রাজধানীর বেইলি রোডে ‘ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার’ নামের একটি ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাগ্য ভালো, এবার কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ভবন থেকে ১৮ জন মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল।
তবে এই ঘটনায় আবারও শহরের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ঠিক এক বছর আগেই বেইলি রোডের আরেকটি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন মানুষ মারা যান। সে সময় অনেকেই ধোঁয়ার মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। অনেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাননি।
সেই ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ভবন ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আবার একই এলাকায় এভাবে আগুন লাগা আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছে।
এবার ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নেভাতে পেরেছে। তবে ভবন ব্যবস্থাপনা কতটা প্রস্তুত ছিল, তা এখন পর্যালোচনা দরকার। আগুন কোথা থেকে শুরু হয়েছিল, তাও এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে এবং অনেক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েÑএটা স্পষ্ট।
আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি ভবনে শুধু দোকান, রেস্টুরেন্ট বা বাসা থাকলেই হবে না। তার সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা, সেটাও দেখা জরুরি। আগুন লাগলে বের হওয়ার পথ খোলা আছে কিনা, ফায়ার সার্ভিস সহজে ঢুকতে পারবে কিনাÑএসব বিষয় আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভবন মালিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রশাসনেরও নিয়মিত তদারকি দরকার। শুধু দুর্ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নিলে হবে না। আগেই সাবধান হওয়া উচিত।
এই ঘটনার পর আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন করে বিষয়গুলো ভাববে। ভবন মালিক, ব্যবস্থাপক ও সরকারি দপ্তরগুলো একসঙ্গে কাজ করলে আগুন লাগার ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব। আমরা চাই, শহরের মানুষ নিরাপদ জীবনযাপন করুক।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
রাজধানীর বেইলি রোডে ‘ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার’ নামের একটি ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাগ্য ভালো, এবার কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ভবন থেকে ১৮ জন মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল।
তবে এই ঘটনায় আবারও শহরের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ঠিক এক বছর আগেই বেইলি রোডের আরেকটি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন মানুষ মারা যান। সে সময় অনেকেই ধোঁয়ার মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। অনেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাননি।
সেই ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ভবন ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আবার একই এলাকায় এভাবে আগুন লাগা আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছে।
এবার ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নেভাতে পেরেছে। তবে ভবন ব্যবস্থাপনা কতটা প্রস্তুত ছিল, তা এখন পর্যালোচনা দরকার। আগুন কোথা থেকে শুরু হয়েছিল, তাও এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে এবং অনেক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েÑএটা স্পষ্ট।
আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি ভবনে শুধু দোকান, রেস্টুরেন্ট বা বাসা থাকলেই হবে না। তার সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা, সেটাও দেখা জরুরি। আগুন লাগলে বের হওয়ার পথ খোলা আছে কিনা, ফায়ার সার্ভিস সহজে ঢুকতে পারবে কিনাÑএসব বিষয় আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভবন মালিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রশাসনেরও নিয়মিত তদারকি দরকার। শুধু দুর্ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নিলে হবে না। আগেই সাবধান হওয়া উচিত।
এই ঘটনার পর আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন করে বিষয়গুলো ভাববে। ভবন মালিক, ব্যবস্থাপক ও সরকারি দপ্তরগুলো একসঙ্গে কাজ করলে আগুন লাগার ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব। আমরা চাই, শহরের মানুষ নিরাপদ জীবনযাপন করুক।