রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ শুধু একটি কর্মসূচি নয়, এটি গণতন্ত্র-পরবর্তী এক সামাজিক আন্দোলনের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। এই কর্মসূচি বর্তমান সময়ের এক জোরালো বার্তাÑনারীর অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে আপসহীন অবস্থানই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মানবিক রাষ্ট্রের পথ দেখাতে পারে।
মৈত্রী যাত্রার মূল দাবি ছিল স্পষ্টÑসমতা, মর্যাদা ও নিরাপত্তা। অংশগ্রহণকারীদের ব্যানার, সেøাগান ও বক্তৃতায় উঠে এসেছে, নারীর অধিকারের প্রশ্নটি আর শুধু নারী সমাজের একক বিষয় নয়; এটি আজ এক সর্বজনীন মানবিক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানের সময় নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ের নানা নিপীড়নের ঘটনা প্রমাণ করে, নারীর অবস্থান আবারও পেছনের দিকে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা চলমান।
‘মৈত্রী যাত্রা’র একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি নারীদের একক আয়োজনে, নারীদের কণ্ঠে পরিচালিত, এবং তাদের অধিকারের পক্ষে পুরুষদের সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে থাকার আহ্বানও এই কর্মসূচির অন্তর্নিহিত বার্তা। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া প্রগতিশীল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সামাজিক প্রতিরোধের নতুন এক ধারা তৈরি করছে, যেখানে বিক্ষোভ নয়, বরং সংহতি ও শৃঙ্খলাভিত্তিক প্রতিবাদ ব্যবহৃত হচ্ছে।
কর্মসূচিতে আদিবাসী নারী, গার্মেন্টস শ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিনিধি উপস্থিতি স্পষ্টভাবে বোঝায়, এটি শুধু নগরকেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত নারীদের আন্দোলন নয়, বরং সার্বিক এক শ্রেণীচেতন ও রাজনৈতিক সংহতির বহিঃপ্রকাশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতির সেøাগান রাখা হয়েছে, যা নারীর অধিকার আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক মানবিক আন্দোলনের সঙ্গেও সংযুক্ত করেছে।
রাষ্ট্র ও সমাজের করণীয় হলোÑমৈত্রী যাত্রার দাবিগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা। সরকার ও প্রশাসনের জন্য এটি এক সতর্কবার্তা: নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় না আনলে ভবিষ্যতে বড় সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততা কিংবা রাজনৈতিক দ্ব্যর্থতার সুযোগে ‘মব মানসিকতা’ যতদিন বাড়বে, ততদিন নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে রাষ্ট্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ শুধু একটি কর্মসূচি নয়, এটি গণতন্ত্র-পরবর্তী এক সামাজিক আন্দোলনের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। এই কর্মসূচি বর্তমান সময়ের এক জোরালো বার্তাÑনারীর অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে আপসহীন অবস্থানই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মানবিক রাষ্ট্রের পথ দেখাতে পারে।
মৈত্রী যাত্রার মূল দাবি ছিল স্পষ্টÑসমতা, মর্যাদা ও নিরাপত্তা। অংশগ্রহণকারীদের ব্যানার, সেøাগান ও বক্তৃতায় উঠে এসেছে, নারীর অধিকারের প্রশ্নটি আর শুধু নারী সমাজের একক বিষয় নয়; এটি আজ এক সর্বজনীন মানবিক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানের সময় নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ের নানা নিপীড়নের ঘটনা প্রমাণ করে, নারীর অবস্থান আবারও পেছনের দিকে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা চলমান।
‘মৈত্রী যাত্রা’র একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি নারীদের একক আয়োজনে, নারীদের কণ্ঠে পরিচালিত, এবং তাদের অধিকারের পক্ষে পুরুষদের সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে থাকার আহ্বানও এই কর্মসূচির অন্তর্নিহিত বার্তা। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া প্রগতিশীল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সামাজিক প্রতিরোধের নতুন এক ধারা তৈরি করছে, যেখানে বিক্ষোভ নয়, বরং সংহতি ও শৃঙ্খলাভিত্তিক প্রতিবাদ ব্যবহৃত হচ্ছে।
কর্মসূচিতে আদিবাসী নারী, গার্মেন্টস শ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিনিধি উপস্থিতি স্পষ্টভাবে বোঝায়, এটি শুধু নগরকেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত নারীদের আন্দোলন নয়, বরং সার্বিক এক শ্রেণীচেতন ও রাজনৈতিক সংহতির বহিঃপ্রকাশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতির সেøাগান রাখা হয়েছে, যা নারীর অধিকার আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক মানবিক আন্দোলনের সঙ্গেও সংযুক্ত করেছে।
রাষ্ট্র ও সমাজের করণীয় হলোÑমৈত্রী যাত্রার দাবিগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা। সরকার ও প্রশাসনের জন্য এটি এক সতর্কবার্তা: নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় না আনলে ভবিষ্যতে বড় সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততা কিংবা রাজনৈতিক দ্ব্যর্থতার সুযোগে ‘মব মানসিকতা’ যতদিন বাড়বে, ততদিন নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে রাষ্ট্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।