alt

সম্পাদকীয়





























  • download

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নতুন বছরের প্রথম দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যবই পায়নি। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরানো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার মূল উপকরণ বই না পাওয়ায় তারা যে হতাশা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বর্তমানে বেতাগী উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য একের পর এক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে বই সংকট। নতুন বই বিতরণের এই ধীরগতি শুধু বইয়ের অভাবে নয়, এটি একটি ব্যর্থ প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রতিফলন। যদিও দশম শ্রেণীর বই বিতরণ করা হয়েছে, কিন্তু ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম এবং অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ বই পায়নি। এমনকি অষ্টম শ্রেণীর কোনো বইই তাদের হাতে পৌঁছায়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পুরনো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এই অস্থির পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিক্ষার মান হুমকির মুখে পড়বে।

এদিকে, বই না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে ফটোকপি অথবা পিডিএফ থেকে বই সংগ্রহ করছে। আর এর মাধ্যমে তারা সীমিত পরিসরে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পুরো পরিস্থিতি কেবল শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে না, বরং তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কথায় আশ্বাসই পাওয়া যাচ্ছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরো হতাশ। শিক্ষা-সংশ্লিষ্টদের উচিত শিক্ষা ব্যবস্থার এই ত্রুটি দ্রুত নিরসন করা, এবং তাদের কর্মকা-ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

বই বিতরণের ধীরগতি শুধু বরগুনার বেতাগী উপজেলায় নয়, সারাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার গুরুতর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আরও পিছিয়ে যাবে এবং জাতির ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে পড়ে যাবে। এটি এখন আমাদের জাতির জন্য একটি বড় সংকট, যা সমাধান করার জন্য সরকারের দৃঢ় উদ্যোগ প্রয়োজন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতি রয়েছে, নজরদারির প্রয়োজন আছে। কিন্তু কবে নাগাদ সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি।

প্রশ্ন হলো, যদি শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেই বই বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা জানেন না, তাহলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে তাদের পড়াশোনার পরিকল্পনা করবে? শিক্ষা বছরের শুরুতেই পাঠ্যবই পাওয়ার কথা থাকলেও কেন ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

আমরা বলতে চাই, পাঠ্যবই বিতরণে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়।

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

tab

সম্পাদকীয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

  • download

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নতুন বছরের প্রথম দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যবই পায়নি। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরানো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার মূল উপকরণ বই না পাওয়ায় তারা যে হতাশা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বর্তমানে বেতাগী উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য একের পর এক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে বই সংকট। নতুন বই বিতরণের এই ধীরগতি শুধু বইয়ের অভাবে নয়, এটি একটি ব্যর্থ প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রতিফলন। যদিও দশম শ্রেণীর বই বিতরণ করা হয়েছে, কিন্তু ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম এবং অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ বই পায়নি। এমনকি অষ্টম শ্রেণীর কোনো বইই তাদের হাতে পৌঁছায়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পুরনো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এই অস্থির পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিক্ষার মান হুমকির মুখে পড়বে।

এদিকে, বই না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে ফটোকপি অথবা পিডিএফ থেকে বই সংগ্রহ করছে। আর এর মাধ্যমে তারা সীমিত পরিসরে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পুরো পরিস্থিতি কেবল শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে না, বরং তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কথায় আশ্বাসই পাওয়া যাচ্ছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরো হতাশ। শিক্ষা-সংশ্লিষ্টদের উচিত শিক্ষা ব্যবস্থার এই ত্রুটি দ্রুত নিরসন করা, এবং তাদের কর্মকা-ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

বই বিতরণের ধীরগতি শুধু বরগুনার বেতাগী উপজেলায় নয়, সারাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার গুরুতর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আরও পিছিয়ে যাবে এবং জাতির ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে পড়ে যাবে। এটি এখন আমাদের জাতির জন্য একটি বড় সংকট, যা সমাধান করার জন্য সরকারের দৃঢ় উদ্যোগ প্রয়োজন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতি রয়েছে, নজরদারির প্রয়োজন আছে। কিন্তু কবে নাগাদ সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি।

প্রশ্ন হলো, যদি শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেই বই বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা জানেন না, তাহলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে তাদের পড়াশোনার পরিকল্পনা করবে? শিক্ষা বছরের শুরুতেই পাঠ্যবই পাওয়ার কথা থাকলেও কেন ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

আমরা বলতে চাই, পাঠ্যবই বিতরণে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়।

back to top