নতুন বছরের প্রথম দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যবই পায়নি। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরানো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার মূল উপকরণ বই না পাওয়ায় তারা যে হতাশা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে বেতাগী উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য একের পর এক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে বই সংকট। নতুন বই বিতরণের এই ধীরগতি শুধু বইয়ের অভাবে নয়, এটি একটি ব্যর্থ প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রতিফলন। যদিও দশম শ্রেণীর বই বিতরণ করা হয়েছে, কিন্তু ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম এবং অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ বই পায়নি। এমনকি অষ্টম শ্রেণীর কোনো বইই তাদের হাতে পৌঁছায়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পুরনো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এই অস্থির পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিক্ষার মান হুমকির মুখে পড়বে।
এদিকে, বই না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে ফটোকপি অথবা পিডিএফ থেকে বই সংগ্রহ করছে। আর এর মাধ্যমে তারা সীমিত পরিসরে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পুরো পরিস্থিতি কেবল শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে না, বরং তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কথায় আশ্বাসই পাওয়া যাচ্ছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরো হতাশ। শিক্ষা-সংশ্লিষ্টদের উচিত শিক্ষা ব্যবস্থার এই ত্রুটি দ্রুত নিরসন করা, এবং তাদের কর্মকা-ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
বই বিতরণের ধীরগতি শুধু বরগুনার বেতাগী উপজেলায় নয়, সারাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার গুরুতর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আরও পিছিয়ে যাবে এবং জাতির ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে পড়ে যাবে। এটি এখন আমাদের জাতির জন্য একটি বড় সংকট, যা সমাধান করার জন্য সরকারের দৃঢ় উদ্যোগ প্রয়োজন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতি রয়েছে, নজরদারির প্রয়োজন আছে। কিন্তু কবে নাগাদ সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
প্রশ্ন হলো, যদি শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেই বই বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা জানেন না, তাহলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে তাদের পড়াশোনার পরিকল্পনা করবে? শিক্ষা বছরের শুরুতেই পাঠ্যবই পাওয়ার কথা থাকলেও কেন ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
আমরা বলতে চাই, পাঠ্যবই বিতরণে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়।
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নতুন বছরের প্রথম দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যবই পায়নি। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরানো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার মূল উপকরণ বই না পাওয়ায় তারা যে হতাশা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে বেতাগী উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য একের পর এক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে বই সংকট। নতুন বই বিতরণের এই ধীরগতি শুধু বইয়ের অভাবে নয়, এটি একটি ব্যর্থ প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রতিফলন। যদিও দশম শ্রেণীর বই বিতরণ করা হয়েছে, কিন্তু ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম এবং অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ বই পায়নি। এমনকি অষ্টম শ্রেণীর কোনো বইই তাদের হাতে পৌঁছায়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পুরনো বই দেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এই অস্থির পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিক্ষার মান হুমকির মুখে পড়বে।
এদিকে, বই না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে ফটোকপি অথবা পিডিএফ থেকে বই সংগ্রহ করছে। আর এর মাধ্যমে তারা সীমিত পরিসরে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পুরো পরিস্থিতি কেবল শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে না, বরং তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কথায় আশ্বাসই পাওয়া যাচ্ছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরো হতাশ। শিক্ষা-সংশ্লিষ্টদের উচিত শিক্ষা ব্যবস্থার এই ত্রুটি দ্রুত নিরসন করা, এবং তাদের কর্মকা-ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
বই বিতরণের ধীরগতি শুধু বরগুনার বেতাগী উপজেলায় নয়, সারাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার গুরুতর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আরও পিছিয়ে যাবে এবং জাতির ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে পড়ে যাবে। এটি এখন আমাদের জাতির জন্য একটি বড় সংকট, যা সমাধান করার জন্য সরকারের দৃঢ় উদ্যোগ প্রয়োজন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতি রয়েছে, নজরদারির প্রয়োজন আছে। কিন্তু কবে নাগাদ সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
প্রশ্ন হলো, যদি শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেই বই বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা জানেন না, তাহলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে তাদের পড়াশোনার পরিকল্পনা করবে? শিক্ষা বছরের শুরুতেই পাঠ্যবই পাওয়ার কথা থাকলেও কেন ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
আমরা বলতে চাই, পাঠ্যবই বিতরণে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়।