটার জন্য টেন্ডার দেয়া হলো, কিন্তু টেন্ডার পাওয়া ব্যক্তি যখন অন্য মৌজার ১২০ গাছ কেটে নিয়ে গেল তখন বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কারও নজরে কেন এলো না, সেটা একটা প্রশ্ন। যারা গাছ কেটে নিয়ে গেছেন, তারা বলেছেন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে। সরকারি রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

শুধু গোবিন্দগঞ্জেই যে সরকারি গাছ নিয়মবহির্ভূতভাবে কাটা হয়েছে তা নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অভিযোগ আছে, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তারও ইন্ধন থাকে গাছ কাটার পেছনে।

গায়ের জোরে যা খুশি তা করার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশে আইন আছে। সরকারি গাছ কেটে নেয়া আইনত দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিরও বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ হয় না বলেই একটি গোষ্ঠী সরকারি গাছ কেটে নেয়ার সাহস পায়।

একটি সড়কের সব গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। প্রয়োজন হলেই গাছ কাটতে হবে, এটা হতে পারে না। গাছ কাটার জন্য যৌক্তিক কারণও থাকতে হবে। তাই দেশের সামাজিক বনায়নের বিধিমালায় যে নিয়মনীতি রয়েছে তার কিছু পরিবর্তন দরকার একান্তভাবেÑ এমন পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমরা বলতে চাই, গোবিন্দগঞ্জে গায়ের জোরে সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি আমলে নেয়া হোক। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। যেসব রাস্তা থেকে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে আবার যেন নতুন করে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top