alt

opinion » editorial

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

: রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনটির নির্মাণকাল প্রায় চার দশক আগের। এত দীর্ঘ সময়েও ভবনটি পুনঃনির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে এর অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক যে রোগী, স্বজন এবং হাসপাতালের কর্মীরা প্রতিনিয়ত জীবন ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসাসেবা দিতে ও নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সংকট শুধু স্থানীয় জনগণের জন্য নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র কেন্দ্র। অথচ এই হাসপাতালটি ৫০ শয্যা থাকলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও নিরাপত্তার অভাবে সেবাদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নারী ও শিশু রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে হওয়ায় তাদের জন্য ভোগান্তি আরও বেশি।

হাসপাতাল ভবনের ভয়াবহ অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলেও সাড়া মেলেনি। এই উদাসীনতা শুধু দায়িত্বহীনতার প্রমাণই নয়, বরং বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এই সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। বর্তমান ভবনটি অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে। স্থানীয় জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ভবনটির নকশায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার উপযোগী সব সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভবিষ্যতে এই ধরনের সংকট এড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামীণ ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালের উন্নয়নে সরকারকে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের বর্তমান অবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণের চিকিৎসাসেবা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হলে তা বড় ধরনের প্রাণহানি ডেকে আনতে পারে। সরকারের উচিত বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া। জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনটির নির্মাণকাল প্রায় চার দশক আগের। এত দীর্ঘ সময়েও ভবনটি পুনঃনির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে এর অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক যে রোগী, স্বজন এবং হাসপাতালের কর্মীরা প্রতিনিয়ত জীবন ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসাসেবা দিতে ও নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সংকট শুধু স্থানীয় জনগণের জন্য নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র কেন্দ্র। অথচ এই হাসপাতালটি ৫০ শয্যা থাকলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও নিরাপত্তার অভাবে সেবাদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নারী ও শিশু রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে হওয়ায় তাদের জন্য ভোগান্তি আরও বেশি।

হাসপাতাল ভবনের ভয়াবহ অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলেও সাড়া মেলেনি। এই উদাসীনতা শুধু দায়িত্বহীনতার প্রমাণই নয়, বরং বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এই সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। বর্তমান ভবনটি অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে। স্থানীয় জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ভবনটির নকশায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার উপযোগী সব সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভবিষ্যতে এই ধরনের সংকট এড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামীণ ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালের উন্নয়নে সরকারকে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের বর্তমান অবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণের চিকিৎসাসেবা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হলে তা বড় ধরনের প্রাণহানি ডেকে আনতে পারে। সরকারের উচিত বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া। জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

back to top